আব্দুর রাজ্জাক!.............। 23 শে ডিসেম্বর তার 5ম মৃত্যু বার্ষিকী। তার মরহুম আত্মা যেন বেহেস্তবাসী হউক এই কামনা রইল। আমি রাজ্জাক ভাইকে প্রথম দেখে ছিলাম 1998 সালে যখন আমাদের দেশে বর্নাদুর্গত হয়। তিনি আমাদের এলাকায় এসেছিলেন বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করতে। সরকারী উদ্যোগে হয়ত তিনি কিছু চাউল ডাউল দিয়ে ছিলেন কিন্তু ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তিনি সেদিন আমাদেরকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চৌদ্দ গৌষ্ঠি কে কিভাবে উদ্ধার করতে হয় তা বুঝিয়েছেন। সে সময় বন্যার্ত মানুষ এর জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। বিশেষ করে আমাদের মত যারা শিশু থেকে কৈশরে পা দিয়েছে তাদের কাছে এ ছিল মহা বিস্ময়ের ঘোর! কিভাবে সম্ভব?
বন্যার সময় আমরা দেখেছি দলমত নির্বিশেষে যে যেভাবে পারছে সবাই কে সাহায্য সহযোগিতা করছে। তবে যাই হউক, মানুষের ধারণা ছিল তিনি শান্তনামূলক বিভিন্ন বানী দান করবেন যাতে সাহসের সাথে বন্যা মোকাবিলা করা যায়। না সেরকম কিছু হয়নি। মানুষ শান্তনা পায়নি পেয়েছে রাজনৈতিক দীক্ষা।
তার বিরুদ্বে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তিনি চরাঞ্চলের উন্নয়ন করেননি। অথচ তার কর্মীরা তাকে আধুনিক শরীয়তপুরের রুপকার হিসেবে আখ্যায়িত করে। আচ্ছা একটি জেলাকে আধুনিকায়ন সংজ্ঞায়িত করতে হলে কি কি উপাদান বিদ্যামান থাকতে হয় সে সময় কি তা ছিল!
কারণ তিনি 1996 সালে মন্ত্রী হয়ে ছিলেন। 1996 থেকে 2011 সালে শরীয়তপুরে কি এমন বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা একমাত্র শরীয়তপুরবাসীই জানেন। তারপর মইন ফখরুদ্দিন আমলে তিনি এম.পি ছিলেন, মন্ত্রী নয় এবং তার সাথে সংস্কারপন্থীও। শরীয়তপুরের ছেলে হিসেবে নিজেকে প্রশ্ন করি, একজন সংস্কারপন্থী এম.পি’র পক্ষে কি একটি জেলাকে আধুনিকরণ সম্ভব? এর উত্তর খোঁজতে আমাকে বেশি দূর যেতে হয়না কারণ আমি শরীয়তপুরের প্রতিটি অলি-গলি হেটেছি এবং চিনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো রাজ্জাক ভাই জীবিত থাকার সময় সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তির উপদেষ্টা ছিলেন না। অথচ সরকারের একটি অংশ দাবি করে সজীব ওয়াজেদ জয় এর দূরদর্শী, বাস্তবমুখী ও সময়োপযুগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে বিশাল অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ আধুনিক হয়েছে। এখন সাধারণের কথা হলো, রাজ্জাক ভাই ক্ষমতা থাকা কালীন সময়ে বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ছিল নিচুস্তরে সেখানে একটি জেলা তথ্য ও প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিকায়ন হয় কিভাবে? অনেকে বলতে পারেন আধুনিকায়ন কি শুধু তথ্য ও প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে! আমি বলতে চাই অবশ্যই না। তবে আধুনিকায়নের অন্যতম শর্ত হলো মানুষ কে জ্ঞান-বিজ্ঞানে শিক্ষিত হওয়া। অথচ রাজ্জাক ভাইয়ের সময়ে শরীয়তপুর ছিল বাংলাদেশে সবচেয়ে নিরক্ষর জেলা। আর শরীয়তপুরে তখন ছিলনা এখনও নাই কোন গ্যাস লাইন, রেল লাইন এবং তার নিজ উপজেলা পূর্ব ডামুড্যায় এখনও অনেক রোড কাঁচা। আবার শরীয়তপুরের অনেক অঞ্চল এখনও বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। অনেক মনে করেন এগুলো রাজনৈতিক স্লোগান। আমিও তাই মনে করি।
আমাগী 23 ডিসেম্বর মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের 5ম মৃত্যু বার্ষিকী। আসুন দলমত উপেক্ষা করে সংক্ষেপে তার সম্পর্কে কিছু জেনে নেই।
আব্দুর রাজ্জাক
(জন্ম:১ আগস্ট, ১৯৪২ - মৃত্যু: ২৩ ডিসেম্বর ২০১১) ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের অন্যতম ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ৫০’র দশকের শেষের দিকে। মৃত্যুর পূর্বাবধি তিনি শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে ২টি ক'রে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। আব্দুর রাজ্জাক ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
জন্ম ও শিক্ষা
রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমাম উদ্দিন এবং মাতার নাম বেগম আকফাতুন্নেছা। তিনি ১৯৫৮ সালে ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৬৪ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং পরে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর তিনি এলএলবি পাস করেন এবং ১৯৭৩ সালে আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিল’র নিবন্ধিত হন।
ছাত্ররাজনীতি
আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬০-৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগের সহঃ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পর পর দুই বার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ থেকে ’৭২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের প্রধান ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের শাসনামলে ১৯৬৪ সালে প্রথম তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ’৬৫ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন। কারাগার থেকেই মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ৬ দফা আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬৭ সাল থেকে ’৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
মুক্তিযুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ভারতের মেঘালয়ে মুজিব বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার (মুজিব বাহিনীর ৪ সেক্টর কমান্ডারের একজন) ছিলেন। তিনি মুজিব বাহিনীর একজন সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষকও ছিলেন। তিনি দেরাদুনে ভারতের সেনাবাহিনীর জেনারেল উবানের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। মুজিব বাহিনী গঠনে অন্যতম রূপকার ছিলেন। মুজিব বাহিনীর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস (Bangladesh Liberation Forces - BLF) (বাংলা:বাংলাদেশ স্বাধীনতা বাহিনী)
স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনীতি
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা হত্যা করার পর আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ’৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি কারাবন্দী ছিলেন। সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৭ সালে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়। আব্দুর রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি-এর অন্যতম সদস্য ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর তিনি দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট)।
বাকশাল
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে দেশে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল গঠন করা হয়। আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭৫ থেকে থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত তিনি বাকশালের সম্পাদক ছিলেন। ইতোমধ্যে জেনারের জিয়া দেশে বহুদলীয় রাজনীতি পুনঃপ্রবর্তন করলে আওয়ামী লীগ পুনগর্ঠিত হয় এবং ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি উদ্যোগী হয়ে পুনরায় বাকশাল রাজ্জাক গঠন করেন এবং ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই বাকশালের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে এরশাদের পতনের পর তিনি বাকশাল বিলুপ্ত করে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
মন্ত্রীসভা সদস্য
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৭ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ২০০৯ সালের জুলাই-আগস্টে একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প পরিদর্শন করে।
সংস্কারপন্থী রাজ্জাক
মঈন-ফখরুদ্দিন আমলে রাজ্জাক আওয়ামীলীগে পরিবর্তন আনতে চেয়ে ছিলেন।
এর খেসারত তিনি পরবর্তীতে পেয়েছিলেন মাইনা্স-2 ফর্মুলা বাস্তাবায়ন করতে গিয়ে - কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ মইন-ফখরুদ্দিন -2 ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে পারেনি উপরন্ত শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা দিয়ে মঈন-ফখরুদ্দিনরা স্বশ্তির নি:শ্বাস ফেলেছে। শেখ হাসিনা পরবর্তীতে সরকার গঠন করে রাজ্জাক ভাইকে তার প্রাপ্য হিসাব বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রথমে তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। এর পর যখন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তখন সরকারের যেভাবে পাশে থাকা দরকার সেভাবে থাকেনি। এটা আমাদের শরীয়তপুর বাসীর কাম্য ছিল না।
দেহাবসান
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি লন্ডনের কিংস হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডাক্তারদের পরামর্শে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে যান স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক এবং দুই পুত্র নাহিম রাজ্জাক ও ফাহিম রাজ্জাক। ২৫ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ। অতপর সেখান থেকে নেওয়া হয় তাঁর গুলশান বাসভবনে। প্রথম নামাজে জানাজা বেলা ৩টার পর পরই জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অণুষ্ঠিত হয়। পরে আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অণুষ্ঠিত হয়। ২৬ ডিসেম্বর ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ তাঁর জন্মস্থান শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নেওয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা অণুষ্ঠানের পর ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে এসে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বর্তমানে পারিবারিক অবস্থা
আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুরপর তার নিজ এলাকা শরীয়তপুর-৩ আসনটি খালি হয়ে যায়। আসনটিতে নতুন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় নমীনেশন পেতে অনেকে তদবির, লবিং করে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাহাদুর বেপারী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং বর্তমান আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম এবং রাজ্জাক তনয়া নাহিম রাজ্জাক। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাহিম রাজ্জাক দল থেকে নমিনেশন পান এবং স্থানীয় বি.এন.পি’র নেতার আহম্মকিতায় বিনা ভোটে সংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে 5ই জানুয়ারী নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় রাজ্জাক তনয়া বর্তমানে চলমান এম.পি’র দায়িত্ব পালন করছেন।
2010 সালে জনসভাকালীন সময়ে আমার নকিয়া এক্সপ্রেস মিউজিকে তোলা ছবি।
তথ্যসূত্র: Click This Link
https://plus.google.com/u/0/109115554802538295553/posts/BAniQxgei9i?sfc=true