আমি সম্ভবত একজন অন্যতম নন-NSU স্টুডেন্ট যার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা আছে। NSU আসলে বাংলাদেশের মধ্যে একটি ভিন্ন জায়গা। এক টুকরো উগ্র ইউরোপ বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। ওরা যে পোশাক পরে, যেভাবে চলে, ওদের বিনোদন, ওদের অবসর কাটানো, ওদের খাবার, এমনকি ভাষা আমাদের আবহমান বংলাদেশের সাথে যায় না। কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা এমন না, তবে বেশির ভাগের পোশাক বেশ উগ্র, খাবার বলতে পিজ্জা আর বার্গার, কথা ইংরেজি-হিন্দি মিশ্রিত বাংলা, মাদকের বিস্তার অতিরিক্ত। আমদের দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশ লিমিটেড। মুক্তিযুদ্ধে কয়টা সেক্টর বা ফোর্স ছিল, বাংলা মাসের নাম, আমাদের দিবস সমূহের তারিখ বেশিরভাগই বলতে পারবে না। ধর্মীয় জ্ঞানের অবস্থা আরও খারাপ। ২২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীদের জন্য যে নামাজের জায়গা তাতে বড়জোর ১০০ জনের জায়গা হবে, এবং তাও ফাকাঁ থাকে। NSU তে ফ্রি কনডম পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে.....
প্রতিটা ক্রিয়ারই সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। উপরোক্ত ব্যাপারগুলো ডিপ্রেশন তৈরি করে। আজ খবরে দেখালাম NSU এর ৭০% শিক্ষার্থী ডিপ্রেশনে ভোগে। কারন, ওটাই। বংলাদেশে থেকে NSU শিক্ষার্থীদের ইউরোপীয় ধর্মহীন উগ্র জীবন-যাপন শেখাচ্ছে। এবং নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে এর অবধারিতভাবে বিপরীতে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের বিস্তারও ঘটেছে।
মুক্তির উপার খুবই সহজ, জানিনা যাদের হাতে ক্ষমতা আছে তারা তা করবে কিনা।।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬