মুখ ফুটে বলার কিছু নেই
কারা যেন ওৎ পেতে থাকে সবখানেই
হয়তো মনের ভ্রম—আমি ভেবে ভেবে অধীর
তোমার সম্ভ্রম। মন তো মানে না সখি,
তুমিহীনতা,
আমার ময়না পাখি....
আজ স্পর্শ না করেই লিখি—
তোমাকে না দেখেই লিখি—
অধীর হয়ে থাকলে
প্রতীক্ষার কবিতারা কেমন হয়
তুমি বুঝবে! হয়তো আমায় খুঁজবে—
পথহারা নাবিক যেমন খোঁজে ধ্রুব তারা ।
এই শুনো ! আমি কী তোমার ধ্রুব তারা?
তুমিও কী হারাও পথ—আমি ছাড়া?
আমি অধীর হয়ে থাকি—
নাকি আজ তুমি ক্ষণিকের বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত?—
কেমন স্বচ্ছন্দ তুমি? সেটাই দেখাবো অথবা দেখবো আজ।
আমি মখমলের গালিচা বিছিয়ে দেবো তোমার পদতলে
কন্টক তার ছুঁয়া যেন না পায় ।
মুখ ফুটে বলার কিছু নেই
ভালোবাসার থার্মোমিটার বলে দিয়েছে
আমার প্রমানিত ভালোবাসার মাত্রা—তোমার প্রতি
তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
তোমার প্রখর স্মরণ শক্তি—জানিগো দেবে না তোমায় মুক্তি
আমার ছোঁয়ায় উছলিয়া ওঠে তোমার দেহের ভাঁজ —নদীর কারুকাজ
একদিন ভালোবাসবো না হয়—একসাগর ভালোবাসা..
এই জানোতো !
শুধু রূপ দেখে হয়না প্রেম
স্বর্গ থেকে আসে তা—সব প্রেম হয়না কবিতা।
ঝগড়া-ঝাটি-হানাহানি-কোন্দলে লিপ্ত মানুষ শ্রেষ্ঠ মাখলুক
কারণ একটাই—তারা ভালোবাসতে জানে; সংসারটা গড়তে জানে।
ভালোবাসেন স্রষ্টা—ভালোবাসা প্রতিহত করে সকল অনাসৃষ্টি
ভালোবাসা যেন তপ্ত মরুর বুকে সুশীতল বৃষ্টি।
ভালোবাসা করে যায় সৃষ্টি—নিরবে নিভৃতে বসন্ত বাতায়নে
ঘুঘু ডাকা হিজলের বনে।
মনে রেখো —মনে রেখো
সঙ্গোপনে আমারে মনে মনে এঁকো—তোমার খাতায়
আবার ঢের বেশি বাস্তবতায়।
ভালোবেসে পরিপূর্ণ মানুষ হয় —নারী আর নর;
আমার ভালোবাসা প্রিয়তমা করেছে ভর— তোমার উপর।
আজ না হয় না ছুঁয়ে দেখি—
তবু বুঝবে তুমি— ভালোবাসা সত্য না মেঁকি...
যদি আমি থাকি —একা।
আমার ভালো কি আর লাগে?
অশান্ত যৌবন যেন পূর্ণিমার আকাশের পূর্ণ শশীর মতো জাগে।
আজ না হয় না দেখি—আজ না হয় না ছুঁই
একদিন খুব করে ছুঁয়ে দেবো—আদরে সোহাগে ভরিয়ে দেবো
সুপ্রিয় রক্ত গোলাপ, খুব ভালো থেকো...
ভোরের হাওয়ায়
ফুলেরা
যেমন
থাকে।
আমার সফলতা তোমায় কাছে পাওয়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১