somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

HSC এর পর CA – জীবনের সবচে বড় ভুল করবেন না

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ICAB নির্দিষ্ট শর্ত ও যোগ্যতা সাপেক্ষে HSC এর পর সিএ ফার্মে ভর্তি হবার সুযোগ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রেখেছে। এটাকে খারাপ বা ভাল – কোনটাই বলব না। আজকে বাস্তবতাটি তুলে ধরব কি করে যারা HSC এর পর সিএ করতে আসে।
কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে, মূলত তারাই সিএ করতে চায় যাদের হয় রেজাল্ট ভাল হয়নি, পরিবার থেকে চাপ আছে, খুব অল্প সময়ে সিএ পাশ করে লাখ লাখ টাকা কামানোর ইচ্ছা। এবার আসুন আমাদের দেশের সিএ পড়া কেমন সেটা দেখিঃ
১. সিএ পুরোটা ইংরেজিতে, তাই যারা ইংরেজিতে দুর্বল, তারা সমস্যায় পড়ে। অনেকে ঠিকমত লিখতে না পারার জন্য সিএ পাশ করছে না।
২. এবার আসি পড়ালেখায়; সিএ – তে ইংরেজি না বুঝতে পারায় বইতে কি আছে আর ক্লাসে স্যার কি পড়াচ্ছে – ভাল করে বুঝতে পারে না।
৩. অনেকের শব্দভান্ডার বা Vocabulary ভাল নয়। ফলে, পড়তে বসে বার বার শব্দার্থ দেখতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে যায়, হতাশায় পড়ে যায়। আবার পরীক্ষায় নতুন শব্দ দেখে প্রশ্নই বুঝে না কি চেয়েছে। হয়ত ঐটার উত্তর সে বেশ ভালই পারত।
৪. সিএ ফার্ম এ নিয়মিত অফিস করতে হয়। যদিও আমরা এদের স্টুডেন্ট বলি, মূলত নিয়মিত কর্মীর মতন জব করতে হয়। সকাল ৯ টা থেকে রাত অবধি কাজ করতে হয়। কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ সময়ই, একদম শেষ সময়ে অডিট এর জন্য অডিটরকে ডাকে। ফলে সময়ের প্রচন্ড অভাব থাকে। এই অভাব শেষমেষ বেচারা সিএদের সময়ের উপর দিয়েই যায়।
৫. এবার মজার বিষয়। এত রাত পর্যন্ত কাজ করে পড়াটা কতটা চ্যালেঞ্জিং সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?

ফার্মে ভর্তির পরপরই, বা ঐ একই সময় এই HSC থেকে আসা স্টুরা কোথাও না কোথাও অনার্স এ ভর্তি হয় (এটা ১০০% অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ; এটা নিয়ে কেউ কোন কথা বলে না)। ফলে অনার্স আর সিএ – দুইটা একসাথে চালায় এই HSC এর পর সিএ করতে আশা ৯০%+ স্টুরা। এরা না পারে কাজে মন দিতে, না পারে অনার্স ঠিকমত করতে। আর এদেরকে জটিল কাজেও নেয়া যায় না, কারণ হুট করেই এদের এসাইনমেন্ট, মিড, প্রেজেন্টেশন, ভাইবা, ফাইনাল পরীক্ষা চলে আসে। তখন ছুটি দেয়া ছাড়া আর উপায় থাকে কি?
কিছু ব্যতীক্রম দেখা যায়। কিন্তু তারা কারা? এরা কি কেউ দেখেছে? ইদানিং কয়েকজনকে সিএ স্বল্প সময়ে সিএ পাশ করতে দেখলাম যায় A Level এর। এদের দেখে আপনিও উৎসাহিত হতে পারেন। কিন্তু কিছু বিষয় দেখুনঃ
 আপনার কি যথেষ্ট সাপোর্ট রয়েছে?
 কখন কি করতে হবে এসব বলে দেবার লোক রয়েছে?
 আপনার বাসায় কি এসি আছে, গাড়ি আছে?
 আপনার কি সাপোর্ট দেবার ডেডিকেটেড বন্ধু বা বড় ভাই রয়েছে?
অনেকেরই উত্তরগুলা না আসবে। তাহলে আমি কি মানা করছি? না। আমি বাস্তবার একটা চিত্র দিচ্ছি যাতে এগুলো মোকাবিলা করতে পারেন। আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব নেয়ার ও দেয়ার কালচার নাই বললেই চলে। অন্তত সেটা অনার্সে পড়ার সময় বা শেষ পর্যন্ত মা-বাবারা স্বীকার করতে নারাজ। কিন্তু সিএ তে এসে সেই আপনাকেই লাখ টাকার লেনদেনের প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার স্থিতির প্রতিষ্ঠানের অডিটের গুরুদায়িত্ব কাঁধে আসবে। আর সেটা দেখা যাবে পুরোটা নিজেরই সামলাতে হবে। নিজের দাদা বা নানার বয়সীকে ভাই হিসেবে ডাকতে হবে যারা চরম অসহযোগিতা করবে কাজে। এরপরও তাদের থেকেই কৌশলে তথ্য আদায় করতে হবে। এই গল্প কেউ বলে না!
তাহলে করণীয়?
করণীয় হল ICAB Pre-articleship Student Program or PAS Program আছে। এটাতে অনার্স এর পাশাপাশি ভর্তি হয়ে সিএ এর ক্লাস আর পরীক্ষা দেয়া যায়। ফলে খুব আরামে অনার্স ও সিএ – দুইটাই করা যায়। আর প্রথম লেভেল পাস করে দ্বিতীয় লেভেল পর্যন্ত পরীক্ষা দেয়া যায়, ফলে স্টু থাকা অবস্থায়ই পড়ার প্রচুর সুযোগ পাওয়া যায়। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে যারা BBA/MBA/B.COM/M.COM করছে তাদের নিজেদের একাডেমিক রেজাল্টও ভাল হবে, কারণ সিলেবাসের অনেক কিছুই মিল রয়েছে সিএ এর সাথে। তাই HSC এর পর সিএ এর জন্য উতলা না হওয়াটাই উত্তম।

সাজ্জাদ হোসেন
২৬ আগস্ট ২০২৪
সকাল ১০.৪৭
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি জাতির কান্না......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

একটি জাতির কান্না......

স্বাধীন সিকিম রাষ্ট্রের ভারত ভুক্তির নেপথ্য!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় উপমহাদেশে ৫৬৫ টি "Princely States" বা "সতন্ত্র দেশিয় রাজ্য" ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব কিসের ইঙ্গিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯


ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার দাবিতে হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল! সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্দেশ আছে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার’ - হুমায়ুন কবির

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

(মানব জমিনে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের গুম নির্যাতনের কথা পড়ে মনোকষ্ট নিয়ে বসে আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনাদের আত্মত্যাগেই এই জাতি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এখন কাজ হচ্ছে তাদের বিচার করা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার জন্য কোটার দরকার আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬



**** চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না বাংগালী জাতি, কিন্তু চাকুরী থেকে তাড়াতে জানে; কিছু কিছু ব্লগার মানুষকে তাদের কাজের যায়গা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ব্লগে চীৎকার করছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫


এখানে কী আছে বলো তো, এখানে কী আছে আর
কেন যে সময়ের পিঠে হলাম সওয়ার;
সময় আমায় নিয়ে এ কোথায় এলো
স্বপ্ন সব হয়ে গেল এলোমেলো।

সেই প্রাথমিকের গন্ডি, পা রাখি ইচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×