আচ্ছা আপনারা যারা নির্বাচন নির্বাচন কইরা কাপড় চোপড় নস্ট করতাছেন তাদেররে একটু জিগাই, এই ৫৪ বছর কি বা****টা ফালাইছেন??? (সরি ফর মাই ল্যাংগুইজ। বয়স যত বাড়ছে, ধৈর্য্য তত কমছে।)
১৫/১৬ বছরেতো আওয়ামী মাস্তানদের ভয়ে গর্তে, জেলে কিংবা গুম হতে দেখেছি আর বছরের পর বছর ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি ধামকি দেখেছি। এক খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া আমি অন্তত কোন ইস্যু দেখি নাই। এই যে এতো গুম খুন লুটপাট হইছে, দলের লোকদের মেরে পুঁতে গুম করছে এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা দেখিনি। ধরুন এক ইলিয়াস আলীর কথাই বলি। তারে যে গুম খুন করছে তা নিয়ে আপনারা কি করছিলেন?? এই যে আবরারকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করলো আপনারাতো টু শব্দটা করেন নাই। এখন নির্বাচন নির্বাচন কইরা পাগল হইয়া যাইতেছেন। কই তখনতো নির্বাচন নিয়া মুখ থেইকা একটা শব্দই বের হই নাই। বছরের পর বছর তামাশার নির্বাচন সহ্য করছেন।
আচ্ছা সব বাদ, ক্ষমতা থাকাকালীন আপনারা কি করছেন দেশের জন্য? আমরাতো সেই তারেক সাহেবের বন্ধূ মামুনের দূর্নীতির ফিরিস্তি দেখছি, হাওয়া ভবনের নাটক দেখেছি আর বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী মান্তানদের হরতাল জ্বালাও পোড়াও ঘেরাও আর ধ্বংসজজ্ঞ দেখেছি দিনের পর দিন। কিন্তু আপনাদেরকে কখনই সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। সাধারন মানুষের জন্য কি করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন তা নিয়ে কখনো কোন স্পষ্ট এজেন্ডা, পরিকল্পনা কখনই দেখি নাই। আগামী ৫০/১০০ বছর পর দেশকে কোথায় নিয়ে যাবেন বা কি পরিকল্পনা আছে তা নিয়ে কোন কিছুই দেখিনি।
আসল কথা হইলো ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাইকা আপনারা ক্ষমতার জন্য পাগল হইয়া গেছেন। কোন রকমে ছলে বলে কৈাশলে ক্ষমতায় বইসাই আমাদের পাছায় কইস্যা একটা লাথি দেয়ার ব্যাবস্থা করবেন। এদিকে আকাশে বাতাসে শুনলাম পাশের দেশ নাকি আপনাগো লগে লাইন লাগাইছে। যেগুলা গর্তে ঢুঁকছে সেইগুলা নাকি টাকার বস্তার লোভ দিতাছে। আপনারাতো দেখি এখন পুরাপুরি খাই খাই পার্টির সদস্য।
আবার ওই দিকে জামাতি রগকাটা শিবির ক্ষমতার ভাগ নিতে শুরু করছে নর্তন কূর্দন। যারে তারে শাহবাগী ট্যাগাইবো, তারপর মেয়েগো ওড়না নিয়া টানাটানি করবো, মাহরম নাকি কি এক জিনিস আছে ওইটা নিয়া নাচানাচি করবো, মাইয়াগুলা সিগারেট টানলো নাকি গান্জা টানলো তা নিয়া কাপড় নস্ট করবো ............।
ওইদিকে আবার পুরোনো পাপীরা নতুন বোতলে ঢুঁকার চেস্টায় মগ্ন। কাদের সিদ্দিকি সাহেব জামাতী আমিররে চুম্বন করিয়া নিজের পুরোনো পাপ মোচন করিবার তীব্র চেস্টা চালাইয়া যাইতেছে। ডান বাম সেক্যুলার সব মিলিয়া মিশিয়া খিচুঁড়ি উৎপাদনের আপ্রান চেস্টা চালাইতেছে।
বাহ বাহ্ বাহ্.......... বাচ্চাগণ তালিয়া বাজাও সব কাউয়া আবার একসাথ হইছে।
এখন শুনেন গত কয়েক মাসের ফিরিস্তি ড: ইউনুস সরকার কি কি করছে?
- সারা বিশ্বে বাংলাদেশের যে জঘন্য ভাবমূর্তি ছিল ড: ইউনুস সাহেব তা রাতারাতি পাল্টে ফেলেছেন। বিদেশের মাটিতে আমাদের প্রতি সন্মান বেড়েছে। তাইতো ইউএসএআইডি সাহায্য বন্ধ হলেও কানাডা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইউএসএর এর নিষিদ্ধ দেশের মাঝে বাংলাদেশের নাম নেই। এমন কি সারা বিশ্ব থেকে অনেক দেশের মানুষকে হাত-পা বেধেঁ ফেরত পাঠালেও বাংলাদেশ এখনো তা ফেইস করেনি।
- সারা বিশ্ব থেকে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়গের প্রতিশ্রতি পেয়েছে। যা শুরু হবে এবং তা হলে দেশের কর্মসংস্থান হবে অসংখ্য।
- স্টারলিংক খুব শীঘ্রই দেশের প্রযুক্তি খাতকে আমুলে পরিবর্তন করবে। তা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
- জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
- চীনের সাথে সম্পর্কের নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে। অনেক অমিমাংসিত বিষয় যা এতো বছর শুধু আমরা ভারতের স্বার্থই দেখেছি তা বন্ধ হবে।
- অনেক দেশের ভিসা অফিস ভারত নয় আমাদের দেশে হবে।
- অনেক আমদানী আমরা শুধুমাত্র ভারতের দিকে হা করে বসে থাকতাম। আর তাহারা আমাদের পাছায় লাথি মারার কোন সুযোগই ছাড়তো না। এখন ভারত নির্ভরতা থেকে আমরা সরে আসছি।
- দ্রব্যমূল্য বাড়ার পরিবর্তে কমাতে সাহায্য করেছেন।
এরকম আরো অনেক সাফল্যের পালক আছে ড: ইউনুস সাহেবের মুকুটে। এই ভদ্রলোক মাত্র সাত মাসেই এতো কিছু করছে। এইবার বলেন গত ৫৪ বছরের কি বা.....টা ফালাইছেন।
আরো শুনেন, ড: ইউনুস সাহেব ক্ষমতায় বসেই লন্ডনে ৩৬৫ বাড়ি বা আম্রিকায় দ্বীপ কেনার জন্য পাগল হয় নাই। দেশের টাকা পাচারের জন্য নিত্য নতুন পথ ধরেন নাই। বা ভারত বা লন্ডনে বইসা বুলি কপচায় নাই। আমার বাবা বা স্বামীর স্বপ্ন বইলা চিল্লায় নাই। উনি সত্যিকারের দেশের জন্য কিছু করার চেস্টায় আছেন, সত্যিকারের দেশ গড়ার চেষ্টায় আছেন।
আপনারা যাদের দেশের উন্নয়নে চুলকাচ্ছে হয় তারা ভারতের দালাল নয় লুটপাটের ভাগীদার। আর তা না পেয়ে আপনারা পাগলা কুত্তা হয়ে আছেন। আপনাদের আমরা হাড়ে হাড়ে চিনি।
দেশটা আপনের না, দেশটা কারো বাপের না, দেশটা কারো স্বামীর না, দেশটা পাকিস্তান বা ভারতপন্থীদের না। দেশটা আমার দেশটা আপনার। এ দেশ বাঁচলে আমি বাঁচবো, আপনি বাঁচবেন, আমাদের সন্তানরা বাঁচবে।
যখন সময় হবে নির্বাচন হবে, ক্ষমতার হালুয়া রুটি বন্টন হবে। আপাতত: আসুন আমরা সবাই একযোগে দেশটা গড়ায় হাত লাগাই। নির্বাচন নির্বাচন নামে ফাজলামো বন্ধ করি।
ভালো থাকুন।
বি:দ্র: নীচে কিছু ভিডিও শেয়ার করলাম। সময় থাকলে দেখতে পারবেন, খারাপ লাগবে না।
সোহানী
মার্চ ২০২৫
Enjoy the video
Enjoy the video
Enjoy the video
সবার শেষে স্মরণ করছি এক সময়ে ব্লগের প্রান কান্ডারী অথর্বকে। এমন প্রতিভার মৃত্যু আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। রাজনীতি তাঁর জীবনকে শেষ করে দিয়েছে, তাঁর পরিবারকে পথে বসিয়েছে। অথচ তাঁর মেধার পরিচর্যা করলে কোথায় যেতে পারতো এ ছেলেটি। হায় আমাদের রাস্ট্র!! এমন কিছু যেন আর কারো জীবনে না ঘটে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯