somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকাশিত হলো সানাউল্লাহ সাগর-এর নির্বাচিত কবিতা

২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দীর্ঘ ২০ বছরের সাহিত্য জীবনে আমার প্রকাশিত কবিতার বই ০৮ টি।এই ৮টি বই থেকে বাছাই কবিতা নিয়ে বাউণ্ডুলে প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে সানাউল্লাহ সাগর-এর নির্বাচিত কবিতা।


নির্বাচিত কবিতা কেন?

মানুষ কেন কবিতা পড়বে?

সময় বাস্তবতায় উত্থাপিত প্রশ্নের ভেতর থেকে হতাশার যে অবারিত বিরানমাঠ—অনুবীক্ষণীয় তন্ন তন্ন খোঁজে কোথাও নেই সবুজের আঁচড়...

অবসরে মানুষ কোথায় যায়!

মানুষ বড়ো স্কুল! কোথাও যায় না। বুদ হয়ে থাকে নিজের ভেতরে। অথবা প্রযুক্তির উৎকর্ষ এতোটাই দানবীয় শক্তিমত্তায় মানুষ স্বনির্ভর; নিজের প্রয়োজনের কাছেই হাজির নাজির করে ফেলে সমুদয় আকাঙ্ক্ষা।

তবুও কেন বাড়ে হৃদয়ের ঢিবঢিব!

প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত কোলাহল শেষে মানুষ কখনও সখনও সময় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আনুষঙ্গিকতা থেকে, চাইলেও পারে না ফিরতে নিজের কাছেও। নিজের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার মহাশূন্যতার ভেতরে মানুষ যে বোধসঙ্গী পায় এই অবসরটুকু হৃদয়কে খোঁজার- আত্ম উপলব্ধির...

তখনই শব্দমত্তের বেড়াজালে ব্যারিকেড তোলে অসংখ্য অনুচ্চারিত কাঙ্ক্ষা-প্রত্যাশা বা মায়া...

আমরা বড্ড আদুরে শব্দে তাকে কবিতা বলে ডাকি...

কবিতার এই বোধ কি আমাদেরকে নিশ্চিত কোনো গন্তব্যের দিক নির্দিষ্ট করে?

কবিতার এই প্রয়োজনটুকু তাই অবিনশ্বর!

সাগরের কবিতা কি এ-ই অবিনশ্বরতা দাবি করে!

অথবা ভিন্নভাবে বা রূঢ়ভাবে আঘাত করতে চাইলে প্রশ্ন হতে পারে সাগরের কবিতা কি ঐসকল বৈশিষ্ট্যের ভেতর থেকে নির্বাচিত নাকি আত্ম খেয়ালে? নির্বাচিতর মাপকাঠি কি?

সীমাহীন প্রশ্নের ভেতর থেকেও যেমন সিদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব নয় কবিতা কি; তেমনি সম্ভব নয় কবিতার মানদণ্ড নির্বাচন। নির্বাচিত কবিতার প্যারামিটার তাই নির্ধারিত নয়। বরং কবিতার মতোই এ-ই নির্বাচন প্রক্রিয়া আত্মঘাতী!

তবে যে বিবেচনায় ‘নির্বাচিত কবিতা', তার উদ্যোগ ব্যাখ্যাতীত নয়; বরং সুস্পষ্ট। পাঠক বিবেচনায় কবিতাবই যেখানে অলাভজনক একটি পণ্য; সেখানে কোনো কোনো রোমান্টোফোবিয়ায় প্রকাশক কবিতা বই প্রকাশ করে ফেললেও মতিভ্রম ভেঙে যেতে সময় লাগে না। লাভ-ক্ষতির হিসেবে কোনো রকমের পরিচিত-পাঠক- লেখক নানা বিনিময়ে প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে গেলেও দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হবার কোনো সুযোগ প্রায়শই থাকে না। তবুও কবিতার যে নিবেদিত পাঠক শ্রেণি নিত্য নতুন বইয়ের খোঁজে উৎসাহী- বইয়ের অপ্রতুলতা সেই আগ্রহও মাঠে মারা যায়। ভিন্ন ভিন্ন বই প্রকাশ করে লেখকের গাঁটের টাকা খোয়ানোর প্রকল্পে লেখক দিশেহারা! এ-ই অবস্থায় নতুন পাঠকের জন্য কম পয়সায় একজন লেখককে সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করার একটি সহজলভ্য বিবেচনা হতে পারে কবিতা সংকলন। কবিতা বিচার নয় বরং পাঠক বিবেচনাই ‘নির্বাচিত কবিতা' প্রকাশের মানদণ্ড।

এবার প্রশ্ন হতেই পারে ‘নির্বাচিত কবিতা' কি তবে পাঠক প্রধান! বা কবিতার মান কি তবে এই বিবেচনায় উহ্য হয়ে গেলো না! যে কোনো বাহাসে লেখক- পাঠক-সমালোচক নিরন্তর জড়িয়ে যেতে পারি। সময়ের টেবিলে কোনো বাহাসই নিরপেক্ষ নয়; নিজেকে উপস্থাপনই প্রধান লক্ষ্য ও কর্তব্য। একজন কবির জন্য কবিতাই তাই শেষ আশ্রয়...

বরং এইসব অনুষঙ্গের পাশ কেটে আমরা মুখোমুখি হই কবিতামগ্ন সময়ের। যখন কবির নাম মুছে দিয়ে কবিতা পঙক্তির সামনে নিজের বোধের প্রতিরূপ দেখে অসহায় আত্মসমর্পণ... অনুচ্চারিত শব্দে অনুভব করি-

তোমার নিমগ্নতার ছুরি অনবরত কেটে যাচ্ছে
চিন্তার পরিচ্ছেদ;
আর যত অমাবস্যার যতিচিহ্নে জাপটে ছিল
রোদবাহিত তৃষ্ণার ফটোগ্রাফ
তাদের মুখছবি লেপ্টে আছে চোখের অপর পৃষ্ঠায়।

[শীতের অভিষেক পর্ব: ১৬]

•অনিন্দ্য দ্বীপ, প্রকাশক, বাউণ্ডুলে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×