১৯৯৫ সালে সরকারি হিসাব মতে সেব্রেনিকায় অন্তত ৮০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিলো,যদিয়ো এর সংখ্যা আরও বেশী।যেটা ছিল একটা নির্দিষ্ট জাতীকে ঐ অঞ্চল থেকে নির্মূল করার জন্য জঘন্য গণহত্যা।গতকাল এই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য জাতিসংঘের আনা রেজুলেশনে রাশিয়া তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে! Click This Link
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে,এটা শুধু সেব্রেনিকার হিসাব।যদি বসনিয়ার চিত্র ধরি তবে এই ৮,০০০ এর সাথে আরও অন্তত ২,০০,০০০ যোগ হবে!এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই চলেছিল জাতিসংঘের নজরদারিতে!অবাক হচ্ছেন???সেই সময় অনেক পশ্চিমা সাংবাদিক এই গণহত্যার খবর দিয়েছিলো সংবাদ মাধ্যমে প্রমাণ সহ,কিন্তু জাতিসংঘ ইচ্ছা করেই যথাসম্ভব দেরি করে পদক্ষেপ নিয়েছিলো,শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠিয়েছিলো যখন রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই রক্ত লাল গনহত্যার উৎসব অসংখ্য গন কবরে পরিনত হয়েছিলো।
জাতিসংঘ এখন যেমন তার গ্রহনযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে,তেমনি রাশিয়াও তার কর্তব্য সম্পাদন করছে!আপনারা সবখানেই দেখবেন ওরা কতোটা নিপুন ভাবে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে,চেচেনিয়া,ক্রিমিয়া, সার্বিয়া,বসনিয়া,ইরাক,সিরিয়া,প্যালেস্টাইন,লিবিয়া,মধ্য আফ্রিকা,সুদান,সোমালিয়া,চায়নার উইঘুর,তুর্কমেনিস্তান আফগানিস্তান,কাশ্মির আর মিশর এবং বাংলাদেশে তাদের টেস্ট পাইলট চলছে!ইয়েমেনকে বলীর পাঁঠা বানান হয়েছে! সৌদি আরব ও তুরস্ককে এই মিশনে জড়িত করার সব রকমের প্রয়াস চলছে! বস্তুত সমগ্র বিশ্ব থেকে মুসলমান জাতীকে নির্মূল করার মোহা পরিকল্পনা থেকেই এই সব কিছু ঘটান হচ্ছে।যেটা এক কথায় ethnic cleansing !!!
প্যালেস্টাইন থেকে তাঁদের উচ্ছেদকেই উনারা ethnic cleansing স্বীকার কোরতে চায় না এখনও এতো হত্যার পরেও সেখানে সমগ্র বিশ্ব থেকে মুসলমান নির্মূল করাকে উনারা ethnic cleansing বোলবে এটা হতে পারে না। কিন্তু আমরা মুসলমানরা কি করছি??? আমরা আছি খেল তামাশা, দেওবন্দ ঠিক না পিস টিভির আলেমরা ঠিক, শরষিনা ঠিক না যাকের মঞ্জিল ঠিক, তারাবী ২০ রাকাত ঠিক না ৮ রাকাত ঠিক ইত্যাদি নিজেদের মূর্খতায় তৈরি ফেতনা ফাসাদ নিয়ে!!! কতো সুন্দর করে উনারা মুসলমান দিয়ে মুসলমানকে অপদস্ত করছে। এটা যেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলা। আমাদের সময়ই নাই ওদের ষড়যন্ত্র নিয়ে ভাবার!
বন্ধুরা ইসলামের মূল স্তম্ভ ৫টা না।আপনারা ভুল জানেন।ইসলামের মূল স্তম্ভ ৬ টা। জী, আমি ঠিকই বলছি। ইসলামের ৬স্ট স্থম্ভ “জিহাদ”।জানি আপনারা মানবেন না, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। ঈন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ্র কাছে থেকে এসেছি এবং অবশ্যই আমাদেরকে উনার কাছে ফিরে যেতে হবে, জবাব দেবার জন্য।আপনারা তৈরি কি?
না,আপনারা তৈরি না।আপনারা তৈরি না কাড়ন,আপনারা গাফেল,আপনারা খেল তামাশায় মগ্ন,আপনারা অর্থের লিপ্সায় উন্মাদ,দুনিয়ার স্বার্থের তাগিদে হিংস্র।আপনারা মুনাফেক, মুখে এক কাজে আর এক! সমস্ত অসৎ ও নাজায়েজ কাজের সাফাই দিতে কাড়ন বানাতে আপনারা ওস্তাদ।আপনারা মানবতার কথা বলেন কিন্তু মানবিকতার ছিটাফোঁটাও আপনাদের মধ্যে নাই। বাঙ্গালী মুসলমানের মতো মুনাফেক ও বেঈমান জাতী পৃথিবীর কথাও নাই!
আল্লাহ্ ঠিকই তার ইসলাম রক্ষা করে চলছে। তাকান ইউরোপ এবং আমেরিকার মুসলমানদের দিকে, যদি আপনার সে দৃষ্টি থাকে। মুসলমানরা যেমন ইহুদীদেরকে চরম দুঃসময়ে সাহায্য করেছিলো এখন তেমনি আমেরিকার কালো খৃস্টানদের সাহায্য করে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরছে। Click This Link
রাস্তায় রাস্তায় দাড়িয়ে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছে, ইসলাম হেফাজতের কাজ করছে না, ওটা আল্লাহ্ নিজের দায়িত্তে রেখেছেন। Click This Link
ইসলামের গৌরবময় ইতিহাসের কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে http://www.1001inventions.com/
মুসলমানদে বিরুদ্ধে নির্যাতনের কথা প্রচার করছে https://www.facebook.com/doammuslims
সামান্য কটা উদাহরন দিলাম,কিন্তু এই সামান্য কটার মতো বাঙ্গালী মুসলমানরা কি করছে, কতটুকু অবদান ঐ কটা কাজে? আহা ইয়েমেনে কেন সউদিরা বাঁশ দিচ্ছে আর প্যালেস্টাইনে কেন ইসরাইল ঠাডা মারছে এই হা হুতাশ ছাড়া!