ধূলি যদি জোটে পায়ে
আমার তো নাই অভিযোগ
চলতে গেলে পথে—ধূলি যদি জোটে পায়ে
সেতো দোষের কিছু নয়;
পথচলার প্রামান্য দলিলমাত্র
জীবন মানে থেমে থাকা নয়।
ঝকঝকে তকতকে থালাবাসুনের স্বার্থকতা
উনুন আর ছালুনের দৌরাত্ম্যে
জর্জরিত হওয়াতে—শুধু ধূয়ে নিতে হয়।
জাদুঘরে রেখে তাদের—কী স্বার্থকতা?
কাজেই তার আসল পরিচয়;
রূপতার ক্ষয়ে যায়—ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের মতো
পূর্ণ হয়না আর—কারণ থালা তো চাঁদ নয় ।
নাই কাজ যার কে রাখে যতনে তারে
নষ্ট টিউব লাইট রাখেনা কেউ মাথার উপরে
ছুড়ে ফেলে আবর্জনাস্তূপে।
ক্ষণিকের এই চরাচরে— সোনা নয়; লোহা গড়েছে সভ্যতা
নিজেকে আগুনে পুড়ে পুড়ে।
সব বুঝেও এটুকু বুঝনা!!!
মিথ্যার বাক্স করে— মিথ্যার প্রচারণা
যেখানে সত্য বাস করেনা
মিথ্যা দিকভ্রান্ত করে শুধু
মিথ্যায় ভুল কর্মপরিকল্পনা।
বিবিসির কি আর আছে দেশপ্রেম
সে বুঝেনা —কিছু স্বার্থ ছাড়া
তোমাকে আড়ালে অবজ্ঞা করে
তোমার কানে গরল ঢেলে দেয়।
তুমিও কম নও তাদের কথার ফাঁদে পড়ে
ঘুরতে থাকো ঘৃণার চক্রবাকে
জানোতো কয়লা ধুলে ময়লা যায়না
এখনই প্রত্যাখ্যান করো তারে।
তুমি ঠিকই জানো কে তোমার সুহৃদ?
কে লিখে কবিতা? সশ্রদ্ধ ভালোবাসায়
আর কাদের জীবন কেটেছে শয়তানের আড্ডায়?
তোমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর দোষারোপ করে।
তার সঙ্গেই গড় ভিত —যে তোমারে দিয়েছে প্রেরণা
চলার পথে… কাছে থেকে অথবা দূরে।
কাছে গিয়ে গরল ঢেলে —তোমাকে বিষাক্ত করে
এ কেমন কর্মপরিকল্পনা—
হায়!!! সব বুঝেও এটুকু বুঝনা!!!
দিকভ্রান্ত পথিক
শরীরের জন্য মাথা যেমন
দ্বীনের জন্য নামায তেমন
কেনো চলো কেবল বেনামাযী অথবা ….
তুমি কোথায় আছো? বেহেশত খানায় নাকি জাহান্নামে
হে অভিযাত্রী! কোন পথে চলছো?
হয়তো গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে না।
বেনামাযী কতটুকু মুসলমান—ভেবে দেখেছো কী??
বয়েসী বট
কি সাবলিল পথচলা তার—তোমার সাথে
পায়ে হেঁটে হেঁটে
আমি কেন পারি না?
বয়েসী বটের সুশীতল ছায়া
তোমারও লাগে ভালো—
আমারও ঠিক তাই
একদিন আমিও হবো বয়েসী বট
আমিও গড়িবো— ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়
তুমি থাকবে সেথা।
ছারপোকা!!
কথা হলো আমানত
আমানতের খেয়ানত
মুনাফিকের লক্ষণ—
মুনাফিকের বাস
জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে
তুই তো কিছু নস
পাপিষ্ঠের পিয়ন ছাড়া।
কিসের অহংকার তোর ছারপোকা!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১২