গাইবান্ধা পৌরসভার আকাসে-বাতাসে
উড়ছে এখন টাকা। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে
বিভিন্ন প্রার্থীরা ভোটার কিনতে এসব টাকা
উড়াচ্ছেন। গাইবান্ধা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা
এমনই তথ্য দিয়েছেন।
এবার পৌর নির্বাচনে গাইবান্ধা পৌরসভায় সর্বোমোট
৯৯ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছে। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত
মহিলা কাউন্সিলর পদে ২০ জন ও সাধারন ওয়ার্ড
কাউন্সিলর পদে ৭২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
ভোটারদের দেওয়া তথ্য মতে সংরক্ষিত মহিলা
কাউন্সিলর পদের প্রতিদ্ব›িদ্বরা ভোট কেনার
জন্য তেমন একটা টাকা ছড়াচ্ছেনা। তবে তারা জানায়
কয়েকজন মেয়র ও কাউন্সিলরদের বড় একটি অংশ
ভোট কিনতে টাকা ছড়াচ্ছে। ভোটারদের ভাষায়
“গাইবান্ধা পৌরসভায় এখন আকাসে-বাতাসে উড়ছে
টাকা। শুধু হাত বাড়িয়ে ধরলেই হল।”
কিছু ভোটার জানায় তারা একাধিক প্রার্থীর কাছ
থেকে ভোট বাবদ টাকা নিচ্ছে। তবে তাদের
মধ্যে কাকে ভোট দেবেন তা এখনও ঠিক
করেনি। এমন ভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর থেকে
ভোট বাবদ টাকা নেওয়া অনৈতিক হচ্ছে কিনা
প্রশ্নের জবাবে তারা জানায় “ক্যান্ডিডেটরা টাকা
দিচ্ছে বলেই তো আমরা নিচ্ছি, আমরা তো আর
তাদেরকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিনা।”
একজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে
নিয়মিত টাকা নিচ্ছে এমন কয়েকজনের সাথে কথা
হলে তারা জানায় প্রথম দিকে তারা একজন দলীয়
প্রার্থীর পক্ষে কাজ করত। কিন্তু তার কাছ
থেকে পর্যাপ্ত টাকা না পাওয়ায় এখন এই স্বতন্ত্র
প্রার্থীর সাথে আছে।
একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে প্রতিদিন
টাকা পাচ্ছে এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে
জানা যায় তারা ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে
তারা প্রত্যেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার টাকারও বেশি
নিয়েছেন। ভোটের আগে পর্যন্ত আরও টাকা
পাবেন।
ভোটের জন্য টাকা লেনদেনে এ নির্বাচনে
যুক্ত হয়েছে নতুন একটি পদ্ধতি। কয়েকজন
ভোটার জানান তারা মোবাইল ব্যংকিংএর মাধ্যমে
নিয়মিত টাকা পান। প্রতি সন্ধায় তাদের মোবাইল
ব্যংকে টাকা জমা হয়ে যায়। তাদের ভাষায় ডিজিটাল
যুগের ডিজিটাল লেনদেন।
৬ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর
কর্মীরা জানায়, ভোটের তফসিল ঘোষণা
থেকে এ পর্যন্ত তাদের প্রার্থীর জন্য যে
পরিমান টাকা খরচ হয়েছে তার থেকে বেশি টাকা
খরচ হবে ভোটের শেষ ৩ দিন।
ভোট কেনা-বেচার এ মহাউৎসবের জন্য কি
প্রার্থীরা না ভোটারা দায়ী তা এখন প্রশ্ন সচেতন
মহলের।