স্বর্গরাজ্যে হুরপরীদের সৃষ্টি করার পর বেশ কিছু রূপলাবণ্য অবিশষ্ট ছিল। সেই অবশিষ্ট রূপ লাবণ্য দিয়া বিধাতা তেসোকে সৃষ্টি করেছেন।নাহলে এই মর্ত্যরে পৃথিবীতে এমন সুন্দর মেয়ের অবির্ভাব হয় কিভাবে? তেসোকে দেখলে স্বর্গের দেবী বলে ভুল হবে।মনে হবে স্বপ্নে দেখা যাচ্ছে। চিমটি কাটার পর প্রচন্ড ব্যথায় বাস্তবতার প্রমাণ মিলবে। রূপবতীর চেয়ে বেশি কিছু ।যেটকু বেশি সেটুকু লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সুমিতের সঙ্গে তেসোর প্রথম সাক্ষাৎ এগোরাতে। রাইফেলস স্কোয়ারের সামনে।কি যেন কিনতে গিয়েছিল সুমিত তা মনে নেই তবে এটুকু মনে আছে ভরা পূর্ণিমার রূপ নিয়ে তেসো আগমন।সঙ্গে মর্তের পৃথিবীর দুইজন মেয়ে তার বান্ধবী।তারপরের সময় গুলো অন্যকিছু নয় শুধুই তেসোময়।তেসোর পেছন পেছন ছুটতে ছুটতে ধানমন্ডী লেক ধরে রবীন্দ্রস্মরনী পর্যন্ত। লাভ এট ফারস্ট সাইট।
তেসো অবশ্য বেশ উস্মা ঝেড়েছিল সুমিতের উপর। তার ভাষায় সুমিতের মতন ছ্যাবলা সে আর জীবনে দেখেনি। ছ্যাবলামো করে প্রথম ছ্যাবলা শব্দটার সঙ্গে সুমিতের পরিচয় হলো। যতটুকু বুঝলো তা মহান।ওই শব্দটা তেসোর মুখে মানায়নি। ঐ অপরূপ রূপসীর ওষ্ঠ দিয়ে শুধু রবীঠাকুরের অঝোর কাব্য আর সমুধর সঙ্গীতের অনুরণন হতে পারে অন্য কিছু নয়। বিমুগ্ধ সুমিতের হৃদয় নিংড়ানো প্রশ্ন ,
এই যে আপনার নামটি কি?
কেন?আপনাকে নাম বলতে যাব কেন?পেছন পেছন দুই কিলোমিটার কষ্ট করে হেটে এসেছেন তাই।মেয়েদের পিছনে হাটতে খুব ভাল লাগে তাইনা ? এই পর্যন্ত কয়জনের পেছনে এই রকম ছ্যাবলার মত হেটেছেন।
জি?মানে একজনও নয়।বিশ্বাস করুন জীবনের এই প্রথম কারো পেছনে ছুটেছি। নাম জিঞ্জাসা করেছি। আপনাকে দেখে মনে হল আপনি মানুষ নন অপসরা। মনের অজান্তে ছুটে এসেছি। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে যেমন পোকারা ছুটে আসে তেমনি।অপসরার মন হবে সমুদ্রের মতন বিশাল। তারা কোন মানুষকে বিমুখ করবে না এত সুন্দর মুখ থেকে শুধু মধুর ধারা প্রবাহিত হবে। সেই সমুধর ধারা পান করে শ্রান্ত ক্লান্ত প্রেমিক মন প্রশান্ত হবে তৃষ্ণা মেটাবে।অপসরা আপনার নামটা জানতে পারি কি?
আমার নাম তেসো।
এটা কেমন নাম হলো। সত্যি তেসো? জন্মেও এমন নাম শুনিনি। এমন নাম রাখার হেতু কি? জানতে পারি?
তেসো নামটি রেখেছে আমার বাবা। তার যুক্তিতে পৃথিবীর কোন মেয়ে আমার মত সুন্দর নয়। তিনি নিশ্চিত আমি অপসরা বা পরী গোত্রের কেউ। তাই জাগতিক নারী নাম গুলি আমার জন্য বেমানান। তাই এমন নামটি আমার জন্য মর্ত্যের পৃথিবীতে এল।
আসলেই আপনি আনপ্যারালাল রূপবতী তেসো। জীবনান্দ দাশ আপনার নাম দিতেন আকাশলীনা ,সুরঞ্জণা,বনলতাসেন এবং সেটা নাটোরের। সুনীল বাবু নাম দিতেন নীরা।শরৎবাবু পার্বতী ।রবিঠাকুর হেমন্তী। তেসো আপনি অসাধারণ।
তো ?
আপনার বন্ধু হতে চাই।
সুমিতকে অবাক করে দিয়ে তেসো তার বন্ধু হলো ।বন্ধুত্ব গ্রহণ করলো বলল আপনার আরজি কবুলকরা হলো। সুমিতের বিশ্বাস হচ্ছিল না! তেসোর মমতায় তার প্রতি শ্রদ্ধাবণত চিত্তে মাথা ঝুকালো।
নাচে আলো নাচে ও ভাই
আমার প্রাণের কাছে
বাজে আলো বাজে ও ভাই
হৃদয়বীণার মাঝে
জাগে আকাশ ছুটে বাতাস
হাসে সকল ধরা
আলো আমার আলো ওগো আলো ভূবন ভরা
আলো নয়ন ধোয়া আমার
আলোর হৃদয় হরা
আলোর স্রোতে পাল তুলেছে
হাজার প্রজাপতি
আলোর ঢেউয়ে উঠলো মেতে
মল্লিকা মালতি
মেঘে মেঘে সোনা
ও ভাই যায় না মানিক গুণা
পাতায় পাতায় হাসি
ও ভাই পূলক রাশি রাশি
সুর ও নদীর কূল ডুবেছে শুধা নি ঝরঝরা
তেসো রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। খুব ভাল রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়। সুমিতকে গেয়ে শুনিয়েছে। সেসমস্ত সঙ্গীত শ্রবণে সুমিত স্বর্গরাজ্যে বিচরণ করেছে। স্বর্গানুভূতি। তবে সুমিতের মনে আশঙকা এমন রূপবতী মেয়ে ,তাকে ভালবাসতে চাবে অনেকেই।সেটাই স্বাভাবিক।একটি প্রশ্ন সুমিতের মনে বারবার বেজে ওঠে।
একদিন সাহস করে বলে ফেলে সুমিত। তেসো তুমি কি কাউকে ভালবাসো? তেসোর নিশ্চুপ হয়ে থাকা দেখে সুমিত হতবিহবল হয়ে যায়। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়।সুমিত মনে মনে ধরে নেয় তেসোর বন্ধু আছে। বয়ফ্রেন্ড আছে। সুমিত শোড কুইট। এমন সময় তেসোর কথায় নিরবতা ভাঙ্গে।
হ্যা ।সুমিত আছে। সে আমার বিএফ।
মানে বয়ফ্রেন্ড!
না বেস্ট ফ্রেন্ড ।ওকে আমি সব শেয়ার করি।
সুমিত আশাহত হয় দারুণভাবে। সেও তো সব তেসোকে শেয়ার করে।তেসো তাকে মমতা দেয় ,স্নেহ দেয়,ভালবাসা দেয়,আশ্রয় দেয়,প্রশ্রয় দেয়,শাসন করে ,রাগ করে।সুমিতের অযোগ্যতায় কষ্ট পায়।সাফল্যে আনন্দ পায়। নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতে থাকে সুমিত। তেসোর বেস্ট ফ্রেন্ড জানার আগ্রহ আর কাজ করে না সুমিতের।
আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে
বসন্তের বাতাস টুকুর মত
সে যে ছুঁয়ে গেল নুয়ে গেল হে
ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত
সুমিত মনে মনে কঠোর হতে থাকে।তাকে কঠিন হতে হবে।নিষ্ঠুর ধরণী। ঐশী তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে।নিষ্ঠুরতার চরম দৃষ্টান্ত রেখেছে।যদিও সেটা পরিস্থিতির কারণ হয়।রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে তার ইয়াত্তা নাই।সুমিত হত্যা করবে তার ভালবাসাকে। তেসোর প্রতি তার যে ভালবাসা সেটিকে চিতার অনলে জ্বালাবে।মরবে যেহেতু সুমিতের ভালবাসা মরুক।তেসোরটা বেঁচে থাকুক ,বিস্তৃত হোক,বিকশিত হোক।তেসোর মনে কষ্ট দেয়া ঠিক হবে না।
কিন্তু সুমিতের ভাললাগা অনূভূতি জুড়ে তেসোর অবস্থান। অনেক ভালবাসা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ফরীদির প্রতি সুবর্ণার ভালবাসা। টাকার কাছে বৃদ্ধা বয়সে বিক্রি হয়ে গেছে। সৌদ সাহেবের ধানমন্ডিতে দুই বিঘার উপর জমিতে বাড়ী ।যদিও শুনা কথা। সুবর্ণার মত লোভী সেলিব্রীটি বিক্রি হয়ে গেছে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু । সৌদ সাহেবের যাতা নাটকে অভিনয় করে সুবর্ণা নতুনভাবে পচছেন।ক্রমাগত একটু একটু করে নিঃশেষ হচ্ছেন। এই একটু একটু নিশেঃষ হওয়াটাই তিনি টাকার বিনিময়ে এক্সচেঞ্জ করেছেন। হুয়াট এ প্রফিটেবল এক্সেচেঞ্জ!
এর বিপরীত আছে বিত্ত বৈভব বর্জনের ভালবাসা। যে ভালবাসায় মানবিকতার বিজয় হয়। সেই ভালবাসায় মানুষের মনুসত্বের বিজয় হয়।তেসো কি পারবে তেমনটি? সুমিতের বিভ্রান্তি কেটে যায়। বাস্তবতায় ফিরে আসে তেসোকে নিয়ে এমনভাবে ভাবছে কেন সে। তেসো তো শুধু তার বন্ধু । তেসো তো তাকে জানিয়ে দিয়েছে যে তার একজন বেস্ট ফ্রেন্ড আছে।
তেসো সুমিতের মধ্যে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। তেসো নিজ থেকেই বলেছে সে কখনোই তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবে না। একদিন হঠাৎ করে বলে ফেলল তেসো যে সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুমিতের সঙ্গে ক্রমাগত ঝগড়া হওয়ার কারণে নাকি সে এমনটি করেছে।কি ঝগড়া? সবাই ওর মনে কস্ট দিলে সব কস্ট গুলো সুমিতের উপর ছেড়ে দিয়ে হালকা হয় তেসো।সেটাই নাকি ঝগড়া।সুমিত সেই ঝগড়া ভালবাসে কারণ এতে তার প্রাণ প্রিয় তেসোর মন ভাল হয়ে যায়।সুমিত তেসোকে সুখী দেখতে চায়। সুমিতের শান্তির মিছিলে তেসোর কুরুক্ষেত্র রচনা।
সুমিত জানে তেসোর বিয়ে হওয়া মানেই সুমিতের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ। তেসোর ব্রেস্ট ফ্রেন্ড নিশ্চয় সুমিতের ছ্যাবলামো সহ্য করবে না। সুমিত কি করবে তেসো হলো সুমিতের অক্সিজেন। ও থাকলে সুমিত আছে ।না থাকলে নাই।তবু সুমিত ভাবে সে মরে হলেও তেসো সুখে থাক।
সুমিত চেষ্টা করেছে তেসোর মনে প্রেম জন্মানোর জন্য। তাকে কনভিন্স করার জন্য।সুমিত তেসোকে বলেছিল তাকে নিয়ে যাবে সে সীতাকুন্ড পাহাড়ে গহীণ অরণ্যে যেখানে ঝুলন্ত উপত্যকা আছে সাধারণ মানুষ যায়না ।উপজাতিদের নিরব বিচরণ।সুমিত প্রশ্ন করে সেখানে গিয়েছো কখনো?তেসো বলে না গেলেও বলবো গিয়েছি।সেখানে কেন নিতে চাও।সুমিত বলে , তোমাকে সিডিওস করবো।প্রকৃতির রূপসুধা পানে তোমার ভীতরে অপার প্রেমের সৃষ্টি হবে। সেখানে শুধু আমাকেই পাবে। সেসব প্রচেষ্টা সব আজ বিফল।
প্রচন্ড ব্যস্ততায় দিন চলছ্ সেই সঙ্গে তেসোকে ভুলে যাওয়ার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা।যে তেসোর সান্নিধ্যে সুমিত জাহান্নামে বসে ও হাসে পুষ্পের হাসি। সেই তেসোকে ভুলার প্রক্রিয়ার যুক্ত হয়েছে চাচাত বোনের হাজবেন্ডের তীব্র অসুস্থতা।বেচারা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেছেন বেশ ।মদ জুয়া টিকটিকির লেজ কিছুই বাদ দেন নাই। যাবতীয় নেশাকর দ্রব্য তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।সুমিত ভেবে কূল কিনারা পায়না মানুষ কেন নেশা করে। নেশাখুরদের কেন মেয়েরা ভালবেসে বিয়ে করে। সে প্যানক্রিয়াসাইটোসিস নাম জটিল পীড়ায় আক্রান্ত।প্রাণঘাতি রোগ। একসময় এ রোগ হওয়া মানে নিশ্চিৎ মৃত্যু ছিল। এখন চিকিৎসা বেরিয়েছে। খুব অল্প সংখ্যক লোক তা থেকে বেঁচে ওঠে।প্যানক্রিয়া মানবদেহের শরীরের ভিতর এমন একটিমাত্র অঙ্গ যার কোন কভার বা আবরণ নেই।ছোট্ট সেটি যখন আক্রান্ত হয় সাইড ইফেক্ট হিসেবে শরীরের অন্য কোন অঙ্গ যেমন ব্রেন,লাংস এগুলিকে এফেক্ট করে।এমনটি হলে বেঁচে ওঠা অনিশ্চিৎ হয়ে যায়।সুমিতের বোনজামাইকে আইসি ইউতে রাখা হয়েছে।সুমিত তার ভালবাসার পরণতি আর বোনজামাইয়ের পরিণতির মধ্যে অদৃষ্টের ইংগিত অনুসন্ধান করে। তেসোর প্রতি সুমিতের প্রেমও আইসিও তে। সুমিতের বোনজামাইয়ের লাংস আক্রান্ত হয়েছে।তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সুমিত এর প্রেমের লাইফ সাপোর্টও নাই।চারদিকে বেইমানের শিষ্যদের দৌড়াত্ব। অপারেশন তারিখ ঠিক হয় সুমিতের দুলাভাইয়ের অপারেশনের জন্য। লাইফ সাপোর্ট সরাতে হবে।সরিয়ে ফেলা হয়েছে।বারো ঘন্টা পর অপারেশন। এমন সময় তার মৃত্যু হলো ।সুমিত সেটিকে তার ভালবাসার সঙ্গে মিলিয়ে তার ভালবাসার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। চারিদিকে বেদনা বিধুর পরিবেশ। মানুষটার চিরবিদায়ের প্রস্তুতি চলছে।
হে ক্ষণিকের অতীথি
এলে প্রভাতে কারে চাহিয়া
ঝরা শেফালীর পথ বাহিয়া।
এমন বিয়োগ বেদনা পার হতে না হতেই গুমড়া মুখে তেসোর এক বান্ধবীর আগমন। হাতে একটা খাম।খামটি সুমিতের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এটি তেসো দিয়েছে।খামটার ভিতরে কার্ড হবে বোধ হয়।ওখানে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর আছে।আমি যাওয়ার পর খুলবেন। তার বিদায়ের পর দারুণ উৎকন্ঠা নিয়ে কার্ডটি বের করে সুমিত নিশ্চিৎ ওটা তেসোর আর তার বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ের দাওয়াত কার্ড হবে ! কার্ডটি বের করে নিশ্চিৎ হয় এটি তা নয়। তাতে স্পষ্ট করে লিখা
সুমিত,
তুমিই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।
ইতি তেসো
----------------------------------------
ছবি-গুগল
বর্ষপূর্তিতে সকল সহব্লগারগণকে কৃতজ্ঞতা
প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করি জানা আপু, আমিনুর রহমান ভাই, আরজুপনি আপু, স্বর্ণা আপু,কায়রো ভাই দের ।জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি লাঞ্ছনা এগুলো থকবেই। মহামনীষীরাও মিথ্যা অপবাদ থেকে রেহায় পাননি। মুসা নবীকে এক পতিতার মাধ্যমে মিথ্য অপবাদ দেয়া হলো ব্যভিচারের । কারুণ প্রকাশ্যে মিথ্যে প্রমানিত হলো এবং আল্লাহর আজাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হলো কারুণ।তার সম্পদ সহ মাটিতে ডেবে গেল ।প্রায় সব নবীকে পাগল বলা হয়েছে। হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। মেরে ফেলার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।এমনকি অনেক বড় জ্ঞানী দার্শনিকও জীবন পর্যন্ত দিয়েছেন। তবে যারা অপবাদ দেয় তারা ভয়ানক গুনাহগার। মুসলমানের জান মাল ও ইজ্জত অপর মুসলমানের জন্য হারাম করা হয়েছে।যে কারো অসম্মান করবে আল্লাহ তার অসম্মান করবে। বর্ষপূর্তি হয়ে গেল। অনেককে নিয়ে ব্যাপক আনন্দ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে ব্লগিং করেছি।তাই সহযোগী ব্লগারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কোন সীমা পরিসীমা নাই।
সবসময় যাদের পাশে পেয়েছি সেই সমস্ত নক্ষত্র তুল্য সহযোগী ব্লগারদের শ্রদ্ধা জানাই। আশাজাগানিয়া আরজুপনি আপুকে সবার আগে। তারপর কান্ডারী অথর্ব,বোকামন,ঘুড্ডির পাইলট ,নেক্সাস ভাই,একজন আরমান, অপূর্ণ,সায়েম মুন, মাক্স ,শিপু ভাই, জুন আপু,শরৎ, রোজোয়ানা আপু ,কুনো ব্যাঙ,মেহেদী হাসান মানিক,টুম্পামনি,বিথী আপু,হায়াত ভাই,চেয়ারম্যান,ৎঁৎঁৎঁ,মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,মামুন রশিদ, ব্লগার বর্ষণ , মিসির আলী ,পরিবেশ বন্ধু, কাল্পনিক ভালবাসা ,শরৎ, স্বপ্নবাজ অভি, স্বর্ণা ,কায়রো ভাই, খেয়াঘাট,তন্দ্রাবিলাস, কালোপরী, লিটন ভাই,সোনালী ডানার চিল,সিন্গ্ধ শোভন,কুনোব্যাঙ, রাইসুল নয়ন,রাইসুল সাগর,লাবনি আক্তার, বনলতা মুনিয়া, প্রিয়তমেষু,অনিীনদিতা, মদন ভাই, সোনাবীজ ভাই, নীল দর্পন, সহ মনে পরা না পরা সকল সহব্লগারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।বিশেষভাবে শ্রদ্ধেয় শায়মামনিকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো অনেকে যারা আমার ব্লগে এসে কমেন্ট করে উৎসাহিত করেছেন তাদের সবাইকে। যারা সমালোচনা করে আমাকে উৎকর্ষ সাধনে উদ্বুদ্ধ করেছেন তাদেরকেও অভিনন্দন।
মন্দ আছে বলেই ভালকে এত ভাল লাগে। ভালকে চিনে নিতে পারা যায় অনায়াসে। তাই সবাই আমাকে প্রকারান্তরে উৎসাহিতই করেছেন। আমার ব্লগিং এর যাত্রা শুরু নন্দিত অভিনেতা ফরীদির মৃত্যু থেকে। তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত হই। তাই দুঃখ দিয়েই ব্লগিং এর শুরু। তবে এখানে এসে ব্যাপক আনন্দ পেয়েছি। উপভোগ করার মুহূর্ত পেয়েছি। জানা অজানা অনেক কিছুই নতুন করে উপলব্ধি করার সুযোগ পেয়েছি। দেশমাতৃকা ,জাতীয় পতাকা,স্বাধীনতা মানবতা প্রভৃতি ব্যাপারগুলো মানব জীবনে সত্যিকার অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু । ব্লগে এসে নতুন বন্ধু জোটেছে প্রচুর ।দারুণ সৃজনশীল কিছু মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি । তাই সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা থাকলো ।
মানুষ অল্প কদিন বাঁচে ।বেঁচে থাকাটা দারুণ একটা ব্যাপার। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ নিজে সুখে থাকা ও অপরকে সুখে রাখা। সুখের জীবন লাভ করুক আমার সকল সহযোগী বন্ধু ।সবাই সাফল্যমন্ডিত জীবন লাভ করুন সেই শুভকামনা থাকলো ।
অনেকের নাম উল্লেখ করতে পারিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২