তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক, তুই আছিস;
তুই আছিস বলেই আমি
আঁধারেও নির্ভয় থাকি
প্রবল শীতে হৃদয়পুরীতে
মিষ্টিরোদের ঝিলিক খেলে
তুই আছিস বলেই।
তুই আছিস বলেই আমি
রোজ রোজ কবিতা লিখছি
গান শুনছি, গান গাইছি,
বিশ্বকে শেখার চেষ্টা করছি
সময়ের চেয়েও দ্রুত চলার
যত কায়দাকানুন খুঁজে পাই
তার সবটাকে রপ্ত করে নিচ্ছি
তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক, তুই আছিস।
তুই আছিস বলেই গভীররাত্রি
এলোমেলে চিন্তায় কাটছে না
পুরো মস্তিষ্কে তোর আধিপত্য,
তুই আছিস বলেই মেঘবৃষ্টি
চোখের কার্ণিশে ঝড় এলেও
হুট-হাট মন খারাপ করেনা
তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক, তুই আছিস।
তুই আছিস বলেই হাসছি
বুকের ভেতরকার আর্তনাদ
তৃতীয় কারো কানে পৌঁছেনি
তুই আছিস বলেই আঁকছি
কবিতার ছেঁড়া খাতাটাও
রত্নের মতো যত্নে সাজানো
তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক, তুই আছিস।
গল্পের যে মোড়ে আমি
নিজেকে আবিষ্কার করলাম
যেভাবেই লিখি,যেভাবেই বলি
পৃথিবীর জন্য নতুন না জানি
অনেকের সাথেই মিশে যাবো
কাহিনীটাই এমন, একই সূত্র।
তুই আছিস বলেই হাটঁছি।
তবে সমানুভূতির মানুষের
ভীড় ঠেলে; গল্পের এ মোড়,
এ ভীড় থেকে নিজেকে আমি
সরিয়ে নিয়ে এসেছি,পেরেছি।
তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক, তুই আছিস।
নিঃশ্বাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা
শেখার প্রতি তীব্র আগ্রহ আর
চারপাশে ভালবাসা ছড়িয়ে
বেঁচে থাকার সাহস, শক্তি
এসব কিছু সম্ভব হয়েছে
শুধুমাত্র একটি বিশ্বাস থেকে,
প্রেমের অমোঘ প্রতিমা হয়ে
পৃৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে
এ জন্মে নয়তো পুনর্জন্মে
আমার, একান্ত আমার তরেই
তুই আছিস; যেখানেই হোক,
তোর ইচ্ছে থাকুক কিংবা
নাইবা থাকুক; তুই আছিস।