আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়েত
করেন না। যারা আলোর সন্ধান করে,
সত্যকে জানতে চায়, তারাই হেদায়েত
পায়। তাই তারা সৌভাগ্যবান। কবি আল মাহমুদ
অনেক পথ ঘুরে, অনেক প্রতিকূলতার
মাঝে সেই কাংখিত সত্যের সন্ধান
পেয়েছেন।
অাল মাহমুদ বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি।
যারা সাহিত্য বুঝেন, এর মান নিয়ে
পর্যালোচনা করেন তারা সকলেই
নিশ্চিতভাবে জানেন কতটা শক্তিশালী কবি
এই আল মাহমুদ।
প্রিয় এই কবি বেশ কয়েকদিন যাবত
গুরুতর অসুস্থ। অথচ সেই খবরটা
মেইনস্ট্রিম কোন মিডিয়ায় আমি পাইনি।
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে দেখলাম
অনেকেই তার জন্য দোয়া চাইছেন,
তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন উদ্যেগ
এখনও চোখে পড়েনি আমার।
কবি আল মাহমুদ চিন্তা ও দর্শনগতভাবে
ইসলামপন্থী। খুব সম্ভবত বর্তমান
সময়ে এসে এটাই তার অপরাধ হিসেবে
বিবেচিত হচ্ছে। একজন কবি কোন
রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। কোন রাজনৈতিক
সমাবেশে বক্তব্য দেননা, বিবৃতি
দেননা। শুধু কবিতা লিখে যান। অথচ
নিরেট একজন কবি হয়েও আল মাহমুদ
রাজনৈতিক বিভাজনের শিকার হয়ে
গেলেন শুধুমাত্র তার ইসলামী
মনোভাবের জন্য।
কোন বড় পত্রিকা তাকে নিয়ে কভার
স্টোরি করলো না, কোন টিভিতে তার
অসুস্থতা নিয়ে কোন প্রতিবেদন
দেখলাম না, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল
কেউ তাকে হাসপাতালে দেখতেও
গেলেন না। এটা কেমন মানসিকতা?
আমরা সবাই সেই কথা জানি, যে দেশে
গুনের কদর নেই, সেই দেশে গুনী
জন্মাতে পারেন না। আমরা যেভাবে
প্রতি নিয়ত সৎ ও দেশপ্রেমিক
লোকদের অবমুল্যায়ন করে যাচ্ছি,
তাতে আসলেই জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে
দুশ্চিন্তা হয়। আল্লাহ আমাদের উপর রহম
করুন। সত্যিকারের ভাল ও গুনী
মানুষদের যথাযথভাবে মুল্যায়ন করার
তাওফিক দিন।
এক নজরে আলমাহমুদঃ
আল মাহমুদ
জীবিকা কবি , সম্পাদক, সাংবাদিক
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারতীয়
(১৯৩৬-১৯৪৭)
পাকিস্তানী
(১৯৪৭-১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১-
বর্তমান)
জাতি বাঙালি
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত
(১৯৩৬-১৯৪৭)
পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১)
বাংলাদেশ (১৯৭১-
বর্তমান)
সময়কাল বিংশ শতাব্দী
ধরন কবিতা , গল্প , উপন্যাস
বিষয় গ্রামীণ জীবন,
নারী
উল্লেখযোগ্য
রচনাসমূহ লোক লোকান্তর
কালের কলস
সোনালি কাবিন
মায়াবী পর্দা দুলে
উঠো
উল্লেখযোগ্য
পুরস্কার
আল মাহমুদ (জন্মঃ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ) আধুনিক বাংলা
সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একধারে
একজন কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক।
[১]
জন্ম
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই [১]
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা র মোড়াইল গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস
শুকুর আল মাহমুদ। [২] তিনি বাংলাদেশের অন্যতম
প্রধান কবি। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায়।
কর্মজীবন
সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে কবি ঢাকা
আসেন ১৯৫৪ সালে। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক
পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ
ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত
সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি
পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে
সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল
কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার
চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক
হিসেবে যোগ দেন। কাব্যগ্রন্থ লোক
লোকান্তর( ১৯৬৩) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য
কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর
কালের কলস( ১৯৬৬),সোনালি কাবিন( ১৯৬৬),
মায়াবী পর্দা দুলে উঠো( ১৯৬৯) কাব্যগ্রন্থ
গুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে
সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর
তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন।
১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোট গল্পগ্রন্থ
পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে বের
হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল। আল
মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু
করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি
দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকাত সহকারী সম্পাদক
হিসেবে যোগ দেন। তিনি স্বাধীনতা
পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়
একবার জেল খাটেন । পরে তিনি শিল্পকলা
একাডেমীতে যোগদান করেন এবং পরিচালক
হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। [৩]
প্রকাশিত গ্রন্থ
লোক
লোকান্তর
( ১৯৬৩)
কালের
কলস (১৯৬৬)
সোনালী
কাবিন ( ১৯৬৬)
মায়াবী
পর্দা দুলে
ওঠো
( ১৯৭৬)
আরব্য
রজনীর
রাজহাঁস
বখতিয়ারের
ঘোড়া
Al
Mahmud In
English
দিনযাপন
দ্বিতীয়
ভাংগন
একটি পাখি
লেজ
ঝোলা
আল
মাহমুদের
গল্প
জিবরাইলের
ডানা
গল্পসমগ্র
প্রেমের
গল্প
যেভাবে
গড়ে উঠি
কিশোর
সমগ্র
কবির
আত্নবিশ্বাস
কবিতাসমগ্র
কবিতাসমগ্র-২
পানকৌড়ির
রক্ত
সৌরভের
কাছে পরাজিত
গন্ধ বণিক
ময়ূরীর
মুখ
না কোন
শূণ্যতা মানি না
নদীর
ভেতরের
নদী
পাখির কাছে
, ফুলের
কাছে
প্রেম ও
ভালোবাসার
কবিতা
প্রেম
প্রকৃতির
দ্রোহ আর
প্রার্থনা কবিতা
প্রেমের
কবিতা সমগ্র
উপমহাদেশ
বিচূর্ণ
আয়নায় কবির
মুখ
উপন্যাস
সমগ্র-১
উপন্যাস
সমগ্র-২
উপন্যাস
সমগ্র-৩
ত্রিশেরা [৪]
উড়াল কাব্য
[৫]