একলাবতী,
আমার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ইমপরটেন্ট দিনটি ছিল যেদিন তুমি ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করেছিলে।তোমাকে সারাজীবন জ্বালানোর জন্যই
আমার জন্ম হয়েছিল।তাও সেই কত বছর আগের কথা।
সারাজীবন চুপ করে থেকো একটুও আপত্তি নেই আমার!কিন্তু সারাজীবন, মনে থাকে যেন,ঐ খুন করা একটা মায়াবী চাহুনী দিও আমি কতল হয়ে যাবো।এ বিষয়ে একদম মিতব্যায়ী হওয়া চলবে না।এমনকি আমি খুন না হলেও ঐ মায়াবী চাহুনী দিয়ে তাকানো বন্ধ করা যাবে না।আর যদি খুন হতে হয় আমি বারংবারই তা হবো।এই কথা না মানলে হরতাল দিবো।
তোমার অনুপস্থিতির প্রচণ্ড কষ্টের চেয়ে টক-ঝাল-মিষ্টি আচার মার্কা তোমার ঐ চাহুনীও বেশ ভাল।অন্তত এইভাবে হলেওতো তোমাকে ভালবাসি বলতে পারি।বার বার ঘ্যান ঘ্যান করি বলে রাগ কর?
সেটা কি আর সবার সাথে বলা হয়!তোমার সাথে আমার হয়,আর আমার সাথে তোমার চুপ থাকা হয়!ছোট্ট এই জীবনে এরচে’ আর বেশি
কিইবা পেতে পারে একজন মানুষ!তোমাকে পেলে আমার একজীবনের অমরতাও চাইনা।খারাপ কি, না হয় ঘ্যান ঘ্যান করেই আজীবন ভালবাসি
আজীবন ভালোবাসলাম;অথবা ভালো বাসতে বাসতে
আজীবন জ্বালিয়ে কাটিয়ে দিলাম!শুদ্ধ হোক আমার এই ঘ্যান ঘ্যান মুখোশের আড়ালে অনেক অনেক ভালোবাসা!তুমি জানো হে একলাবতী
তোমার জন্য ধুলোবালি শহর থেকে বহু দূরে-একটা বাসা বানাবো।
তোমার জন্য চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে সূতো ধার নিয়ে-একটা শাড়ি বানাবো।তোমার জন্য মেঘেদের সাথে চুক্তি করে-বৃষ্টি নামাবো।
তোমার জন্য আকাশের কাছ থেকে হাজার খানেক তারা ধার করে-
বাসার ছাঁদে টাঙিয়ে রাখবো।আমার কাছে জীবন মানে,শুধু বেঁচে থাকা নয়।আমি শুধু চাই আমার বুকে মাথা রেখে ভোরের সূর্যটা দেখো
গায়ে মেখে নিতে চাই একরাশ জোৎস্না।ডুব দিতে চাই ভালোবাসার নদীতে,শুধু আমার ছায়া হয়ে নয় আমার সন্তানরা মা হিসাবে দিক তোমার একক পরিচয়,শুধু এতটুকু বলি খুব বেহায়ার মতো খুব নির্লজ্জের মতো।
আমি একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলবো,নমিনী করবো আমার হবু বউকে
তোমার নামটা দিতে পারি কি??যত নিশ্চুপ থাকো,যত অবহেলা দাও,যত কষ্টই দাও,আমি শাবল,কোঁদাল ও গাইতি দিয়ে ঐ পাথরে ফুল ফোটাবই।
আমি বেহায়ার মত আজীবন তোমায় ভালোবাসি !
ইতি
যোদ্ধা