সংসর্গ
সাজ্জাদ শুভ
ধরো,
পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছি বিরান এক পথে,
তুমি কি ভয় পেয়ে হাত ধরবে??
নাকি দুরত্ব রাখবে-
ছুঁতে চাইবে না পাপীষ্ঠের হাত।
আচ্ছা, সমান্তরালে চলার সংজ্ঞা কি??
রেললাইন হয়তোবা-
পাশাপাশি থাকবো, চলবো, কথা হবে, দেখা হবে,
কিন্তু কভু ছুঁয়ে দেখা হবে না।।
আচ্ছা আমার কি বলতে ইচ্ছে করে না,
বৃষ্টিতে তোমার ঠান্ডা লেগেছে কি না, গরমে তুমি ঘেমে যাচ্ছো কি না??
তোমার কপাল ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় জ্বরের উত্তাপ।
তোমার ঠোঁট তির তির করে কেঁপে, এই শীতের সকালে কি বলতে চায়।
আমি হয়তো অসম্পূর্ণ প্রেমিক,
প্রেমিকার অভিযোগের কারণ।।
তোমায় না ছুঁয়ে অপবিত্র পুরুষ,
চোখের অবারিত বারিধারার কারণ।
সেদিন প্রেমিকা হতে না পারার দুঃখে দুঃখী কি তুমি একা??
আমি কি নই!!
অমন হুট করে যে সব হবে, জানতাম কি আমি??
তোমায় একা ফেলে চলে যাওয়া কাপুরুষ আমি??
তাই বলে কি এতোই ঘৃণা আমায়,
একবার ছুঁয়ে দেখো না আমায়, তোমার স্পর্শে পবিত্র করো।
অপাঙ্কতেয় কবিতার জন্ম দাও এই হৃদয় জোসনায়।ক্রন্দসী পৃথিবীর বুকে ভিসুভিয়াস বন্ধ করো।
একটু ছোঁয়া দাও প্রিয়তমা,
সমান্তরাল পৃথিবী ছেড়ে একবার সঙ্গমস্থলে মিলিত হও,
অশান্ত সাগরের বুকে একবার মিশে যাও প্রিয়তমা নদী।
আমি হাজার রাত্রি কাটিয়েছি বিনিদ্র,
তুমি উদ্ধার করো এই হৃদয় মহাসমুদ্র।
শেষের কবিতা লিখে অমর করো এই প্রেম,
শান্ত হোক এই অবাধ্য ঘুর্ণিঝড়,
কোন এক পবিত্র চুম্বনে।