আমার কাছে রেসিজম মানে কোন এক বিশেষ বর্ণকে বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া। যেমন ভোটাধিকারে, চাকরিতে, শিক্ষায় ইত্যাদি।
কিন্তু শুধু সৌন্দর্যের বিচারকে রেসিজম বলা যেতে পারেনা। যে দেশে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ বাস করে, সে দেশে কোন এক বর্ণের মানুষকে বেশি attractive মনে হওয়া স্বাভাবিক। সেটা নিয়ে আমাদের শ্যামলা, কালো মেয়েদের এত চেচামেচি করার কি আছে? ছ্যাবলার মতো আমরাও সুন্দর সে কেমপেইন করতে হবে কেন? কই বেটে, মোটা ফর্সা মেয়েরা তো তা করছে না। সমাজের বিচারে তারাও তো অসুন্দর। সমাজ যখন মানছে না, তো কেন সমাজকে জোর করে নিজেদের সুন্দর ভাবানোর চেষ্টা করছি?
আমাদের দাবী হওয়া উচিৎ ঠিক আছে আমরা কম সুন্দর, কিন্তু সব মেয়েকে কেন সুন্দর হতে হবে? আল্লাহর সব সৃষ্টিই সুন্দর, কিন্তু একজনের বিচারে অন্যজন বেশি সুন্দর হতেই পারে। সব দেশেই এটা আছে। এটা সমস্যা না। আসল সমস্যা এটা না যে গায়ের রং মেয়েদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি, আসল সমস্যা এটা যে সৌন্দর্যই নারীত্বের মাপকাঠি।
একটা ছেলে যতই অসুন্দর হোক না কেন বাড়ি, গাড়ি, শিক্ষার মাপকঠিতে এগিয়ে গেলে সমাজে কদর বাড়ে, পাত্রীদের লাইন পরে যায়। কিন্তু মেয়েরা দেখতে খারাপ হলে সব গুন = ০। কেন? ইশ্বরপ্রদত্ত গুন দিয়ে কেন বিচার করা হবে মানুষকে? যদিও পুরুষকুলের অনেক কষ্ট যে মেয়েরা মন দেখে না টাকা দেখে ভালবাসে। কিন্তু নিজেরা যে শরীরের প্রতি লোভকে ভালবাসার মর্যাদা দিয়ে রেখেছে সেটা সমস্যা না।(সব ছেলেরা এক না, অনেক ছেলে কম সুন্দর মেয়েকে ভালবেসে ধোকা খায়। তাদের প্রতি সমবেদনা যারা খারাপ শুধু তাদের নিয়ে বলছি)। আর মেয়েরা কখনোই টাকা দেখে প্রেমে পরে না, তারা সুইট, লাভিং, কেয়ারিং এসব দেখে প্রেমে পরে। Then reality strikes. মা বাবার প্রেসার, বাস্তবতা সবকিছু তাদের মাথা খারাপ করে দেয়। (কিছু কিছু মেয়ে নিজে থেকেই টাকাওয়ালা ছেলের পেছনে ঘোরায়, আর গরিব ছেলেকে পেছনে ঘোরায়। বিশ্বাস করুন এধরণের মেয়ের সংখ্যা তত বেশি না,যতটা আপনারা ভাবেন)।
পুরুষশাসিত সমাজে এটা হবেই। এটা কালো ফর্সার বৈষম্য না, নারী পুরুষের বৈষম্য। এজন্য Fair And Lovely বা যেকোন রুপচর্চার পণ্যের নারী ক্রেতা পুরুষ ক্রেতার চেয়ে অনেক গুন বেশি।
আজ এক পরিচিতাকে এরকম কিছু ফেস করতে দেখায় খুব বিক্ষিপ্ত মনাবস্থায় লেখাটা লিখেছি। দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর একথা বলব যে সৌন্দর্য নয়, গুনই হোক নারীত্বের প্রতীক, এবং পুরুষের নারীপ্রেমের প্রধান কারণ।