টুপি সমুদ্র।হাটতে শিখেছে থেকে শুরু করে বয়ঃসন্ধিকাল পারি দেওয়া গোঁফ-দাঁড়ির অধিকারী মানবের বিচরণ।চারদিক কোলাহিত আম-সিপারার ধ্বনিতে।মাঝেমধ্যে ভেসে আসছে হৈ-হল্লার শব্দ।যেথায় তারা বসে অধ্যয়নরত সেথায়ি তারা পানাহার করে এবং ঘুমায়।চারধারে লু-হাওয়া প্রবাহিত মাঝ থেকে ঝরে পরছে বালিকণা।এরি মাঝে কিছু বয়স্ক লোক দেখা যায় সবাই ‘জি হুযুর জি হুযুর’ করছে,তাঁদেরকে ঘুমের সময় ছাত্ররা হাত,পা,মাথা টিপে দিচ্ছে,গোসল করিয়ে দিচ্ছে,কাপড় ধুয়ে দিচ্ছে আবার খেদমতে কমতি হলে অধীনস্থদের গালমন্দ করছে।তারা অবশ্য শিক্ষক।তাদের মাধুরীমাখা কণ্ঠ কখনো শোভা পাচ্ছে আলিফ,বা কখনো বা পবিত্র ধর্মের বাণী।তাদের হাতে শোভা পায় বেত যা দ্বারা প্রহারিত হয় সেই প্রথম হাটতে শিখা মানব সন্তান থেকে গোঁফ-দাঁড়ির অধিকারীরা।যে দৃশ্য হৃদয় মাঝে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ তোলে সেই ঢেউয়ের আছড়ে পরার গর্জনের আর্তচীৎকার বধীর কর্ণেও শোনা যায়।অমানুষীক,পাশবিক নির্যাতনের শিকারগ্রস্থ কেউ যদি খুঁজে ফিরে বাধনাহারা মুক্তপ্রান্তর তাঁদের উপর নেমে আসে আঁধার রাতের হিংস্র খড়গ।তারা স্বপ্ন দেখতে পারে না উদাস আকাশের ছুতে পারে না সবুজ প্রান্তর।পায়ে বেড়ী আর চারধারে নিষিদ্ধতার দেয়াল।যদিও আজ সভ্য সমাজে এর সংখ্যা খুবই কম কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে যে ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি,ধর্মের কুসংস্কার বেশি।
আবাসিক মাদরাসা বিশেষ করে নাজেরা ও হেফজখানা যার মাঝে থাকে গেলমান উপাধিতে ভূষিত কিছু সুন্দরী ,পিছে ঘুরঘুর করে ধর্মের আবেশে থেকে মাংসকাম,যৌনলোভী টুপীর অধিকারী।তাদের অক্ষি চকচক করে সমলিঙ্গর কামনায়।সমলিঙ্গের স্পর্শ ও কায়া ভক্ষণে তাদের তৃপ্তি।টুপী ও ধর্মের লেবাসে সজ্জিতদের যৌন কামনার পূর্ণতায় ব্যাবহার হচ্ছে গেলমান।
সিলেটে মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষন করেছে এক শিক্ষক(বাংলার মহিলা মাদ্রাসায় পুরুষ শিক্ষক বেশী)এবং সে ছাত্রী ছয়মাসের অন্তঃস্বত্বা।কতৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর মিলল’সাব ব্যাপারটা নিজেদের মাঝে মিটমাট করে ফেলি বাইরে জানাজনি হলে মাদ্রাসার বদনাম হবে।
কুরবানি ঈদে মাদ্রাসাগুলোতে চামড়া কালেকশন হয়ে থাকে।এই চামড়া কারা কালেকশন করে?
মাদ্রাসায় বিদ্যার্থী ছাত্ররা।নিয়ম হলো তুমি কুরবানিতে আপনজনের সাথে মিলিত হতে ইচ্ছুকে তবে কতৃপক্ষের বেধে দেওয়া চাঁদা আনতে হবে নয়ত মাদ্রাসায় অবস্থান করো চামড়া কালেকশন কর।
সম্ভবত চাঁদার টাকা এতীম,গরিব ছাত্ররা খেতে পারে!!
যদিও তা স্লিপে দান হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।বিপরীতে বেঁধে দেওয়া টাকার পরিমাণ নয়ত চামড়া কালেকশন।
ফরিদাবাদের রান্নাঘর ও ছয়তালা ঘেঁষা উচ্ছিষ্ট ময়লার ডাস্টবিন,যার পাশেই তোড়জোড় চলছে রান্নার।ময়লার দুর্গন্ধ সাথে করেই ছয়তালা ভবনের দিনপাত চলছে।ট্যাপের পানি পান করতে বাদ্ধ করে ছাত্রদের নানারকম পানিবাহিত ভয়ঙ্কর রোগের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
ও হে তারা বলে জাতির কর্ণধার তাই মনে হয় তাঁদের সাত খুন মাফ!!
আমি ইদানীং এদেরকে "কওমিওয়ালা" নাম দিয়েছি, শব্দটা সুদের কারবারি "কাবুলিওয়ালা" থেকে মাথায় এসেছে।
আর হ্যাঁ, আমি অবশ্যই জানি, আলেমরা নবীর উত্তরাধিকার হিসেবে সবচাইতে সম্মানিত সম্প্রদায়। কিন্তু, এটাও জানি, জাজমেন্ট ডে'তে সবার আগে ভ্রষ্ট আলেমদেরকে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে উপুড় করে পা উপরে মাথা নীচে অবস্থায় ছেঁচড়িয়ে নিয়ে নরকে ফেলা হবে। যে অন্যের হক রক্ষা করে না, যে অন্যকে কষ্ট দেয়ার মত পাপাচার করে, সে নিশ্চয় ভ্রষ্ট; কোনো সম্মান তার প্রাপ্য হতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭