কয়েকদিন ধরে আমার মন ভালো নেই।
বেশ কয়েকটা কারন আছে। এর মধ্যে প্রধান কারন হচ্ছে- আমার কন্যা ফারাজা'র জ্বর। সুরভি আর আমি আমরা দুজনেই খুব সাবধান থাকি- যেন ফারাজার জ্বর-জারি না হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- গত দুই বছর ফারাজার কোনো জ্বর-ঠান্ডা হয়নি। কিন্তু এবার শীত যেতে না যেতেই জ্বর ঠান্ডা কাবু হয়ে গেছে ফারাজা। আসলে সেদিন ফারাজা খালি পায়ে ছিলো অনেকক্ষন। ফ্লোর ছিলো ঠান্ডা। যাইহোক, নাপা সিরাপ খেয়ে এবং এলারজেস খেয়ে ফারাজার জ্বর কন্টোলের মধ্যে ছিলো। গতকাল ফারাজাকে নিয়ে সুরভি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। আপাতত কন্যার জ্বর নেই। ঘরে কেউ অসুস্থ থাকলে আমার ভালো লাগে। ভীষন মন খারাপ লাগে। অস্থির অস্থির লাগে। গতকাল ফারাজা তার নানা বাড়ি গেছে। যাক। স্কুল বন্ধ। ক'দিন বেড়িয়ে আসুক।
কাওরান বাজারে একলোক তরমুজ বিক্রি করে।
তার বাপ-দাদাও কাওরান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতো। তরমুজ বিক্রি দেখা- দারুন এক দৃশ্য। একদম শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। রাস্তায় তরমুজ বিক্রি করতে দেখলেই- আমি থেমে যাই। তরমুজ বিক্রি দেখি। তরমুজ কাটার পর লাল হলে বিক্রেতার আত্মবিশ্বাস দারুন বেড়ে যায়। দেখা গেলো তরমুজ লাল। কড়া লাল। তখন বিক্রেতা বলে- আগুন আগুন। পাশ থেকে একজন বলে, ফায়ার সার্ভিস ডাক দে। তরমুজ বিক্রেতা বলে- চাচা হেনা কোথায়? হেনা কোথায়? চারপাশের লোকজন মুগ্ধ হয়ে লাল তরমুজ দেখে। আমি নিজেও লাল তরমুজ দেখে মুগ্ধ হই। কোনো কারণে তরমুজ লাল না হলে বিক্রেতার মুখটা হতাশায় ভরে যায়। তবুও তিনি বলেন, লাল না হলেও- মিষ্টি হবে, বাইল্লা তরমুজ খেয়ে মজা পাবেন। ইউটিউব কন্টেন ক্রিয়েটাররা তরমুজ বিক্রির দৃশ্য ভিডিও করেন।
আওয়ামীলীগ না থাকাতে দেশে অরাজকতা চলছে।
চলছে রমজান মাস। কে রোজা রাখবে, কে রোজা রাখবে না- এটা যার-যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। অথচ এক বয়স্ক লোক লাঠি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে। রাস্তারপাশে চায়ের দোকান। সেটা কাপড় দিয়ে ঘেরা। দুজন বুড়ো রিকশাচালক চা রুটি খাচ্ছিলো। দুজন রিকশা চালকের অন্যায় তারা কেন রোজা রাখেনি। এখন তাদের কান ধরে উঠবস করাচ্ছেন। এটা কোনো কথা! রিকশাচালক রিকশা না চালালে খাবে কি? তার ঘরের বাজার কি আপনি করে দেবেন? মানুষ আইন কেন নিজের হাতে তুলে নেবেন? আরেকজনকে দেখলাম- লাঠি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পতিতাকে মারছে। আজিব!! এটা কোনো কথা! কেউ বেকার থাকলে তারা ডেকে নিয়ে চাকরি দেবে? কেউ না খেয়ে থাকলে তারা খাওয়ার ব্যবস্থা করে? কেউ অসুস্থ থাকলে তারা কি চিকিৎসা করাবে? দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেলো নাকি? আওয়ামীলীগ থাকতে এরকম করতে কেউ সাহস পায়নি। এসব অন্যায়ের একদিন বিচার হবে।
আমি বলছি না, আওয়ামীলীগ ভালো দল।
সেরা দল। আওয়ামীলীগের দোষের শেষ নেই। কিন্তু এখন যা হচ্ছে গত পনের বছর তা হয়নি। এটাই ছিলো আওয়ামীলীগের সফলতা। এখন প্রতিদিন ইফতার পার্টি হচ্ছে। কারা থাকছে ইফতার পার্টিতে? জামাত, শিবির, সমন্বয়ক আর বিএনপি। ওরা ছাড়া যেন দেশে আর লোকজন নেই। দেশটা এখন ৭১ এর পরাজিতদের হাতে। ইউনুস সাহেব জাতির বড় ক্ষতি করলেন- সম্বনয়ক, জামাত শিবিরকে সুযোগ দিয়ে। হ্যা ইউনুস সাহেবের অনেক রাগ ক্ষোভ ছিলো শেখ হাসিনার উপর। তাই তিনি দায়িত্ব নিয়ে- অনেক অপরাধীর শাস্তির ব্যবস্থা করেননি। বরং কারাগার থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যারা শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে, যারা ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিয়েছে, যারা গনভবন লুট করেছে। যারা থানায় আগুন দিয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের বাড়ি লুট করেছে- ইউনুস সাহেব এই সমস্ত অপরাধীদের শাস্তি না দেওয়াতে দেশে অরাজকতা বেড়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন পুতুল।
সামুতে চাঁদগাজী/সোনাগাজী নেই।
তাকে বারবার ব্যান করা হয়- বিষয়টা আমার মোটেও ভালো লাগে না। একজন ব্লগার। একজন ভালো ব্লগার। সামুর সেরা ব্লগার। বারবার তাকে কেন ব্যান করা হচ্ছে? এটা অন্যায়। ভীষন অন্যায়। আমি তীব্র নিন্দা জানাই। ব্লগটিম কি দেখে না- কতিপয় ব্লগার তাকে কি পরিমান অশালীন কথা বলে? কি পরিমান অসম্মান করে। বরং তিনি (চাঁদগাজী) সামুতে থাকলে জামাত শিবির ও ক্রিমিনাল ব্লগাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। ঠিক এখন আওয়ামীলীগ নেই বলে- জামাত শিবির যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, ঠিক তেমনি সামুতে চাঁদগাজী/সোনাগাজী না থাকলে ক্রিমিনাল ব্লগাররা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ব্লগটাকে নোংরা বানিয়ে ফেলে। চাঁদগাজীর সমস্যা হলো- তিনি মানুষটা বুদ্ধিমান। ক্রিমিনালদের ধরে ফেলেন। এই অপরাধে তাকে বার বার ব্যান করা হয়। আমি ব্লগটিমকে অনুরোধ করবো- সত্যিকার অপরাধী ও ক্রিমিনালকে ব্যান করুন। একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন মানবিক মানুষ, একজন গ্রেট ব্লগারকে ব্যান করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯