আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন দুনিয়াতে মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র তার ইবাদাত করার জন্য।
অন্য কোন কারনে আল্লাহ্ মানব জাতি প্রেরন করেননি।
দুনিয়ার নেক আর বদ আমলের উপর নির্ভর করে আল্লাহ্ আখিরাতে মানুষকে জান্নাত এবং জাহান্নাম দান করবেন।
যারা নেক আমল করবে তারা পুরষ্কার হিসাবে পাবে জান্নাত,যারা বদ আমল করবে তারা শাস্তি হিসাবে পাবে জাহান্নাম।
আল্লাহ্ পাক নারীকে সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করেছেন দুনিয়াতে,মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত নসীব করেছেন।
সৃষ্টির শ্রেষ্ট করে খোদা যাকে প্রেরণ করেছেন।তিনি হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)।তিনি ছিলেন আল্লাহ্ পাকের পরম বন্ধু।
আল্লাহ্ নবী কারীম (সাঃ) এর কন্যা হযরত ফাতেমা(রাঃ)কে জান্নাতের সর্দারনীর সার্টিফিকেট দুনিয়াতে থাকা অবস্থাতেই দিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ্ পাক হযরত ফাতেমাকে জান্নাতের সর্দারনী বানিয়েছেন,কিন্তু সর্বপ্রথম যে নারী জান্নাতে যাবে তার নাম হযরত জামিলা(রাঃ)।
কি গুনে গুনান্বীত হবার কারণে আল্লাহ্ তাকে আখিরাতের শ্রেষ্ট পুরষ্কারটি সকল নারীকুলের আগে দিবেন তার একটা আলামত শুনুন।
হযরত ফাতেমা(রাঃ) একদিন জামিলা(রাঃ) এর বাড়িতে গেলেন জামিলা(রাঃ) এর সাথে দেখা করার জন্য।
ফাতেমা(রাঃ) দরজার বাহির থেকে জামিলা(রাঃ) কে ডাক দিলেন,তিন বারের সময় জামিলা(রাঃ) সাড়া দিলেন,তিনি ভিতর থেকেই জবাব দিলেন আপনি কে।
ফাতেমা(রাঃ) তার পরিচয় দিলেন,ফাতেমা(রাঃ) জামিলা(রাঃ) এর সাথে দেখা করতে চাইলেন
জামিলা(রাঃ) বললেন আমি আমার স্বামীর অনুমতি ছাড়া আপনার সাথে দেখা করতে পারবো না,আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।
তিনি বললেন আমার স্বামী এখন বাড়িতে নাই বনে কাট কাটঁতে গেছে,আপনি আজকে চলে যান,আপনি আগামীকাল আবার আসবেন।আমি আমার স্বামী বাড়িতে আসলে তার কাছে আপনার কথা বলবো,তিনি যদি আমাকে আপনার সাথে দেখা করার অনুমতি দেন,তাহলে আমি আপনার সাথে দেখা করবো নয়তো করবোনা।
তিনি নারী হয়ে একজন নারীর সাথে দেখা করার জন্য তার স্বামীর অনুমতির জন্য অপেক্ষা করেছেন,স্বামীর প্রতি তার কত শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর বিস্বাস ছিলো।
আল্লাহ্ পাক নারীর জন্য পর্দা ফরজ করে দিয়েছেন।
আমাদের আশেপাশের তথা সমগ্র বিশ্বের সকল মুসলিম নারীকে হযরত জামিলা(রাঃ)এর কাছ থেকে আদর্শ নিয়ে জিবন গড়ার তৌফিক আল্লাহ্ দান করুক।
আমিন
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২