পারিতেই হইবে..
যে পথে হানাহানি দ্বন্দ্ব—
সে পথে আর পথচলা নয়,
এটাতো স্বদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি
লাখো শহীদের পবিত্র রক্তের বিনিময়ে
অর্জিত স্বাধীনতা—বৈষম্যহীন এক স্বপ্নের দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে;
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে—মরণপণ লড়াইয়ে।
আমরা কী পারিনা আজ হাতে হাত মেলাতে?
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে
. সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধি আর শান্তির পথে
একসাথে চলতে!—ধর্ম যার যার মানবতা সবার
এটা কী আছে শুধু মিথ্যে বুলিতে, ঠাকুর মা’র ঝুলিতে
হে বীরজনতা করো হে উৎসর্গ প্রাণ বিশ্বমানবতার কল্যাণে
আমরা কী পারি না হতে—চিরো নিবেদিত,
ঘামে শ্রমে স্বপ্নের দেশ গড়াতে।
সুজলা সুফলা এই দেশ —পদ্মা মেঘনা যমুনা বিধৌত
উর্বর সমভূমি—কেন পারিবো না তবে?
পারিতেই হইবে..
আমাদের আছে বৃহৎ জনবল
আছে যুদ্ধ জয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস
দিতে হবে না আর বলিদান— পরিশ্রম করিলেই হইবে
সততার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে—আত্নপ্রত্যয়ে ।
চলে গেছে তো
চলে গেছে তো
দুচোখের আড়ালে—দূরে
রেখে গেছে চুম্বন —হাতে
সে হাত বুকে লয়ে
কেটে গেছে সারারাত—
ঘুম আসেনি দু’চোখে
চলে গেছে তো—চুম্বনে বলে গেছে তো
ভালোবাসে সে কতটা আবেগে!
আছি আমি তাই প্রার্থনায় স্রষ্টার দরবারে
তার মঙ্গল কামনায়
সে যেন থাকে দুধে ভাতে
তার চুম্বন মিশে আছে হাতে
বুকের জমিনে—মনে
তবুতো চলে গেছে—
আমাকেই যেতে হবে তার কাছে
তারে সাথে লয়ে —দেখিবো সারা বিশ্ব
তার জন্য আমার নিরাপদ আবাস গড়ার দৃপ্ত শপথ—সুদৃঢ় প্রত্যয়ে।
তুমি ছূঁয়ে দিলে
তুমি যেন এক মায়ার ইন্দ্রজাল, স্বপ্নজাল বুনে এই দু’চোখে;
তুমি জান— তোমাকেই খুঁজে ফিরি
ভালোবাসার কামনা বুকে।—
তুমি কী দেখোনি? বিষন্নতার রং—এই অবয়বে?
—তুমিহীন এই আমি কতটা বিবর্ণ পান্ডুর।
তুমিহীনতা বলে দিবে সব — জনসম্মুখে বিষন্নরথে
অথচ তুমিময় আমি যেন অপরাজেয় বীর; যুধিষ্ঠীর
সুখের রঙ্গমঞ্চ এক—পাতালপুরী থেকে শব্দ এনে
শব্দ কারিগর?ওগো সোনার মেয়ে কী আছে তোমার ভেতর
ডুবসাতারে আমি সেথা যেন এক পানকৌড়ি
কাব্যসুধা পান করে —তৃপ্তির ঢেকুর . !
কী আছে যাদু সঞ্জীবনি সুধা; সুধাকর?
তুমি ছূঁয়ে দিলে আমি হবো ফিনিক্স পাখি;
ভালোবাসার অঙ্গারে পুড়ে—দুঁচোখে স্বপ্ন আঁকি।