তুমি কী নও আরাধনা —এই প্রাণের?
জ্যামিতিক উপাত্ত রূপ যৌবন কাব্যসমগ্র
এখন আর বিবেচ্য নয়। পরখ করে দেখতে পারো
যেভাবেই আসো —অগ্রগলভ প্রেমে শুধু তোমাকেই খুঁজে নেবো
ভালবাসা করবো ওসুল কড়ায় গণ্ডায়—ষোল আনা।
তুমি কী এখনো বুঝোনি— হিসেব নিকেশের বিড়ম্বনা
অন্তর্দহন কেমন কুড়ে কুড়ে খায়! তবে কী এখানো
বুঝনি হায়।তবে বলি আমি নই তোমার মতন
চুল চেড়া হিসেবে ন্যাস্ত —দাড়িপাল্লায় মেপে মেপে
করিবো না সময় পার—ক্ষণিকের এই জীবনে।
আমি তোমারি ধ্রুবতারা অনন্ত যৌবনে— ভালোবাসার আকাশে
যার নেই কোন বিচ্যুতি যেন এক অটল পাহাড়ে আর্টেজিয় কূপ
স্বতস্ফূর্ততায় যে করে বিরতিহীন জল দান। নিকষ আধারে ছড়াবো জ্যোতি
এই বুকে মাথা ঠুকে মরেও প্রশান্তি অনেক,
এক সমুদ্র প্রেম এইখানে আছে। তাতে হয় যদি সলিল সমাধি
তোমার—সৌভাগ্য হিসেবেই বরণ করে নিও;
এটাই আমোঘ নিয়ম তুমি-আমি যখন ভালোবাসার পারাবারে—
বিকল্প ভাবনা, অমূলক যাতনা।
রবির কী হয় বিকল্প কোন সৌরজগতে?
ওগো মোর পৃথিবী, বিজয়ী লক্ষী নারী তুমি শুধু আমারি
অযথা বিলম্ব করোনাকো আর—প্রচণ্ড নিনাদে জানিয়ে দিও
ভালোবাসো শুধু আমাকে; বাকিসব ছলচাতুরী শাশ্বত এক প্রেম
ঢেকে রেখে যতনে; যেন কোন দাগ না লাগে তার গায়।
জেনে রেখো আমাদের প্রেমে মুছে যায় অযাচিত দাগ
কষ্টিপাথরে ঘষে—খুলে যায় বেহেশতের আটখানা দরজা
বন্ধ হয়ে যায় দোজখের সাত ফটক—বসন্ত হাওয়ায়
কোকিলেরা নেমে আসে এইখানে, কাননে ফুটে ফুল
পূর্ণিমা চাঁদ খুশিতে যেন খায় লুটোপুটি—অযাচিত বেদনায়
আর দূরে থাকা নয় ; আনন্দ লয়ে বুকে ধিন তা ধিন তা
নৃত্যের ছন্দ মৃদু মন্দ দোলাতে তুমি আমি যেন ভালোবেসে হই ওগো ধন্য
—শহুরে এই আমি এক সবুজ অরণ্য দারুচিনি দ্বীপ বুকে লয়ে হয়ে ওঠি বন্য
প্রেমের খেলাতে— এক পৃথিবী যেন অবাক চেয়ে আছে অনন্ত প্রতীক্ষায়
শুধু আমাদেরই জন্য ।
বিঃ দ্রঃ কবিতা লিখে একটু বিশ্রাম নিলাম .লাভ ইও কবিতামনি এখন আবার কাজ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯