একজনের একশোটাকা হয়তো বা কিছুই না। কিন্তু একশোজনের একশো টাকাই দশ হাজার টাকা। এক হাজার জনের একশো টাকা এক লক্ষ টাকা।
কি সুন্দর কিউট বেবি, তাইনা??
দিন দিন কত দিক দিয়েই কত মানবতার বাণী ছড়িয়ে যায়। ফেসবুকে/ব্লগে মানবতার শান্তির সুবাতাস(!!!) বইয়ে দেয়। দেশ, কাল নিয়ে কথা লিখতে লিখতে কী-বোর্ডের অক্ষরগুলোর দাগ উঠিয়ে ফেলে, হাতে ঠোসা পড়ে যায়। অথচ কেউ সাহায্য চাইলে পকেট থেকে দুই টাকা বের করতে গেলেই আপত্তির ভাব মুখে ফুটে উঠে।
মিশন ইম্পসিবল ঘোষ্ট প্রটোকল, হলিউডের লেটেস্ট মুভি, মিউজিক ভিডিওর ১০৮০পিক্সেলের গান কেনার জন্য দুইশো তিনশো টাকার ডিভিডি এক ধাক্কায় কিনে ফেলে, গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেটিংয়ে যাওয়ার জন্য ক্লাস আছে, হ্যান্ডনোট ফটোকপি করতে হবে এই বাজেট দেখিয়ে বাপ-মায়ের কাছ থেকে পাঁচ-ছয়শো টাকা এক ধাক্কায় নিয়ে নেয়। সিগারেট, খাওয়ার জন্য দিনে ১৬০ টাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেট কিনে ফেলে। অথচ প্রিয় লেখক কিংবা প্রিয় বিষয়বস্তুর বই কিনতে এক ধাক্কায় চার পাঁচ হাজার টাকার বই কিনে ফেলে। অথচ কেউ একটু সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে বললেই নরম সুরে বলে, "সাহায্য করবো।"
এই সাহায্য করবো পর্যন্তই। এই ইচ্ছা আছে এই পর্যন্তই। খুব কম মানুষদেরই দেখেছি যারা সত্যি সত্যিই এগিয়ে আসে। এদের সংখ্যা খুবই কম।
না, সেটা সম্ভব না। কারন সে এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আবার অনেকেই আছে সংঘবদ্ধভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করার কথা বলে এবং করেও। কিন্তু এই সাহায্য করার পেছনেও স্বার্থ থেকেই যায়। নিজের নাম ফাটবে, নিজের সংস্থার নাম ফাটবে, নিজের গ্রুপ, নিজের পেইজের নাম ফাটবে... এই আশায়।
শুধুমাত্র এই একটা নামা ফাটাফাটির জন্যই আমি বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সকল সংস্থার থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছি প্রায় ছয়মাস হলো।
কিন্তু এই ছবিটা, এই পোস্টটা এই ঘটনাটা জানার পর থেকে হঠাৎ করেই রক্ত গরম হয়ে উঠলো। পোস্টে এই কথাটা উল্লেখ আছে, এই ছেলেটা যদি আপনার ভাই কিংবা আপনার ছেলে কিংবা আপনার ভাস্তে, ভাগ্নে হতো, তাহলে কি আপনি এগিয়ে আসতেন না এই ছেলেটাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে?
আমি জানি আমার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকেই আছেন বেশ উদার মনের। বিভিন্ন সময়ে আমি যতটুকু পেয়েছি, তাদের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভালো মানুষ হিসেবে সম্মান জানাতে। আমি জানি তারা আমার ডাককে উপেক্ষা করবেন না। কারণ একজন ভালো মানুষদের ভালো কাজকে উপেক্ষা করার মতন মানসিক শক্তি নেই।
ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই এবং ব্লগের সবাই যদি এই পোস্টটা শেয়ার করি, আর প্রত্যেকেই নূন্যতম ১০০টাকা করে জমা দেই(কেউ বেশিও দিতে পারি, তবে কেউ এর কম দিবো না।) তাহলেও এই ছোট্ট শিশুটার জীবন বেঁচে যায়।
কথা উঠতে পারে, শুধু এই ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়েই কেন? এর চেহারা সুন্দর, এর বাবা-মা শিক্ষিত, এর একটা সুন্দর ভবিষ্যত আছে এইজন্য? ব্লগে এই বাচ্চাটাকে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে এজন্য?
এই ধারণা করলে নিজের কাছে নিজেই ছোট হবেন। বাঙ্গালীর সমস্যা হলো, এরা নিজেরা কখনো প্রথমে শুরু করবে না। কেউ শুরু করলে হুর হুর করে সবাই শুরু করবে। ছিন্নমূল, সর্বহারাদের নিয়েও অনেক সংস্থান আছে। আপনারা চাইলে প্রত্যেক এসব সংস্থাকে মাসে নূন্যতম ৩০০টাকা করে সাহায্য করলেও এসব সংস্থাগুলো এরকম ছিন্নমূল, অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে আসতে পারে।
আর যদি মনে করেন, আমি টাকা দিয়ে হেল্প করলাম। এই টাকা কি সত্যিই এইসব অসহায় মানুষদের কাজ ব্যয় হবে? এই চিন্তা করলে আপনার মানবতার অবক্ষয় নিয়ে পড়ে থাকেন। আপনার দায়িত্ব, আপনার কাজ আপনি করবেন, তাদের কাজের জন্য তারা জবাবদিহিতা দিবে।
আমি চাই সবাই এই বাচ্চাটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবেন। সবার কাছেই আমার এই অনুরোধ।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানাঃ ইসমত রায়হানা।
তারা এই সঞ্চয়ী হিসাব নং : ৩৮৩২
সোনালী ব্যাংক আব্দুর রব সেরিনিয়াবাত সড়ক (বি এম কলেজ রোড) শাখা,
বরিশাল।
বিস্তারিত জানতে ব্লগের এই পোস্টটি দেখুনঃ
আর যেকোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন শামীম রহমান জনি কিংবা ব্লগার srjony ভাইয়ের সাথে