( সকাল থেকেই খুব ব্যস্ত একজোড়া গৃহপালিত মোরগ-মুর্গী।/ খাবার খুটে খায় ডিম পাড়তে খোয়ারে যায়।/ রুস্টার মোরগ মাথা উচিয়ে গৃহস্থের স্বচ্ছলতা ঘোষনা করে।/ বিপদের সম্ভাবনা দেখলে ডেকে হেকে সাবধান করে। তারপরে একদিন . . ./ )
পাশ কাটিয়ে গৃহস্থের খেয়াল
গোপনে লুকিয়ে থাকা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির
শেয়াল
লাফিয়ে পড়ে
সংসার খরচে ;
নাকের ডগায় চুপচাপ শুঁকে দেখে
শুকনো পাতা, নিঃশব্দ মঙ্গার মাঠ,
ঘামে ভেজা দিন মজুরের ঘ্রাণ।
ঘাড় মট্কানো মুর্গীর মতো
দাতে চেপে সবেধন স্বপ্নমনি
লম্বা লাফে পার হয় ঘুমন্ত উঠান।
গৃহস্থের মনোযোগে যখন - তখন সমুখের
বিরান সবুজ ক্ষেতে নীভে গেছে
জলন্ত হলুদ দুটি চোখ।
খোয়া গেছে সবেধন মুর্গী
সোনার ডিমের সম্ভাবনা
জানে সব শেষ - তবু ছোটে নিঃস্ব এই মানুষের ঢল
ছোটে ওরা দৃশ্যহীন শেয়ালের পিছে।
বিস্ফারিত চোখ মেলে দেখে তারা ক্ষেতের আলে চেনা চেনা রক্তের দাগ,
কুক্ড়ে যাওয়া দুটি পা, শাদা ছিন্ন সহস্র পালক
এই দুই ফোঁটা টেনে আনে পটে
আরো এক ফোঁটা দৃশ্য:
প্রতিদিন যোগ হয় অভাবীর নিত্য নব মুখ
শ্রম বাজারের
লম্বা শহরমুখী বিশাল প্রবাহে।
কাজের আর প্রাণ ধারনের আশে
মানুষের ঢল
ঠেলে উঠে নগরীর কুলে।