আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করা হবে সেই সব মানুষের বিচারের দাবিতে যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের(সঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। আমি তাদের সাথে একমত, আমি নিজেও অংশগ্রহন করব ইনশা-আল্লাহ। কিন্তু আমার মনে বড় ভয় কাজ করছে, কারন আমাদের এ বিক্ষোভের সুভিধা আবার কোন নামে ইসলাম দল নিয়ে নেয় (কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শত্রু )। এই মুহুর্তে যাদের অবস্থা সংকীর্ন তারা যে আমাদের এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে কোন সহিংশ ঘটনার জন্ম দিবেনা তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। আর যদি তাই হয় তবে বাধ্য হয়ে পুলিশ তা দমন করবে।
পুলিশ সাধারন মানুষের উপর হামলা করছে, ইসলামের উপর হামলা করছে। এভাবেই প্রচার চলবে আর পুলিশের সাথে জনসাধারনের একটা দুরত্ব সৃষ্টি হবে। অথচ পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে কোন দ্বিমতের সুযোগ নেই যে তারা জনকল্যানে কাজ করতে চেয়েছিল ।তারা মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে হবে জনসাধারনের শত্রু বলে গন্য হবে



তিরমিযী শরিফের হাদিস পড়েছিলাম, যার বাংলা অর্থ মোটামোটি এরকম, শেষ জমানায় এমন কিছু মানুষ আসবে যাদের বেশ-ভূষা হবে মুসলিমের মত ( কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের শত্রু), তারা ধর্মের অপব্যাখা করবে এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করবে।
এই হাদিসের অর্থ আর মানে বুঝতে আমাদের ইতিহাসবেত্তা কিংবা মুহাদ্দিস হওয়ার দরকার পরে না। তাই বলছি যারা আমার প্রানের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে তাদের যেমন বিচার করা দরকার, তেমনি যারা আমার ধর্মের নামে ব্যবসা করে, ক্ষমতায় যাওূয়ার পায়তারা করে তাদেরও বিচার করা উচিত।


যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে, যারা ধর্মের আইনের প্রত্যক্ষ লঙ্ঘন করে তারা ইসলামের কোন কল্যান করতে পারেনা। ইসলাম নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করেনা, কিন্তু তথাকথিত এই ইসলামিক দল ৯৬তে শেখ হাসিনা আর ২০০১ এ খালেদা জিয়ার আচল তলে জায়গা খুজেছিল ক্ষমতায় যাওয়ার তীব্র আকাংক্ষা নিয়ে। অর্থাৎ ক্ষমতায় যেতে এরা ইসলামের বিধান কেউ অগ্রাহ্য করতে দ্বিধাবোধ করে না। তাহলে এরা কিভাবে ইসলামিক দল হল??


নেট/এফবি/ব্লগে প্রায়ই দেখি অনেকেই লেখেন, তোমরা নাস্তিকের মৃত্যুতে এত শোকাহত কেন? আমরা আখিরাতে আল্লাহর কাছে বলব, হে আল্লাহ এই ব্যক্তি তোমার ও তোমার নবী (সঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীর পক্ষ অবলম্বন করেছে, তাদেরও বিচার করো…
হায় রে ভাই। এই অকাট্য যুক্তিকে আমি সম্মান করি, কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই তারা কোন দিনও নাস্তিক রাজিবের পক্ষ নেই নাই, আমরা দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ এক তরুনের পক্ষ নিয়েছি, যে দেশের কলংক মুছতে গিয়ে হত্যার স্বীকার হল। মক্কা বিজয়ের পর আমাদের নবী (সঃ) কাফেরদের সাথে চুক্তি করেন এই মর্মে যে, যদি মক্কা নগরী কখনও বহি;শত্রুর আক্রমনের স্বীকার হয় তবে মুসলিম ও কাফের উভয়ে মিলিত হয়ে মক্কা নগরী রক্ষা করবেন। অর্থাৎ দেশকে বহি;শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষায় কাফেরদের সাথেও চুক্তি করেছিলেন। অন্যকোন পার্থিব উদ্দেশ্য নয়। এখন বলুন, দেশকে কলংকমুক্ত করতে আমরা কি নাস্তিকের সাথে চুক্তি করতে পারি না???

তাই যদি পারি তবে আখিরাতে আমরা আল্লাহর কাছে তোদের নামে বলব, হে আল্লাহ এরা তোমার ও তোমার নবী (সঃ) এর নামে অপপ্রচার করেছে, এরা তোমার প্রদর্শিত পথ ইসলামের নামে ব্যবসা করেছে। এদের বিচার করো হে আমার মালিক, এদের বিচার করুন হে আমার প্রভু

আবার শুরুতে ফিরে আসি, আমাদের আজকের বিক্ষোভকে যেন কোন দল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে সবাই দৃষ্টি রাখবেন, যদি মিছিল থেকে কেউ সহিংস ঘটনার চেষ্টা চালায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন, আইনের আওতায় তার বিচার করুন।

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন, সবাইকে সঠিক দ্বীনি বুঝ দান করুন। আমিন