আজকে সকাল থেকে কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে যতবারই ফেবুতে উঁকি দিয়েছি, ততবারই নীচের খবরটা সামনে এসে পড়েছে। এর মানে এটা এখন ভার্চুয়াল জগতে সবচেয়ে আলোচিত। হওয়ারই কথা! Click This Link
মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে যারা গবেষণা করেন বিশেষ করে যৌন বিষয় নিয়ে যেমন, কিনসে, ফ্রয়েড ইত্যাদিরা সবাই একটা বিষয়ে একমত "ধর্ষণের খবর পড়লে বা ছবি দেখলেও যৌনতার আনন্দ পাওয়া যায়"। এই কথাটা কতোটা ঠিক বুঝা যাবে যদি আমরা জানতে পারি যে খবরের কাগজে বা ফেবুতে ধর্ষণের খবর এক জন পাঠকের চিত্তে কতোটা আগ্রহের সৃষ্টি করে পাশাপাশি অন্যান্য খবরের থেকে! বাঙ্গালী পাঠক সত্যিকার অর্থে ধর্ষিতার লাঞ্ছনায় ব্যাথিত হয়ে কতোটা কাঁতর হয়ে সেই খবর পড়ে ও শেয়ার করে তা নিয়ে আমার অনেক সন্দেহ আছে! আমার তো মনে হয় তারা অবচেতন মনে আমোদিত হয়। নারী নির্যাতন নিয়ে যে যতো বেশী উচ্চকিত সে ততো বেশী ধর্ষণকারী নতুবা তার উচ্চকিত কণ্ঠ আসলে নিজেকে ভালো সাজানোর পোশাক মাত্র। এর সপক্ষে ভুরি ভুরি প্রমাণ আমাদের চোখের সামনেই আছে, যে গুলো আমরা দেখতে চাই না ইচ্ছা করেই!
ঠিক তেমনি এই খবরটাও পাঠকদের মনে পৈশাচিক আনন্দ দিয়েছে বলে আমার মনে হয়। ভিডিওটা দেখার দুঃসাহস আমার হয় নাই খবরটা পড়েই। কিন্তু এরই মধ্যে জেনেছি প্রায় সবাই সেটা দেখেছে এবং আহ! উহ! করছে। যে দেশে সরকার প্রধান বলে আইন হাতে তুলে নিতে, আমরা সেই দেশে বাস করি বিনা প্রতীবাদে! যেই দেশে দাঁড়ি টুপি ওয়ালাকে পিটিয়ে মাড়াকে প্রগতিশীল মনের মনে করা হয়, যে দেশে হিন্দুদের ধর্ষণ এবংতাঁদের বাড়ি লুট করাকে বিজয়ী বীরের কাজ মনে করা হয়, যে দেশে বাম পন্থীরা ডান পন্থীদের নির্মূল কোরতে আইন বহির্ভূত হত্যাকে সমর্থন করে বক্তৃতা বিবৃতি দেয়,যে দেশে বিহারীদের নির্মম ভাবে হত্যাকে উল্লাশের সাথে প্রকাশ করে দেশ প্রেমের গর্ব করা যায়, অর্থাৎ প্রত্যেকেই যেখানে নিজ নিজ আদর্শকে বাস্তবায়ন কোরতে রক্তপাতকে সমর্থন করে তখন সেই দেশে তা হলে সেই মানুষটা কই যে এই নির্মম হত্যাতে সত্যিকারের ব্যাথিত হয়???