এস এম জাকির হোসাইনসাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
শীত শুরু হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। বাংলাদেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি। পৃথিবীর বার্ষিক গতির নিয়মে এখন সেই মাস চলছে। শীতের রাতগুলো দীর্ঘ হয়। একেবারে হিমশীতল নির্জন রাত, কী গ্রাম কী শহর। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে চায় না। সন্ধ্যার অন্ধকার নামার আগেই পশুপাখিগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। রাতের নিস্তব্ধতায় সামান্য ঝিঁঝি পোকার ডাকও অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে। আলোঝলমলে দিনের সৌন্দর্যে সবাই মুগ্ধ হয়। কিন্তু রাতেরও যে সৌন্দর্য আছে সেটা আমরা খুব কম মানুষই জানি। শীতের রাতগুলো অসম্ভব সুন্দর। শীতের রাত নিয়ে প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন–
“এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;
বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে, কিংবা পাতা,
কিংবা প্যাঁচার গান; সেও শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো”
জীবনানন্দ দাশের সেই শিশির কিংবা পাতা-ঝরা অসম্ভব সুন্দর শীতের রাতে পড়ার ঘরে বসে আছি। এখানেও গভীর রাতে গাছের পাতায় শিশিরের শব্দ পাই। কাচের টেবিলে খাতা-কলম রাখা। প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের জন্মদিন, ব্যস্ততার ফাঁকেও কিছু লিখতে হবে। লিখতে বসে যত বারই মনে হচ্ছে, এমনই সুন্দর কোনো এক পৌষের রাতেই বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে জন্ম নিয়েছিল, দুঃখী বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের হাতিয়ার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মনটা আনন্দে ভরে যায়। ছাত্রলীগ তো শুধু একটি ছাত্র সংগঠন নয়, মহাকালের ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি নাম। একটি স্বস্বাধীন জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে আছে তার নামটি।
২.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ জন্ম নেয় ভারত পাকিস্তান। তখন আমাদের ৫৬ হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ডটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। বাঙালি অর্থনীতি, রাজনীতি সংস্কৃতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী আমাদের শোষণ করতে চেয়েছে বারবার। যে রাষ্ট্রগঠনে আমাদেরও ভূমিকা ছিল, রাতারাতি তারা যেন হয়ে গেল সেই রাষ্ট্রের মালিক, আমরা নগণ্য প্রজা। তাদের সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছি আমরা। বঞ্চিত হয়েছি মৌলিক অধিকার থেকেও।
সেই শাসক গোষ্ঠীর অন্যায় আর শোষণের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করতে সময়ের দাবিতেই ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ছাত্রসমাজের ডাকা হরতালের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অবদান রাখতে শুরু করে।
এরপরে ১৯৫১ সালের আদমশুমারি চলাকালে সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বাংলা ভাষার পক্ষে মতামত দিতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করে। এরপর ’৫২এর ভাষা আন্দোলন এবং ’৫৪এর যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনী প্রচারে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৫৮ সালে আইয়ুবের মার্শাল ’লএর প্রতিবাদে ছাত্রলীগই প্রথম রাজপথে সোচ্চার হয়। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৬এর ছয় দফা এবং ছাত্রলীগের ১১ দফা অতঃপর ‘৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০এর নির্বাচনে বিজয়ী হতে ছাত্রলীগের অবদান ছিল মাইলফলক।
এ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ’৭১এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাড়ে ১৭ হাজার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছেন। এই গৌরব পৃথিবীর আর কোনো ছাত্র সংগঠনের আছে কিনা আমার জানা নেই।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা পর পিতাহীন বাংলাদেশ বারবার গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সেই সময়গুলোতেও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসেছে। ১/১১’এর অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে শত শত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। দেশব্যাপী হেফাজত ইসলামের নৈরাজ্য, বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, জামাতের সঙ্গী তৎপরতা ঠেকাতে সোচ্চার ছিল ছাত্রলীগই।
এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাহারা দিয়েছে পূজামণ্ডপ; করেছে রাস্তা মেরামতের কাজও; পরিবেশের জন্য লাগিয়েছে হাজার হাজার বৃক্ষ। দাঁড়িয়েছে বন্যার্ত, শীতার্ত মানুষের পাশে। কখনও করেছে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি; আবার কখনও ছুটে গিয়েছে কোনো অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আসলে সব সময় ভালো কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
৩.
একটি জাতি, শিক্ষাদীক্ষায় যত এগিয়ে উন্নয়নেও তত এগিয়ে। শুধু তাই নয়, উন্নয়ন ফলপ্রসূ এবং উন্নয়নের শতভাগ সুবিধা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে সবার আগে দরকার শিক্ষিত জনগণ। শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-তনয়া জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যকটি সেক্টরে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শুরু করে যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব খাতে চলছে সেই জোয়ার। উন্নয়নের সবগুলো সূচকে ইতিমধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই অনেক উন্নত দেশকেও পেছনে ফেলেছি।
বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, সামনের দিনগুলোতে যে ১০টি দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ প্রভাব বিস্তার করবে তাদের একটি হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন চলছে সেটা আরও কার্যকরী করতে শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন। পাশাপাশি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন, সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা নিতে।
আমরাও নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইতিমধ্যে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ২০১৭ সালকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নিরক্ষরতামুক্ত বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই পুরো দমে কাজ করে যাব আমরা। আমাদের কার্যক্রম যেন একেবারে জেলা উপজেলা থেকে ইউনিয়ন এবং প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছায় সেই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন টিম করে দেওয়া হবে কাজ সঠিকভাবে তদারকি করার জন্য।
বঙ্গবন্ধুতনয়া, জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরক্ষমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন শুরু করেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
৪.
আজ লাখো তারুণ্যের প্রাণের উচ্ছ্বাস, আবেগ, ভালোবাসা আর ভালোলাগার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম জন্মদিন। ছাত্রলীগের জন্ম না হলে কখনও বাঙালির লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস নির্মিত হত না। কখনও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে রঞ্জিত হত না রাজপথ। গুমরে কাঁদত মানবতা। এ জন্যই জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস’।
শুভ জন্মদিন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। অতীতের ন্যায় তোমার হাত ধরেই রচিত হোক মহাকালের শ্রেষ্ঠ ইতিহাস। ইতিহাসের পাতায় পাতায় অনন্ত অক্ষয় হয়ে থাকুক তোমার নাম।
শুভেচ্ছা অফুরান।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
“শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ”
মাইনুল ইসলাম হাসান
এইদিনে শপথ নিন আওয়ামী শত্রু ও বঙ্গবন্ধু হত্যার নিলনকশাকারী দলের কতিপয় দুধে মাছিদের,যারা ট্যাংকের উপর নেচেছিল ,উল্ল৩স করেছিল। নাহলে অতি শিঘ্রই আবার দূর্ঘটনা ঘটাবে এরা,এরা মিল্লাতবাম আই অলয়েস হেট দেম
জানুয়ারি ৫, ২০১৭
কাজী আহমদ পারভেজ
এত এত ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাথে যে নামটি জড়িত, জাতির পিতার হাতে যে সংগঠনটির সৃষ্টি, কোনো ব্যাক্তির বালখিল্যতায় যখন সেই সংগঠনের নাম কলুষিত হয়, ভাবি, কেমন লাগে তাদের নিবেদিত প্রান কর্মিদের?
স্বার্থান্বেষি সব জায়গায়ই থাকে।
ছাত্রলীগেও আছে।
কিন্তু নিবেদিত প্রান কর্মিদের তুলনায় তারা নিশ্চয়ই সংখ্যায় নগন্য।
তাঁরা কি পারেন না, দলের ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে দলকে ঐসব স্বার্থান্বেষি মুক্ত করতে?
অবশ্যই পারেন।
অপেক্ষায় থাকলাম, কবে সেটা ঘটে তা দেখার জন্য।
এস এম জাকির হোসাইনকে ধন্যবাদ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল অতিত ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
জেষ্ঠ্য নেতৃত্বের সকলেরই উচিৎ এসব কথা বারবার স্বরণ করিয়ে দেয়া…
জানুয়ারি ৫, ২০১৭
নাজমুল ইসলাম
পুলিশ লীগ আর ছাত্রলীগ
বাংলাদেশ এ নতুন সেনা বাহিনী।
এরা আমজনতার বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ
শুরু করেছে।করছে গ্রেপ্তারী বাণিজ্য
আর চাঁদাবাজি। খুন, ধর্ষণ আর লুটপাট
এদের কাছে ব্রেকফাস্ট এর মত।এগুলা করেই এদের দিন পার হয়।
হায়! বাংলাদেশ!
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
শেখ মহিউদ্দিন
বাংলাদেশের অধিকাংশ উঠতি প্রজন্মের নৈতিকতা বা বিবেকবোধ এই আদর্শচর্চাহীন রাজনীতির কারনেই শেষ হয়েছে। যার সর্বাধিক দায়ভার আওয়ামী লীগের উপর বর্তায়।
প্রশ্ন জাগতে পারে কেন বদরুলদের পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের দোষারোপ না করে রাজনীতি বা দলগুলোকে দায়ী করছি। উত্তর একটাই বদরুল টাইপের ছেলেদের বা এই প্রজন্মের তরুণদের পিতা-মাতারা অধিকাংশই ৫০-৬০ এর কোটার বয়সী হিসেবে আর এরা বাংলাদেশের অপরাজনৈতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে নিজেদের ধান্দা করতে ব্যস্ত থাকায়, বদরুলদের দিকে আমাদের সময়ের পিতামাতাদের মত করে নজর দিতে পারেন নি। সেই সাথে বড় যে বিষয়টি তা হলো বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষাকে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অবজ্ঞা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোনঠাসা করে ফেলার চলমান প্রচেষ্টা। যে কারনে পিতা-মাতার সাথে সন্তানেরাও গড়ে উঠেছে নৈতিকতাহীন ভাবে। আর ক্ষমতাসীনদের ও রাষ্ট্রের নিত্যকার কর্ম বর্তমান প্রজন্মকে সহায়তা করছে নিষ্ঠুর হত্যাকারী হিসেবে নিজেদের গড়ার ফ্যান্টাসিতে ভুগতে।
আমার এই কথাগুলোর বিরোধিতা হবে এন্তার; যার অধিকাংশই হবে না বুঝে। কারন আদর্শচর্চাহীন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এদের অন্ধ ভালবাসার কারনে। এদের কাছে দেশপ্রেমের চেয়ে দলপ্রেম অনেক বড় আর দলপ্রেমের চেয়ে নেতাপ্রেম অনেক বেশি কঠিন। কারন নেতাদের কারনেই এরা ধান্দা করতে পারে অথবা সামনে কোনদিন পারবে। আর যারা এ বিষয়গুলো বোঝে তারা নিজেদের সম্মান বাঁচাতে চুপচাপ বসেই থাকেন। এদের জন্য আমার এখন আর করুনা হয় না, মায়া হয়। বড় নিরীহ প্রাণী এরা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দেয়া রাষ্ট্রের সংজ্ঞা অনেক আগেই পদদলিত হয়েছে। রাষ্ট্র এখন আর নাগরিকদের প্রতিপালনের প্রতিষ্ঠান নয়। এটি এখন কিছু মুনাফাখোর আর লোভী নিষ্ঠুর মানুষের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন এমনভাবে আওয়ামী করুন করা হয়েছে যার চেতনার ভিত্তি দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে। এমনভাবে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রায়ন করা হচ্ছে যার ফলাফল হচ্ছে ঘৃণা, বিদ্বেষ আর হত্যা। আর চেতনাকে ধারাবাহিক করতে জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে নাগরিকদের অধিকার। বিচার ব্যবস্থাকেও নাগরিক স্বার্থের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। এতো মিথ্যাচার, ভণ্ডামি আর জোচ্চুরির নিষ্ঠুর রাষ্ট্র ব্যবস্থায় লাখ লাখ বদরুল পয়দা হবে এটাই স্বাভাবিক। লাখ লাখ বললাম এটা যে ভুল নয় সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিপক্ষের প্রতি এই চেতনাবাজদের অশ্লীল বাকি বর্ষণ দেখলেই বোঝা যায়।শিক্ষাব্যবস্থাকে অখাদ্যে পরিণত করে অমানুষ তৈরির পথকে প্রশস্ত করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র দখলের মতো কুব্যবস্থাকে পাকা পোক্ত করতে আওয়ামীদের দ্বারা পুরো জাতিকে দূষিত করতে ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে এগুলো হয়েছে। জাতি এটা বুঝলেও অন্য রাজনৈতিক নেতারা তা বোঝে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ; যদি বোঝে আর বুঝেও চুপ থাকে তবে বুঝতে হবে এদের কারুর দ্বারাই জাতির উদ্ধার পাওয়ার আশা দুরাশা।
সবশেষে বলতে চাই রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অজানা অচেনা সংখ্যালঘুদের সংখ্যাধিক্য যেমন চোখে পড়ছে তেমনি চোখে পড়ছে মহিলাদের বিশাল অংশগ্রহণ। নারীর এই বিশাল ক্ষমতায়নের সময়েও এই নারীদের অনুসারীরা যখন ক্রমাগত নারীদের চূড়ান্ত অসম্মানকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিচারহীনভাবেই তখন ভয় জাগে আগামীতে এই ইস্যুকেই অন্যভাবে রাষ্ট্রকে দখলে রাখার কোন চক্রান্ত নিয়েই এই বদরুলদের প্রতিপালন হচ্ছে কিনা। সবাই ভাবুন কোথায় এখন আমাদের ভবিষ্যৎ। শুধু একটি নির্বাচণেই খাদিজাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে কিনা?
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
দিশেহারা
কুপিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা, প্রচার পেতে অপারেশন রুমে সেল্ফি তুলছে যুব মহিলা লীগ নেত্রী-এমপিরা…
আইন প্রণেতাদের এই কর্মকাণ্ডে আমি দিশেহারা লীগের নেতা হয়ে গেলাম!!!
* নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ….
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
Manik
নিউজঃ যুবলীগ নেতাকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা
বিঃ দ্রঃ এর পরেও তাদেরকে কেউ জঙ্গী বলতে পারবেন না। তারা সোনার ছেলে!
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
ahad
বদরুলের অপরাধ ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও হাজার হাজার অপরাধ ভিডিও ছাড়া, ক্যামেরাম্যান ছাড়া সংগঠিত হয় কারণ অপরাধীরা কখনও ক্যামেরা ম্যান নিয়ে অপরাধ সংগঠিত করেনা।সকল প্রকার অপরাধ বন্ধ করতে হলে প্রশাসনকে ন্যায় ও নিষ্ঠার সহিত এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে একাগ্রতার সহিত কাজ করতে হবে।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
nazer alam
বিশ্বজিৎ দর্জিকে ছাত্রলীগ কুপিয়েছে, জঙ্গীরা না।–
শিশুটাকে মায়ের পেটে গুলি করেছে ছাত্রলীগ,কোন জঙ্গীরা না। শিশু রাকিবকে পিটিয়ে মেরেছে ছাত্রলীগ, জঙ্গীরা না।.
রিকশাচালককে গুলি করে মেরেছে আওয়ামী এমপি পুত্র, জঙ্গীরা না। শিশুর দু’পায়ে গুলি করেছে আওয়ামী এমপি, জঙ্গীরা না।.
চাঁদার জন্য ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে ছাত্রলীগ, জঙ্গীরা না। পেট্রোল বোমা নিয়ে ধরা
খেয়েছে ছাত্রলীগ, জঙ্গীরা না। মন্দির ভাঙ্গতে গিয়ে ধরা খেয়েছে ছাত্রলীগ, কোন জঙ্গীরা না। .
টেন্ডার নিয়ে মারামারি করে যুবলীগ-ছাত্রলীগ, জঙ্গীরা না। হল দখলে অস্ত্র প্রদর্শনী করে ছাত্রলীগ, জঙ্গীরা না। .
খাদিজাকে প্রকাশ্যে দিবালকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ, জঙ্গিরা নয়।…দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করেছে ছাত্রলীগদের, কোন জঙ্গিকে করেনি।
যুবলীগ,আঃলীগ নেতাদের কুপিয়ে হত্যা করছে ছাত্রলীগ, কোন জঙ্গিরা নয়।
———-
বি: দ্র:——-
বিশ্বের মাঝে যদি কোন জঙ্গী সংগঠন থেকে থাকে তবে তা একমাত্র ছাত্রলীগ। যা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। কিন্তু আপনি তা চখে দেখবেন না কারন আপনার চখে ক্ষমতার কালো চশমা পরিহিত আছে।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
Rafikul
ছাত্রলীগ হল দেশের সোনার ছেলে।জাদের কোন বিচার হয় না।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
মানবতা
গুলশাল হামলাকারী , কল্যাণপুরে হামলাকারী যারা ছিল তারা নাকি ছিল জংগী কেননা তাদের হাতে অস্র ছিল তারা মেরেছিল মানুষকে কিন্তু যারা আজ যারা এভাবে প্রকাশ্য মানুষ মারল তাদের হাতেও অস্র ছিল তাহলে কেন আমরা তাদেরকে জংগী বলছি না ?
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
মানুষ না ছাত্রলীগ
হায়রে সোনার ছেলেরা তোমরা পারনা তেমন কোন কাজ বাকি নাই। ওরাতো মানুষ না ছাত্রলীগ।।।। জানোয়ার !
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
Nurul Haque
ছাত্রলীগ লেখা পড়া করে না । এলাকায় চাদা বাজি মাস্তানি গুন্ডামি করে । মেয়েদের পিছে পিছে ঘুরে, মারামারি কিলা কিলি করে । ঘুম আর হত্যা করে । এই ছাত্রলীগ নিয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট জনদের ভাবতে হবে । বাংলাদেশের ভবিষ্যতে কি হয়ে দাড়াবে সেটাই দেখার বিষয় । আসা করি সবাই তাদের হিংস্র থেকে দুরে থাকবেন ।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
রেজাউল
ছাত্রলীগ কি আসলে?
এরা কি মানুষ রুপে জানোয়ার না কি অন্য কিছু?
এরা মানুষদের কি করে এইরকম অত্যাচার অনাচার করে থাকে?
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
রাজনীতির উন্নতি
বিশ্বজিতের কথা কি মনেআছে আর খাদিজা, ছাত্রলীগ এখন বাংলাদেশের একমাত্র জঙ্গীসংগঠন ।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
সন্ত্রাস
সন্ত্রাস এর আর এক নাম ছাত্রলীগ।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
খাদিজা বেগম নার্গিস
খাদিজা বেগম নার্গিস এখনো বেচে আছে । সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসকে সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুর্নবাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে করে খাদিজাকে সিআরপিতে নেওয়া হয়। খাদিজার সঙ্গে তাঁর বাবা মাসুক মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। মাসুক মিয়া জানিয়েছেন, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি সবার কাছে মেয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
জানুয়ারি ৪, ২০১৭
হাকিম
ছাত্রলীগ মানেই কুপাকুপি !!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩