বিরহের চাতকিনী
বিরহের চাতকিনী—
আমার ব্যথার দানে —কভু তোমায় চাইনি।
ব্যথার কথা ব্যথাতেই থাক প্রকাশিত না হতে পেরে
আমার ব্যথার পেয়ালা রেখে দেবো তোমার অগোচরে।
তোমার কী দরকার—এত ব্যথার!
ময়না পাখি, তোমায় সুখের মধু দেবো ঢেলে
— তোমার বিরহপিপাসা অবহেলে
তোমার ব্যথার করবো প্রশমন—
তুমি না হয় বিরহেই থাকো-
আমার বিরহে বিরহী না হতে পারার বিরহে ।
আমিতো নই ঠিকাদার—তোমাকে বিরহ বিলোবার।
ইচ্ছে
আমি আছি কৌতুহলে—
কতটুকু বাড়াবাড়ি করলে
তোমার ভালোবাসার অর্ঘ্য মিলে
ততটুকু করবো না হয় —তোমায় কাছে পেতে
আমি কুরুক্ষেত্র করতে পারি বিরচন—
সেই ইতিহাস আমার আছে।
তুমি করিয়ো পাঠ— তা ভালোবাসার জোছনাতে।
ফুলের বনে কোমল আমি কঠোর কভু নই
তোমার কাছে ভালোবাসা পেলেই কেবল
ধন্য আমি হই।
জলদ
তুমি শুধু জল দেবে
বেদনার নোনাজল—নতুবা আনন্দ অশ্রু
দুই চোখে;
জানি আরো জল—পারো দিতে
ভাসিয়ে স্বর্গসুখে।
চোখ
যে চোখ অপরের দোষ খুঁজে
আর নিজোস্বার্থ—স্তুতি, সেই চোখ
গন্দম ফলের মতই পরিত্যাজ্য।
যদি পারো দেখো—ভালোবাসার চক্ষে সারা বিশ্ব
ভালোবাসা মুছে দেয় সব কালিমা
ভালোবাসা ছাড়া সবি নিঃস্ব।
ভালোবাসার হয় না কোন দাগ
ভালোবাসা, আমার কাছে তোমার ন্যায্য আহলাদ।
ভালোবাসা
আমার ইচ্ছে পাখিটিকে বলেছি—
তোমার মর্জিমাফিক রুটিন বানিয়ে নিতে
আমার জিহবাকে করিয়েছি পণ—
তোমার রসনার নির্দেশনায় ভক্ষণ করে নিতে।
এমনি করে আমার দুটি পা-তারা যেন অবাধ্য হয় না
তোমার পথে তোমার করে করটি রেখে চলাতে।
এমনি করে আমার সারা দেহ আর মন
তোমার জন্যে নিবেদিত
তুমিই বলো তোমার ভালোবাসা পাবার
যোগ্য —আমি কিনা এখন।
অবিচার
যাদের পৃথিবীতে স্রষ্টা নেই
অমূলক কিছু সৃষ্টি করতে
তাদের কোন বাঁধা নেই ।
যাদের নেই কোন বিচার দিনের ভয়
সুবিচার কি আর তাদের দিয়ে হয়?
বিবেক তাদের যায় মরে ক্ষমতার লোভে পরে
অবনীর বুকে অবিচার তারা এমনি করেই করে।