রৌদ্রছায়া নিবিড়।এক চিলতে সোনা রৌদ সবুজে শ্যামল।শার্শির ওপারে নীল আকাশপাণে বেদনার্ত সিঁদুররাঙা লাল।গা ছোঁয়া শীতল বাতাস।হালকা শীতলা আমেজ গা ঝাপটে ধরা অলসতায় মাখামাখি ব্যেস্ত নাগরী।স্থিত নাগরীক।আধারের চাদরে ঢাকা জনপদ পথের দুধারে নিওন আলোর রাজপথ।ছুটে চলছে ছোট-বড় বাস,গাড়ি,রিক্সা আলো উঁচিয়ে দালানকোঠা ছাপিয়ে।অসংখ্য উঁচু বড় ইমারত আলো ছোয়া রাজধানী। অন্ধকার আকাশে আলোর ঝলকানি বিকট শব্দে ছুটে চলে যান্ত্রিক ফড়িং,যেনো বিদ্রুপ করে যায়। চিলেকোঠায় দাড়িয়ে তারাদের ভিড়ে খুঁজে ফেরা কোনো উজ্জীবিত নব তারা।ঝিরঝিরে বাতাসে উদাসী চোখে,মুখে এক চিলতে হাসি,স্বপ্নগুলো হেসে যায় চোখের তারায়। এলোমেলো চুলে কোনো কবি আর কবিতায় প্রাণ খুঁজে ফিরে।কেঁদে উঠে সবুজ কেঁদে উঠে পাতা ঝরে যাবা তারা।ফিরে পাবে প্রাণ বড্ড অপেক্ষায় কোনো অজানা কোকিলের গানে। কুয়াশা ভরা মাঠ ঢাকা পরা চাঁদ বেরে চলে শীতের প্রকোপ। আমি খুঁজে ফিরি নিজেকে নি:সাড়।কবিতা লিখছি বারবার।উঁকি দিয়ে আকাশ জেগে আছে কিছু তারা রজনীর গভীরে।রাত গুলো অদ্ভুত রহস্যময় হেটে বেড়ায় নীরবচারী কবি।চারদিক শুনশান মৃত্যুর নীরবতায়।সে হেটে যায় অদূর বস্তিতে,জ্বলছে আগুন চারধারে কিছু নরকঙ্কাল,শীতের অভিশাপ থেকে বাচার তীব্র আর্ত চোখেমুখে।শীতশীত হাহাকারে আজ থেকে শুরু নির্ঘুম রাত পাড়।বিউগল বাজে করুণ সুরে নদী তীরে শ্মশানের নীরব আঁধারে কোনো রূপের বদলে।জেকে ধরে শীত পাঁজরের হাড়ে সে নীরবচারী ফিরে যায় অরচিত থেকে যায় ছেড়া পাতায় শীতের অমর কোনো কাব্য।
শীতের আগমনী শুভেচ্ছা সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৯