বৃষ্টির ফোটার মতন ঝরে পড়ে পাতা
ফাল্গুনের তাপদ্রাহে ।
আমি তার আগে। সামনে সমতল
প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাগজ, পাতা পোড়া ছাই -
একাকিত্বের বিলাসিতায় মগ্ন হয়ে যাই ।
কল্পনায় আমি এক বিস্তীর্ণ মাঠ দেখি
ধূসর ঘাসে ঢাকা নুড়ি-মাটি ও কাকর,
শতাব্দী পেরানো কোনো বিষাদের ঝড় ।
তারপর ফিরে আসি ভাট ফুল দেখে
অপু আসে তার আম-আঁটি বৈঁচি-ঝোপ
পাঠশালা নিয়ে ।
আমিও কি অপুর বয়সী অপুরি মতন ।
নারিকেলের ফুলের ঢাকনা দিয়ে
রাজবেশে তরবারি হাতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
কল্পনার তেপ্রান্তরে, পক্ষী রাজের ঘোড়া ।
সেসব শৈশব আজ মনে হয় অতীত ।
ভাট ফুল, লক্ষ্মী পেঁচা, বৈঁচি ঝোপ
শালিকের ঝাঁক, অপুদের শৈশব
বেঁচে থাক ।
এদেরও পরিচর্যা চাই, চন্দন চর্চিত হাতে ।