প্রেমের রসায়ন বড়ই জটিল। কার সাথে কখন যে কার প্রেম হয়ে যায়, বলা মুশকিল। এই সুত্র মাথায় রেখে প্রেমের সিনেমা নির্মাতারা দুজন অসম নরনারীর মধ্যে প্রেম ঘটিয়ে দেন , কখনও ধনী-দরিদ্র, কখনও বিপরীত স্বভাবের, কখনও অসম বয়সের মধ্যে। 'টিং সু' সিনেমায় মিষ্টি চেহারার দুই তরুন-তরুনীর মধ্যে প্রেম। তাহলে টুইষ্ট টা কোথায়? হ্যাঁ , টুইস্ট আছে, তরুনীটি বাক-শ্রবন প্রতিবন্ধি।
'টিং সু' সিমেমার শুরুতেই নায়ক-নায়িকার প্রথম দেখা। আর অন্য অনেক প্রেমের সিনেমার মত প্রথম দেখাতেই নায়ক, নায়িকার প্রেমে পড়ে যায়। নায়িকার হাতে এত সময় নেই। তারা দু বোন, দুজনেই বাক-শ্রবন প্রতিবন্ধি। বাবা মিশনারী, দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়। বড় বোনটি আবার সাতারু, তার স্বপ্ন বড় সাতারু হওয়া। ছোট বোনটি তাই সংসারের হাল ধরেছে, সারাদিন তাকে নানা ধরনের কাজ করে জীবিকা অর্জন করতে হয়।
হোটেল মালিক বাবা-মায়ের ছেলে আমাদের নায়ক নায়িকার পিছু লেগে থাকে। একসময় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু প্রেমের পথে অবধারিতভাবে নানা বাধা আসাটা প্রেমের সিনেমার রীতি। ছেলের বাবা মায়ের বাধা আসে। মেয়েটি টানায় পড়ে, প্রেম নাকি বোনের স্বপ্ন পূরন?
গ্রামে একটি কথা প্রচলিত আছে, 'আপনি খাইলে নেয়ামত, আপনি মরলে কেয়ামত'। আমাদের জীবনের ছোট ছোট হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ আমাদের কাছে অনেক বড়। প্রিয় বস্তুটি হারানোর দুঃখ ইউক্রেনের ক্রিমিয়া হারানোর চেয়ে কম কিসে? গতানুগতিক বাংলা বা হিন্দী প্রেমের সিনেমার মত অতিরিক্ত আবেগঘন প্রেম বা কান্নার কোন দৃশ্য আপনি পাবেন না। কিন্তু চরিত্রগুলোর হাসি কান্নাকে যদি বুঝতে পারেন, তাহলে সিনেমাটি আপনার ভাল লেগে যাবে।
সবশেষে সিনেমার কাহিনী স্পয়েল করে জানিয়ে দেই, সিনেমার শেষে কোন ট্রাজিক দৃশ্য নেই। যারা ট্রাজেডির ভয়ে প্রেমের সিনেমা দেখেন না, তারাও নিশ্চিত মনে বসে পড়ুন।
হ্যাপি মুভি টাইম
টরেন্ট লিঙ্ক