বিপ্লব
শকুনেরা উৎসবে মেতে উঠেছে
এতো খেয়েও ভরেনি উদর
তারা ঘিরে ফেলেছে শব-
তাদের ঠোঁটে লেগে আছে পচা মাংসের গন্ধ
তারা ছেঁয়ে ফেলেছে অনন্ত আকাশ
হে চোখ, তুমি দেখোনা তাদের কল্যাণ
কান তুমি শুনোনা তাদের কথা
তাতে নিহিত রাজ্যের অকল্যাণ।
বিবেক তুমি চোখ বন্ধ খেলো
খোলা আছে কেবল মাত্র একটি পথ
ভোট বিপ্লব, আকাশ ছুঁয়েছে পাপ
এক সাগর মিথ্যে প্রচারণা
চোরদের সর্দার নাকি একজন সন্যাসী
অসীম তাদের টাকা-ক্ষমতা, তাতে বিপন্ন গণতন্ত্র বিপন্ন মানবতা
রক্ষা করো তারে- আর খোলা নেই কোন পথ।
ভালোবাসি তোমাকে
আমার থেকে—তোমাকে ছিনিয়ে নেবার
সুগভীর চক্রান্তের অবতারণা,
সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে
পলাশীর আম্রকাননের ষড়যন্ত্র
যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে এখানে; বিষবাষ্পে ভারি হয়েছে হাওয়া
আমি হাসিমুখে গরল করেছি পান; তবু আজও বেঁচে আছি
মহান স্রষ্টার কৃপায়, এ আমার ২য় জন্ম মৃত্যুঞ্জয়ী আমি
সে তোমারই প্রেমে,
স্বয়ং স্রষ্টা আমাকে আদেশ করেছেন
যেন ভালোবাসি তোমাকেই;
তুমি আমার একান্ত অধিকার,
কীসের এত সংকুচ তোমার সোনার মেয়ে?
তোমাকে কি খেয়ে ফেলেছে রাক্ষস রাজা রাবন?
তাতে তো তোমার কোন দোষ নেই সোনা
আমার কাছে আছে পবিত্র জমজমের জল, আবে কাওছার;
তুমি পবিত্র হয়ে যাবে-—নিঃশেষে সমস্ত কালিমা মুছে যাবে
খুলে যাবে বেহেশতের আটটি স্বর্ণদ্বার;
অতীতের পাতা ফাঁদ থেকে বেড় হয়ে এসো তুমি
বিত্তের বাঁধন ছিড়ে, যেন মুক্ত বিহঙ্গ;
বিলাসের সমুদ্রে তুমি হবে অনন্ত আকাশ
আমি ধ্রুব তারা—নিজেকে লুকিয়ে রেখোনা আর
আমার থেকে—ভালোবাসা থেকে;
কাছে এসে এবার ধরা দাও —রাজকুমারীর বেশে
কোন একরুপোলী রাতে— সারারাত ভালোবেসে বেসে
অবশেষে ওগো দু’জনার মিলবে পরিত্রাণ।
মুছে যাবে যন্ত্রনা— ধূয়ে যাবে কালিমা সব
কেবল ভালোবাসা সত্য বাকী সব মিথ্যে-আবর্জনা
ভালোবাসা সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার সুমিষ্ট ফল যেন আবে কাওসার জল
প্রিয়তমা কেবল সংগম নহে ভালোবাসা
অমরাবতী নদী কখনোই অতলান্তিক নয়;
তবু অসীম গিরিখাত!!
আমাদের সব অপরাধ ধূয়ে যাবে,
—মুছে যাবে পাপ, বৃষ্টিশেষে যেভাবে কেটে যায় মেঘ
ভালোবাসা দেখতে চাইলে কেবল আমাকেই দেখো
প্রতারণা বাকী সব— লোভে শুধুই পাপের সমীকরণ
প্রিয়তমা! তোমার সাত খুন মাফ।