কবিতার অন্বেষণে, হন্যে হয়ে
কোনজনে — তাঁর ছায়া পেয়েছি;
ছলনার সাতকাহন, কত রঙে
রামধনুর এক অবয়ব হিয়ার কোণে
অনেক যতনে এঁকেছি।
এই বুঝি হারিয়ে গেলো—সে !
সুতোকাটা ঘুড়ির মতো।
এই বুঝি পাওয়া হলো তাকে!!
এক পশলা বৃষ্টির মতো— ভীষণরকম খরতাপে।
এমনি করে,—
আশা নিরাশার দোলায়,
বারে বারে সে আমারে- ডুবায় ভাসায়!
প্রশ্ন শুধাই তাঁর কাছে,
ওগো মায়ার সাগর, প্রেমের বীণা, কায়াটি তোমার অদৃশ্য কিনা!!
—ঘোর অমানিশার শশির মতো।
দৃশ্যবতী হলে পরে ওগো মাটির মানুষ— রঙিন ফানুস,
অহংকার তোমার কী শোভা পায়?
তবে বিনয় কেন দূরের আকাশ?
আমি তো কবি এক সাধারণ,
হারাতে চাইনা তোমায়- অকারণ,
বিচ্ছেদের কাব্য গড়ে…
ব্যথার সাগর বুকেই থাকুক— শোকেই মরুক মরুরবনে
ভালোবাসার প্রলেপখানি একটু মাখো— এই প্রাণে মিলন গানে।
এটা তো নয় বেশি চাওয়া,
হেমন্ত—দিন ফুরিয়ে এলো!
শীতের শিশির দূর্বাঘাসে—ঠিকানা পেলো
পাতাঝরার কাব্য করে বসন্ত— ঐ এলো এলো…
কতো বসন্ত! কতো কবিতা!! কতো কোকিল!!!
এক কবিতা আমি লিখি, সাগর সুনীল
গভীরতায়।
কত শত কবিতার সমাহার, পথে— ঘাটে রাজপ্রাসাদে
ভালোবাসার সমীকরণ, মানে না তারা কোনো ব্যকরণ
প্রতীক্ষার অনলে পোড়া খাঁটিসোনা সোনার অঙ্গে পড়ো তারে ।
ওগো দূরের পাহাড়, এসোগো কাছে করিতেছি আহবান
ওগো নৃত্যমুখর রবীন্দ্রগান বসন্ত ঐ আসে আসে----
ছবি: সুপ্রিয় শায়মা হক
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩