আজকাল ব্লগেও ফেবু স্টাইল চলছে। কেউ কেউ কোন কোন পোষ্টে না বুঝে আমিন লিখছেন।
অনেকটা ১০০০ বছর পুরাতন কাবা ঘরের ছবির মতন।
যারা ছোয়াবের আশায় আমিন লিখছেন তারা কি ভাল করে পড়ে বা বিষয়টিতে কি লিখা আছে তার মর্ম উদ্ধার করে লিখছেন। উত্তর অবশ্যই না। আল্লাহ খোদা বা রাসূলের নামে কবিতায় দুই লাইন ভাল লিখলেও বাকি এক লাইনে যে বিশাল বাঁশ দেয়া হয়েছে তার দিকে খেয়াল করবে কে?
হুজুগে কোন কিছুই ভাল না। ব্লগের ক্ষেত্রে একেবারেইই না।
একটা বিড়াল যখন সাতশ ইঁদুরশিকার করে হজ্জে যাওয়ার নিয়্যত করবে তখন বুঝতে হবে এই নিয়্যতে কোন গন্ডগোল আছে।
মুখে আল্লাহ খোদার নাম নিলেই অন্তরের অবস্হা বুঝা যায় না।
সাধু সাবধান।।
পীরে কামেল দেখিয়া কেউ খাইওনা ক্রাশ।।।
ইসলাম ধর্মে খোদা অবতার হিসেবে আসার প্রমাণ নেই। অন্য ধর্মে যার যার বিশ্বাসের ব্যাপার।। এখানে কার খোদা কোনজন?
ফটোকপির ব্যবসার দেখাদেখি সেটা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে জোড়েশোড়ে চলছে।
উনি নাকি বড় পীর! খিকজ.......
কেন এই আমিনবাজদের পরিত্যাগ করবেন;
ধরুন, এক পরিচিত বন্ধু আপনাকে ম্যাসেজ করেছে;
হুজুর পাক (সাঃ)
বলেছেন,, তোমরা নিয়মিত নামাজ
আদায় এবং কোরআন পাঠ কর। যে ব্যক্তি
বিশ জনকে পৌঁছে দিবে ঠিক দশ দিন
পর তাঁর বাড়িতে খুশি আসবে আর যে
ব্যক্তি পাঠাবে না দশদিন পর তাঁর
বাড়িতে কষ্ট আসবে। Don't ignore.so please
forward in to 20 " ﻻ ﺍﻟﻪ
ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ " এই কালেমার কসম
তোমরা বিশ জনকে পাঠাও তোমার
সবচেয় বড়আশা পূর্ণ হবে দিয়েই দেখ...
এখন আপনি যা ভাবলেন:
মামুর ব্যাটা বলে কি!
হুজুর পাক (সা কাকে বলেছেন এই কথা। হাদিসে আছে? থাকলে তার রেফারেন্স কি?
আর এখানে বিশ জন, দশ দিন, বাড়ি, কষ্ট, খুশির সংবাদ ইত্যাদির সাথে কালেমার সম্পর্ক কি?! বাহ্, তারপর ভাবলেন, আল্লাহ্ মুমিনদের ভালো কাজের প্রতিদান দুনিয়াতে দিবেন না, তিনি আখেরাতে দিবেন। আর আগে যারা (ইসলাম প্রচারক) কালেমা প্রচার করেছে তারা কি ফোন কোম্পানির মত শর্ত সাপেক্ষ কালেমা প্রচার করেছেন?
সর্বশেষ কথা হলো কোন ব্যাক্তি যদি এই বিশ জন কে ম্যাসেজ করে কোন কারণে খুশির সংবাদ না পান তাহলে সেই ব্যক্তির কালেমা এবং আল্লাহ্ প্রতি ইমান কমে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩