মিষ্টি রৌদ্দর — শিশির ভেজা ঘাস;
পাখির কলতান- উত্তরে হাওয়া,
শীতের আমেজ, দারুন উচ্ছ্বাস —আজিকে আমার প্রাণে,
সকালটা এমনই ছিল আজ।
জীবনের মানে নদী জানে, ঝর্ণা জানে
আর জানে ঐ দূরের আকাশ—আমিও জানি কিছুটা——
তোমার কি জানা আছে?
তোমার গন্তব্য একটাই —সুনীল সাগর .. এই খানে
মাঝখানে তার বন্ধুর পথ— বন্ধুর মত সঙ্গী হলেও
—কষ্টের শিকড় বিছিয়ে পায়ে শ্রান্ত গায়।
ভর দুপুর আমি একেলা— কতো কথা মনে করিতেছে খেলা
ছলনা শেষ কথা নয়; কালোমেঘ কেটে যায়
বর্ষার নবধারা জলে ভেসে যায় আবর্জনা —ভালোবাসা নয়
ভালোবাসা বাঙময়।ভালোবাসা বৃষ্টি হয়ে ঝরে জমিনের বুকে,
ভালোবাসা থেকে যায প্রতিকূলতা জয় করে হেরে যায় প্রহসন
তাইতো সতেজ ভ্রুন—মহেন্দ্র ক্ষণ।
আকাশ কাঁদতে জানে—আমিও জানি কিছুটা
তোমার কি জানা আছে তা——
আকাশ না কাঁদলে….কি হবে ভেবেছো কি কখনো?
ভূমিটা মরুভূমির মতো শুকনো! শীতের ঝরা পাতা!!
আজকের দিনটা অনবদ্য
মনে রেখো জীবনটা নয় মুক্তগদ্য—তোমার গন্তব্য,
একটাইআমার বুকে— এই চাতক ঠুঁটে…
আর সব ছাড়ো—
এখনো আছে ঢের অবশেষ—আকাশের মতই অশেষ…
খেই হারিয়ে ফেলবে—সামলাতে পারবে না
হেরে যাবে প্রতিবার—জানোতো কবিরা হারেনা
হারতে জানে না—
ঋতু পরিক্রমার মতোই আসে ফিরে—বসন্ত যেমন আসে!
যেমন এসেছে শীত!!
শীতের শিশির—মিষ্টি রৌদ
উত্তরে হাওয়া... জেনে যাও এই ক্ষণে, তোমার জীবনের মানে
আমাকে কাছে পাওয়া —ফুলের জন্য যেমন ভ্রমর।
জানে ঐ দূরের আকাশ—জানে ঐ ধ্রুবতারা
আমারো জানা আছে কিছুটা
তোমার কি জানা হলো তা—
হৃদয়ের গভীর থেকে বলো-আজকের সকালে ভোরের শিশির
করিতেছিলো টলোমলো—তুমি কি জানো তা?
..
বি: দ্র: আমার কাছে কবিতা সেটা যেটা শেষ হতে চায়না. যার রেশ থেকে যায়.।