somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার সেলিব্রেটি ক্রাশেরা পর্ব তিন (ফান পোস্ট) :) :)

১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার আরো কিছু সেলিব্রেটি ক্রাশ নিয়ে হাজির। রিয়েল লাইফে কাউকে ভালবাসলে অনেক কষ্ট পেতে হতে পারে কিন্তু এই সেলিব্রেটি ক্রাশগুলো সেইফ। পাওয়ার কোন চান্স নেই, তাই হারানোর ভয় বা ব্যাথাও নেই। আমার ক্রাশের সাথে আপনাদেরটা মিলল কিনা দেখে নিন। :)

আগের পর্বগুলো:

আমার সেলিব্রেটি ক্রাশেরা (ফান পোস্ট)
আমার সেলিব্রেটি ক্রাশেরা (ফান পোস্ট) পর্ব দুই



নাম: সাকিব আল হাসান।
পেশা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার।
ক্রাশের কারন: ওনার চেহারার চেয়ে বেশি ট্যালেন্ট দেখে পছন্দ করতাম। উনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। একটা সময় বাংলাদেশ ১১ জনের না দুই জনের টিম ছিল। একজন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান এবং অন্যজন বোলার সাকিব আল হাসান! কি এক অতীমানবীয় পারফরম্যান্সে একেকটা ম্যাচ জেতাতেন! বিদেশেও বিভিন্ন দেশের মানুষেকে বলতে শুনেছি সাকিব তোমার দেশ থেকে না? উনি যখন মাঠে ঢোকেন কি ভীষন আত্মবিশ্বাসে ঢোকেন! অনেক বাংলাদেশী ক্রিকেটারকে একসময় হারার আগেই হেরে যেতে দেখতাম প্রতিপক্ষ বেশি শক্তিশালী হওয়ায়। কিন্তু সাকিব এইসব কিছু মনে করেন না। হেলমেটের ফাক দিয়েও ওনার মুখের কঠোরতা, বাদামি জ্বলজ্বলে চোখের আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখা যায়। আসলেই বিশ্বসেরা ওনাইকে মানায়। He is a classy man with classy attitude.



নাম: তৌকির আহমেদ।
পেশা: অভিনেতা, পরিচালক, আর্কিটেক্ট।
ক্রাশের কারন: প্রথম দেখায় চেহারাটা একদম বাড়ির পাশের ছেলেটা। কিন্তু চোখে ফিরিয়ে আবার দেখলে মনে হবে না স্পেশাল কিছু আছে ছেলেটার মধ্যে। হাসিটা শিশুসুলভ, চোখটা বুদ্ধিদীপ্ত। কি যেন একটা এক্স ফ্যাক্টর আছে ওনার মধ্যে। অভিনয়ের ফ্যান তো ছিলামই কেননা রোমান্টিক রোলগুলোও খুব ব্যক্তিত্বের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। উনার রোমান্টিক রোলগুলো বেশ ব্যাতিক্রমধর্মী। কোন লুতুপুতু আমি তোমাকে ছাড়া বাচবনা টাইপের টিপিকাল রোমান্টিক নায়ক উনি নন। ব্যক্তিত্বের সাথে ভালবাসা প্রকাশ করার রোলগুলো ওনার চেয়ে ভাল আর কেউ পারেনা। এমনিতেও সবদিক দিয়েই ওনার মেধা আর রুচির ফ্যান আমি। ওনার পুরনো নাটকগুলো দেখতে দেখতে বারবার ক্রাশ খাই। আমার মনে হয় নায়ক হিসেবে ওনার চেহারা হয়ত এখন আর গ্রহনযোগ্য হবেনা তবে পরিচালক হিসেবে ওনার এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি!



নাম: মনির এইচ খান শিমুল।
পেশা: মডেল, অভিনেতা।
ক্রাশের কারন: দেখতে সুদর্শন। উচ্চতা, দৈহিক গড়ন বেশ আকষর্নীয়। একদম হিরো টাইপ চেহারা যাকে বলে। মডেল হিসেবে তুমূল জনপ্রিয় ছিলেন একসময়। প্রথম প্রথম ওনার অতি অভিনয় হাস্যরস, সমালোচনার সৃষ্টি করত। কিন্তু পরে উনি অভিনয়ে উন্নতি আনেন। তবুও আমার কাছে ওনার মডেলিং প্রতিভাটাই বেশি ভাল লাগে।

ওনার জনপ্রিয় একটি এড:




নাম: Ty burrel.
পেশা: অভিনেতা।
ক্রাশের কারন: আমেরিকায় ছোট পর্দার সবচেয়ে হিট শো মর্ডান ফ্যামিলিতে বাবা হন উনি। ওনার Phil Dunphy চরিত্রটা একজন আদর্শ স্বামী যে সবকিছুতে বউকে সাপোর্ট করে, শ্বশুর কড়া তাও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, এবং খুব ভাল বাবাও। ওনাকে খুব সুদর্শন মনে হয়না তবে ওনার চরিত্র‌টা দেখলে মনে হয় আরে আমিতো হাসবেন্ড হিসেবে এরকম একজনকেই চাই! ব্যস সেই থেকে ক্রাশ।



নাম: আসিফ আজিম।
পেশা: মডেল।
ক্রাশের কারন: আমি মডেলিং অতোটা নিয়ম করে দেখিনা। চোখ পরে যায় যদি কোন প্রডাক্টের মডেল হয়। কিন্তু র‌্যাম্প মডেলদের সেভাবে চিনিনা এবং এনাকেও চিনতাম না। একদিন একটা বাংলাদেশি পেপারে দেখলাম ওনার ছবি আর হেডলাইন যে বাংলাদেশের ছেলে ইন্ডিয়ার বিগ বসে। ছবিটা দেখে বেশ কিছুক্ষন হা করে তাকিয়েছিলাম! লুক, দৈহিক গঠন, হাইট, ফ্যাশন সেন্স, ব্যক্তিত্ব সহ একটা ফুল প্যাকেজ উনি। ওনার যে লুক, স্টাইল তাতে বিশ্বের যেকোন জায়গায় যেমন প্যারিসে, ভেগাসেও উনি মডেলিং করতে পারবেন। He was born to be a super model and he has become one!



নাম: ফেরদৌস আহমেদ।
পেশা: অভিনেতা।
ক্রাশের কারন: ওনাকে সবাই অনেক সুদর্শন বলেন কিন্তু সেরকম লম্বা না হওয়ায় আমার তেমনভাবে সুদর্শন মনে হয়নি কখনো। তবে প্রচন্ড ভদ্রস্থ চেহারা, এবং সরল হাসিটা খুব ভাল লাগে। কিন্তু সবচেয়ে যা ভাল লাগে তা ওনার অভিনয়ের পরিমিতিবোধ এবং সেটা সিনেমায় অভিনয় করেও। কেননা বাংলা সিনেমায় একটু অতি অভিনয় করাই লাগে। কিন্তু উনি খুব সুন্দর, সরলভাবে সব ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তুলেছেন, এবং বানিজ্যিক মুভির পাশাপাশি অনেক ব্যাতিক্রমধর্মী ছবি করেছেন। বলাই বাহুল্য প্রায় সকল চরিত্রই দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।

বি:দ্র: এটা শুধুই ফান পোষ্ট। এদের কাউকেই বিয়ে করার জন্যে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি না। তবে এদের কাজ আগ্রহ নিয়ে দেখি। ওনাদের ট্যালেন্টকে সম্মান করি। বাস্তব জীবনে চেহারা না দেখে স্বভাব দেখে ভালবাসাই উত্তম। :)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০২
৩৮টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×