আকাশের বিস্তার অসীম...
তবু সেখানেও হয় নিনাদ —
প্রথমেই জমে মেঘ তারপর গগণ বিদীর্ণ করে বজ্রপাত;—অতঃপর আলোর নাচন
তারপর হয়ত অবণীর বুকে মুষলধারে নামে প্রশান্তির বৃষ্টি
এইতো ভালোবাসার আমোঘ ধারাপাত!
এভাবেই ভালোবাসার নিয়ত সৃষ্টি; প্রকৃতির চিরন্তন নিয়মে!!
মেঘ না চাইতেই জল; মেলেনা ধরাতে..
তাইতো লেখা হয় সহস্র কবিতা—ভালোবাসার পাতায়
আশা আর ভয়ের মাঝে সফলতা নিহিত, অন্য পথে মেলেনা গন্তব্য কোন;
এটাই স্রষ্টার আমোঘ বিধান।
প্রিয়ংবদা হারানোর ভয় আছে বলেই হারাইনা তোমায়
সযতনে আগলে রাখি বুকে, না হলে কবেই যে হারিয়ে যেতে!!
আশার প্রদীপ জ্বেলে আজও আমি —রইগো কান পেতে;
জানি তোমাকে আসতেই হয় আমার কাছে অনন্ত আকাশ হয়ে...
আকাশের যে নেই কোন সীমা...তোমারও ঠিক তাই।।
মানুষতো ভুলে ভরা পত্র-
তোমার যাদুর ছুঁয়ায় অপার মায়ায়—মায়াবতী,
আমার করা ভালোবাসার ভুলকে —ফুল তুমি করতে পারো...
তোমার গাঁথা সেই ফুলের মালা গলে
সব ব্যথা আমি যাইগো ভুলে, জানোতো ভুল থেকেই বিনয়ের সৃষ্টি...
ভালোবাসা তাতে যায় কেবল বেড়ে
ভুলের মাঝেই তবে হয়ে যাক সৃষ্টি আমোঘ ভালোবাসার —উষ্ণ বারিপাত
ভালোবাসার বৃষ্টিতে দু’জনেই যাবো ভুলে—অতীতের সব ভুল।
মহান একাত্তরে এক অসম লড়াইয়ে জিতেছিল দেশপ্রেম
হেরেছিলো বৈষম্য ভরা— প্রবল পরাশক্তি
নিঃশেষে আমিই তোমার প্রেম— প্রেম যাবে জিতে, মেঘনাদবধ কাব্য গড়ে...
হেরে যাবে আর সব ধুম্রজাল,
প্রবল পরাক্রমশালী প্রতিদণ্ডি—
ওগো, আমি যে কেবলই তোমার
যে ঘাটে তোমার বাস আমি কেবল সেখানেই নোঙর ফেলি;
আমার যে হারতে মানা— তাতে তোমাকেও যে হারতে হয় সোনা!
না হলে কবেই যেতাম হেরে!! এই লও কলম...
তুমি আমার ভালোবাসার চক্রবৃদ্ধি-সুদাসল – ক্রমাগত যায় যেন বেড়ে!!!
ওগো তুমি ফিরে এসো, পরম আদরে হৃদয়ে আমার
খেলিবো প্রেমের খেলা তোমার সনে —এই বেলা ;
অপেক্ষা হয়েছে মেলা,
অপেক্ষার হোক অবসান — থেকে থেকে তোমারেই করিতেছি প্রণয়ের আহবান
জানোতো আমি আঁকিয়ে নই
তবু এটুকু বলতে পারি আমার ভালোবাসার রংতুলিতে
— কেবল তুমিই সতত বিরাজমান।
এই তো মহেন্দ্র ক্ষণ, বিজয়ী ডিসেম্বরে ক্ষমা করো ভুল;
তুমি সুন্দরো হে, আমায় বলোগো কবুল!
দাওনাগো তোমার মনোলোভা মন— মৃগনাভী সম রক্তজবা— এক সমুদ্র সুনীল
আমার পাগল মন;
প্রিয়ংবদা, তুমিই আমার সুপ্রিয় ষোলই ডিসেম্বরের বিজয় গাঁথা পত্র —কবিতার ছত্র
ভালোবাসার সুশোভিত গ্লাডিওলাস....