ধুত্তুরি ছাই! ভাবি বসে কেন তা—ই!
কার কাছে দিলে ধরা?—ধরাকে করিয়া সরা
কাটে বেলা সেই অযাচিত আশংকায়;
কি পেলে? কি হারালে? ভাবি বসে
খুব কী বেশি সুখ ? অদ্ভুত!
অপার ভালোবাসা দূরে ঠেলে।
সোনার খাঁচায় অট্টালিকায় বন্দী থেকে
তুমি তো খুঁজিয়া বেড়াও; ধ্রুবতারা—রাতের আকাশে,
রঙিন প্রজাপতি, ফুল পাহাড়ি ঝর্ণাধারা,
সবুজ বনানীর ফাঁকে—বয়ে চলা নদীর কুল কুল ধ্বনি;
কতটুকু সুখ খুঁজে পাও; বলতো শুনি।
তুমি তো খুঁজিয়া বেড়াও সুখ— অট্টালিকার পরে
ছাঁদের উপর রুপোলি চাঁদের জোস্না মেখে গায়,
এখন বুঝি চারিদিকে অঘোর আঁধার—অতন্দ্র প্রহরায়;
আমি যেন, নির্বাক বসে থাকা তোমার বুকে সুখপাখি
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক! নাকি জুনাকি পোকা মিটিমিটি আলো
যারে পরম আদরে ছুঁইয়ে দাও
খুব ভালোবেসে জড়িয়ে নাও— তোমার কোমল বুকে
কল্পলোকে।—যেখানে নিত্য বাসর সাজিয়ে
দোসর হয়ে থাকো আততায়ি প্রেমের জিঘাংসায়।
তুমি ভেসে যাও— দূর নীল আকাশের বুকে
হয়তো শরতের সাদা মেঘ হয়ে
অথবা অমরবতী নদী হয়ে, তুমি বয়ে যাও ঐ দূর সাগরে
সুখের আকরে—সঙ্গম কামনায় রক্তগোলাপ হয়ে
আমি যেথা অপরাজিত ভ্রমর— কবিতা আর গানে।
সোনার মেয়ে— চাঁদনী বদন,
নির্বাক ঠুঁটে দিয়েছো বলে সব—
প্রকাশ্য দিবালোকের মত আলোক উদ্ভাসিত যা—
জেনে গেছি আমি তা, কামনার ভনিতা।
সময় করে চলে যাবো— ঐখানে, মায়ার বনে —যেখানে প্রেমের বিভীষিকা।
আসলে বিভীষিকা নয় প্রেমের অগ্নি শিখা অমোঘ পরিণয়— সঙ্গমসুখে
করিবো ভাগ সুখের নির্যাস— এক কাপ; ইন্দ্রিয় অনুভূতি কাগজে কলমে
অনুভূতির সপ্তাকাশে চড়ে— তুমি আমি মিশে যাবো সেথা এক নিমিষে
চোখের পলকে অটুট বন্ধনে বাঁধা যে, আমাদের দুজনায়।
যে সৃজিলো তোমারে এতো অপরূপ রূপে আমি তাই লিখে যাই—কবিতা;
স্রষ্টার বন্দনায় প্রগাঢ় বিশ্বাসে—তুমি ছাড়া এ জীবন যেন বৃথা তাই
তুমি মোর সাধনা; প্রয়োজনে ঐ দূর হিমালয় চূড়া থেকে ছিনিয়ে এনে
তবু ভালোবেসে যাই—এই জীবনে শুধু তোমাকে যে চাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩