গতপরশু 13/04/2017 তারিখে ছুটিতে থাকায় ভাবলাম কর অফিসে হালখাতা হচ্ছে ! দেখি হালখাতা খেয়ে আসি ! উল্লেখ্য আমার 2016-17 সালের রিটার্ন দাখিল করার পর প্রত্যয়ন পত্রটি নেয়া হয়নি বা তাদের কর্ম ব্যস্ততায় তারাও দিতে পারেনি। ছুটিতে থাকায় ভাবলাম কর অফিসে গিয়ে হালখাতও খেয়ে আসি আবার যদি প্রত্যয়ন পত্রটিও নিতে পারি।
অফিসে গিয়ে দেখলাম সত্যিই হালখাতার পরিবেশ, চারিদিকে একরকম সৌরভ বিরাজ করছে বিভিন্ন খাবারের! এবং আপ্যায়িত হলামও !
আমি যাদের থেকে ধারনা নিয়ে কর অফিসে যাই দেখলাম পুরোটাই পরিবর্তন! আমার স্লিপটি বের করলে অনেকগুলো ফাইল বের করলো একজন। অফিস সহকারীর সঙ্গে আমিও একটি ফাইলের বান্ডিল নিয়ে আমার রিটান খুজতে থাকলাম। কয়েকটি বান্ডিল খুজে একটিতে পেলাম আমিই। তখন ভালো লাগলো। সেটা নিয়ে কর্তব্যরত অফিসারকে দেয়া হলে আমাকে বললো সে তার কাজটি করে রাখবে (তখন সহকারী কর কমিশনার সাহেব) হালখাতার কাজে অন্য অফিসে ব্যস্ত থাকায় পরে আসতে বলেন , আমি লাঞ্চ শেষ করে আবারও যাই এবং সহকারী কর কমিশনার সাহবের সামনে গিয়ে হাজির হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেই। উল্লেখ্য আমি সাধারন এ টিক দিয়ে জমা দিয়েছিলাম।
এরপর একটি স্বাক্ষর করতে বললে করে দিই , 7 দিন পর আসতে বললে আমি ছুটি নিয়ে এসেছি বলাতে তিনি সেটা প্রিন্ট করে দেয়ার জন্য সুপারিশ করে দিন।
অনেক ভালোভাবেই আমি আমার প্রত্যয়ন পত্রটি পেয়ে যাই। পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
মানুষ পরিবর্তনশীল , পরিবর্তন হতেই হবে, হতে বাধ্য।
এখনকার সরকারী অফিসগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। খুবই দ্রুত সবকিছু যেন পরিবর্তন হচ্ছে সর্বত্র।
তবে আমার পরামর্শ সকল সরকারী অফিসে যদি সিসি ক্যামেরা এর আওতায় নিয়ে আসা যায় তখন আরও দ্রুততার সহিত সবাই সেবা গ্রহন করতে পারবে...।
ধন্যবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১