somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

দূর পাহাড়ে
জমে থাকা কথাগুলো থরে থরে সাজাতে চাই ব্লগে

প্রভাষ আমিনের চামড়ায় ব্লেডের টান দিয়েছেন কাশেম বিন আবু বাকার: ব্যথা লাগলে কারও করার কিছুই নেই

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কাসেম বিন আবুবাকারের 'হালাল' সাহিত্য
প্রভাষ আমিন
কাসেম বিন আবুবাকার নতুন লেখক নন। বছর দুয়েক হলো লেখালেখি ছেড়ে দিলেও আশির দশক থেকে প্রায় একশ বই লিখেছেন। এবং তিনি বেশ জনপ্রিয়ও। তবে তার জনপ্রিয়তা গ্রামে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং গ্রামের অবরোধবাসিনীরা তার লেখায় নিজেদের আশ্রয় খোঁজে। বলা হয়, তিনি তার লেখায় ইসলামি মূল্যবোধ, চেতনা, সংস্কৃতি প্রচার করেন। বলা হলেও বিষয়টি পুরোপুরি সত্যি নয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীরা যেমন ওয়াজের নামে সফট ‘পর্ন’ প্রচার করেন; কাসেম বিন আবুবাকারও তাই। তিনি আসলে ইসলামি মোড়কে যৌনতা প্রচার করেন। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদমিত কামনা বৈধতা পায় কাসেম বিন আবুবাকারের কলমে। তার নায়িকারা বোরখা পড়ে ডেটিঙে যায়, নায়ক বিসমিল্লাহ বলে নায়িকাকে ‘কিস’ করে, তারা গান গায় না, উর্দু গজল গায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান তরুণ-তরুণীদের মনে যৌনতা নিয়ে, বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে যে অস্বস্তি থাকে, তা কাটিয়ে দেন কাসেম বিন আবুবাকার। তারা নিজেদের অনাচারকে জায়েজ করে নেয় কাসেম বিন আবুবাকার পড়ে, অপরাধবোধটা দূর হয়ে যায়। বিশ্লেষণ করার মতো গভীরভাবে আমি কাসেম বিন আবুবাকার পড়িনি। টুকটাক যা পড়েছি, তা আমাকে টানেনি। আর আজ আমি আবুবাকারের সাহিত্যমূল্য বিশ্লেষণ করতেও বসিনি। তিনদশক ধরে লেখালেখি করলেও বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যমে তার কোনও ঠাঁই মেলেনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনায়। বার্তা সংস্থা এএফপি কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে বিশাল স্টোরি ফেঁদেছে। এএফপির সূত্রে বিশ্বের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে কাসেমের জনপ্রিয়তার গল্প। কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে স্টোরি করায় আমার আপত্তি নেই। বাংলাদেশের গণমাধ্যম তাকে পাত্তা দেয়নি বলে, কেউ দিতে পারবে না, এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু আমার সন্দেহ এর উদ্দেশ্য নিয়ে। নিজেদের যে যতই নিরপেক্ষ দাবি করুক, সব গণমাধ্যমেরই একটি সম্পাদকীয় অবস্থান থাকে। তারা নিজেদের সম্পাদকীয় অবস্থান থেকে নানাভাবে নিজেদের আদর্শ প্রচার করেন। তবে সেটারও একটা সময়ানুগ চরিত্র থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই এএফপি কেন কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে এত লম্বা স্টোরি ছাড়লো? এখন বইমেলার সময় নয়, ইসলামি কোনও উৎসবের উপলক্ষ্য নয়, কাসেম বিন আবুবাকারের জন্মদিনও নয়; তাহলে এখন কেন? এখানেই আমার সন্দেহ, আসলে নিছক সন্দেহ নয়, শঙ্কা।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের উদার-অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে পাল্টে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে অনেকদিন ধরেই। দ্বিজাতিত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। ধর্মরাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু একটি মহল বাংলাদেশকে আবার ধর্মরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এতদিন ষড়যন্ত্রটা চলছিল আড়ালে-আবডালে। এখন চলছে প্রকাশ্যে। এতদিন প্রতিক্রিয়াশীল চক্রটি মনে থাকা যেসব দাবি মুখে আনার সাহস পেতো না। এখন তারা সেসব দাবি তুলছে প্রকাশ্য সমাবেশ করে বুক ফুলিয়ে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তার অনেক দাবি মেনেও নেওয়া হচ্ছে। প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের প্রকাশ্যে আসা গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতার সূত্র ধরে। সুকৌশলে ‘নাস্তিক ব্লগার’ ট্যাগ লাগিয়ে দেশের প্রগতিশীল অংশকে ইসলামের প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করা হয়, যেটা একদমই সত্যি নয়। এই সুযোগে ভয়ঙ্কর অশুভ ১৩ দফা নিয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। আর জঙ্গিরা টার্গেট করে, তালিকা প্রকাশ করে ব্লগার, লেখক, প্রকাশকদের হত্যা করতে থাকে। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত হলেও গোপনে সরকারের সাথে হেফাজতের সমঝোতা প্রক্রিয়া চলতে থাকে। অনেক ব্যাপারেই তাদের ছাড় দেওয়া হয়। এই ছাড়া পেতে পেতে তাদের আগ্রাসন বাড়তে থাকে। হেফাজতের সবচেয়ে বড় আঘাতটা আসে পাঠ্যপুস্তকে। তাদের তালিকা ধরে ধরে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করা হয়। সময়ের সাথে সাথে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা ছেলেবেলায় যা পড়েছি, তার অনেককিছু এখন নেই। কিন্তু সেটা যখন হয় ধর্মীয় বিবেচনায়, তখনই ভয়। লেখকদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে সফল অপারেশনের পর হেফাজতের টার্গেট বাঙালি সংস্কৃতি। ৫০ বছর ধরে চলে আসা রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ হেফাজতের চোখে হিন্দুয়ানি, বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা পাওয়া পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাও তাদের ভাষায় হিন্দুয়ানি। সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর দাবি এখন বাস্তবায়নের পথে। হেফাজতের কৌশলটা মন্দ নয়। তারা টেস্ট কেস হিসেবে এমন একটি ভাস্কর্যকে বেছে নিয়েছে, যার শিল্পমান নিয়ে প্রশ্ন আছে। গ্রিক দেবি থেমিসের আদলে করা হলেও শাড়ি পড়িয়ে জগাখিচুড়ি বানানো হয়েছে। এই যুক্তিতে হয়তো শেষ পর্যন্ত সরানো হবে এই ভাস্কর্য। কিন্তু শঙ্কাটা হলো, আসলে সরানোর দাবিটা হেফাজতের। আর সুপ্রিম কোর্টে সফল হলে হেফাজত নিশ্চয়ই তাদের আসল দাবি নিয়ে সামনে আসবে।

তাদের ১৩ দফার ৭ নম্বরটি হলো, ‘মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা’। এরপর নিশ্চয়ই তারা অপরাজেয় বাংলা, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, রাজু ভাস্কর্য সরানোর দাবি তুলবে।

আমার আতঙ্কটা এখানেই। বাংলাদেশের মানুষের, তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে হেফাজতি আগ্রাসনের সকল আয়োজন সম্পন্ন। শিশুরা বেড়ে উঠবে হেফাজতের ঠিক করে দেওয়া পাঠ্যপুস্তক পড়ে। সাংস্কৃতিক আগ্রসনের আয়োজনও সম্পন্ন প্রায়। একটা জায়গা হেফাজতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল- মূলধারার সাহিত্য। সর্বগ্রাসী আগ্রাসনের জন্য হেফাজতের একজন সাহিত্যিক দরকার। আর সেই পদের জন্য যোগ্যতম কাসেম বিন আবুবাকার। আমার ধারণা এ কারণেই এই সময়ে এই বটতলার ঔপন্যাসিককে জাতে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। শাহ আহমেদ শফী ওয়াজে যা বলেন, কাসেম ত্রিশ বছর আগে উপন্যাসে তা লিখেছেন। শাহ আহমেদ শফীর চোখে নারী মানেই তেঁতুল, যাদের দেখলে তার দিলে লালা ঝরে। আর কাসেম বিন আবুবাকারের প্রথম উপন্যাসের নাম ‘ফুটন্ত গোলাপ’, নায়ক সেলিমের চোখে নায়িকা লাইলি ফুটন্ত গোলাপের মতো। ফুটন্ত গোলাপ আসলে তেঁতুলের সাহিত্যিক রূপ।

আল্লামা শফী মনে করেন, মেয়েরা ‘কেলাস ফোর-ফাইভ’ পড়লেই যথেষ্ট, যাতে তারা স্বামীর টাকা-পয়সার হিসাব রাখতে পারে, ছেলে সন্তানের লালন-পালন করতে পারে। আর কাসেম বিন আবুবাকার লিখেছেন, ‘পুরুষদের রাত জেগে কারো সেবা করা ঠিক না, এতে শরীর ভেঙ্গে যায়। এই কাজের জন্য আল্লাহপাক মেয়েদের সৃষ্টি করেছেন’। কাসেম আরও লিখেছেন, ‘বিয়ের আগে চাকরি করলেও বিয়ের পর মেয়েদের চাকরি করা ইসলাম সম্মত না। বিয়ের পর একমাত্র কাজ স্বামীর সেবা করা’। এভাবেই শফীরা, কাসেমরা আমাদের নারীদের ঘরে আটকে রাখতে চান। অথচ বাংলাদেশের অগ্রগতির একটা বড় কৃতিত্ব নারীদের। তারা এখন পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

কাসেম বিন আবুবাকার আরো লিখেছেন, ‘বিয়ের আগে বেগানা পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করা ঠিক না, তবে আপাদমস্তক বোরকা পরে প্রেম করা হালাল’। তিনি মনে করেন, আনন্দ প্রকাশের জন্য হাততালি দেওয়া মুসলমানদের রীতি না, আনন্দ প্রকাশের জন্য বলতে হবে মারহাবা, মারহাবা অথবা সুবহান আল্লাহ।

কাসেম বিন আবুবাকারের কয়েকটি বইয়ের নাম দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন, তিনি কী লেখেন- ফুটন্ত গোলাপ, একটি ভ্রমর পাঁচটি ফুল, বিলম্বিত বাসর, বাসর রাত, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, বিদায় বেলায়, প্রেম যেন এক সোনার হরিণ, স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটি, মনের মতো মন, কালো মেয়ে, অবশেষে মিলন, কেউ ভোলে কেউ ভোলে না, ধনীর দুলালী, তোমারই জন্য, হৃদয়ে আঁকা ছবি।

কাসেম বিন আবুবাকারের লেখা থেকে আরও কিছু পাঠ করলে বোঝা যাবে আসলে তিনি ইসলামের নামে কী প্রচার করেন- ‌‘শফিক বিসমিল্লাহ বলে শফিকুনের ঠোঁটে কিস করা শুরু করলো’, ‘আপনি শরিফ ঘরের মেয়ে। আপনার জন্য আল্লাহপাক আমাকে কবুল করুন। আমিন’, ‘সুবাহানাল্লাহ। আপনার মতো সুপুরুষ আমি জন্মের পর থেকেই আশা করেছিলাম’, ‘রফিকুন বোরখা পরে ডেটিং-এ যায়। কারণ বোরখা ছাড়া ডেটিং নাজায়েজ’, ‘শাকিলা তার স্বামীকে বললো, “বাসর রাতে কি করতে হয় আমি জানিনা। আমাকে শিখিয়ে দাও না গো’, শাকিল বললো, “ও আমার প্রাণের সখী। আল্লাহপাক তোমাকে কেনো এতো রূপবতী বানালেন”, “এই যাও! আমার লজ্জা লাগে না বুঝি!” এই বলে আকলিমা শাড়ি ধরে রাখার চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না।‘, “বাসর রাত আল্লাহর নিয়ামত। এই রাতে লজ্জা পেতে নেই গো আমার প্রাণ সজনী।”, ‘শেষমেষ তারা শরিয়ত মোতাবেক স্বামী-স্ত্রীর মধুর মিলনে মেতে উঠলো।‘ এভাবেই কাসেম বিন আবুবাকার যৌনতাকে হালাল করেন।

আপনারাই বলুন, এসব কি ইসলামি সাহিত্য নাকি ইসলামের মোড়কে যৌনতা বিক্রি? ইসলামকে হেয় করছেন কে? মূলধারার সাহিত্যিকরা না এই কাসেম বিন আবুবাকাররা? ছেলেবেলা থেকে ইসলামের যে শান্ত, সৌম্য ভাব দেখে এসেছি। এখনকার উগ্র, আক্রমণাত্মক জঙ্গিবাদীদের সাথে তার কোনও মিল খুঁজে পাই না। ইসলামি সাহিত্য লেখা যাবে না, এমন কোনও কথা নেই। যুগে যুগে অনেক বড় মহান ইসলামি সাহিত্যিক বিশ্ব সাহিত্যকেই সমৃদ্ধ করেছেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশের ইসলামি সাহিত্যের প্রতিভু যদি হন কাসেম বিন আবুবাকার, তাহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের ভাবনাটা কী হবে? আল মাহমুদ আদর্শ বদলের পরও কিন্তু তাঁর সাহিত্যের রসাস্বাদন করতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। সবাই যখন তাকে মৌলবাদী বলে গালি দেন, আমি তার কবিতা পড়ি গভীর আবেগে। তার গদ্যও আমাকে টানে। কিন্তু কাসেম বিন আবুবাকারের সাহিত্যে তো রস নেই, আদিরস আছে।

অনেকে বলছেন, কাসেম বিন আবুবাকার তো জনপ্রিয়। তাতে আমার দ্বিমত নেই। তিনি যা লেখেন, তা জনপ্রিয় হবেই। আর জনপ্রিয় মানেই যে ভালো এমন কোনও কথা নেই। জনপ্রিয় সিনেমা বা সাহিত্য শিল্প মানোত্তীর্ণ হতে পারে নাও পারে। আমি শিল্পবোদ্ধা নই। তবে যতটুকু বুঝি কাসেম বিন আবুবাকারের লেখা বটতলার চটি লেখার চেয়ে বেশি কিছু নয়। এ কারণেই এত জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মূলধারার গণমাধ্যমের আনুকূল্য পাননি তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম কিন্তু ঠিকই গ্রাম থেকে তুলে এনে শহরের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে মমতাজকে। কিন্তু লেখালেখি শুরুর তিনদশক পর, যখন তিনি লেখা ছেড়ে দিয়েছেন, তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি আবিষ্কার করলো কাসেম বিন আবুবাকারকে! মেয়েরা যার কাছে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখে, যাকে বিয়ে করার জন্য মেয়েরা পাগল। কাসেম বিন আবুবাকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে এএফপি সাহায্য নেয়, লেখক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ, সাংবাদিক কদরুদ্দিন শিশিরের। আমার জানার ঘাটতি আছে, সীমাবদ্ধতা আছে; আমি কাসেম বিন আবুবাকারকে চিনি; কিন্তু যারা তাকে সার্টিফাই করেন, সেই সাংবাদিক ও সাহিত্যিককে চিনি না। বলতে দ্বিধা নেই, কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে এএফপির অসময়োচিত স্টোরিটি আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে।

হেফাজতের দীর্ঘ কালো অপছায়া যেভাবে আমাদের সব শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-অগ্রগতি ঢেকে দিচ্ছে। এমনিতে আমি খুব আশাবাদী মানুষ। সবসময় বলি, রাত যত গভীর ভোর তত নিকটবর্তী। কিন্তু মৌলবাদী থাবা এবার অনেকদূর বিস্তৃত। এবারের রাত মনে হচ্ছে অনেক দীর্ঘ। হেফাজতের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু লেখক, নজরুলও পুরোপুরি ইসলামি লেখক নন। তাদের কাছে খাঁটি ইসলামি লেখক হবেন কাসেম বিন আবুবাকার। ভবিষ্যতে কাসেম বিন আবুবাকারের লেখা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্তির দাবি উঠলেও আমি খুব অবাক হবো না। অনেক বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। ভোটের রাজনীতি ভুলে মৌলবাদীদের ওপর থেকে সব ধরনের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা তুলে নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×