কবি হব শখ হলো
সেই সুখে উড়ছি,
যারে-তারে গুরু বলে
পা জড়ায় ধরছি।
ধরছি-ধরেছি
ধারছিনা কারু ধার,
ভারে কাঁটে তাই ভেবে
মানছিনা কোন হার।
হাড়গুলো লিকলিকে
ঝুলে যাওয়া চাওয়ালে,
যা কিছু লিখেছি
টয়লেট দেয়ালে।
টয়লেট-ওয়াশরুম
যাই দাও কপালে
কবিতার ক-ও নেই
আমাদের একালে।
সঙ্গতি-গতিহীন
পঁচা ভরা বস্তা,
ছন্দ ও পয়ারের
কবিতারা সস্তা।
মাত্রাটা সীমাহীন
চাওয়াটাও দুঃস্তর-
কিভাবে যে কবি হবো
তাও ভাবা দু:স্কর।
দুস্কর-অগম্য
কে বলে, বলে কৈ?
হাল ছেড়ে বসে থাকা
সেই লোক আমি নই।
ওটা মোর ধাতে নেই
ধাতে নেই কাব্য-
কবিদেরও চিনি না
নই দলে সভ্য।
`জীবনের চরিতে
পাবে না তো কবিরে’-
খুঁজে নাও তার হৃদি
কবিতার আবিরে।
ওরে বাপ-কাকে ধরি
ধরি মায়া কান্না,
কবি হয়ে কাজ নাই
ঐ পথে আর না।
আর নয় বললে তো
সব চুঁকে যায় না,
মুখ চুন কালি করে
দেখছি সে আয়না।
আয়নাতে এ কোন?
কে এই পীড়িত?
দুঃস্থ-রিক্ত
অসহায়-দলিত!
দলন আর পীড়নের
ইতিহাস কবিতা-
কবিতা কি প্রাণহীন
নিরাবেগী পতিতা?
সুবিমল আকাশের
বিস্তার কবিতা,
(ধান-ভাঙ্গা-গান গাওয়া) ছোট এই জীবনের
সুখ-দুঃখ ভনিতা।
ভান কিবা টান নয়
সে হিসাব অন্য-
জীবনের উপাচার
কবিতার জন্য।
একা নন কবিরা
নয় কারো জন্য,
সমস্ত সুন্দর
প্রীতিকর ধন্য।
ধন্য সে সুন্দর
এইটুকু কারণে,
যাচাইয়ের চোখ চাই
সবটার পেছনে।
সত্যই সুন্দর
সামনে কি পেছনে ,
সুন্দর বলে তাই
কবিতার আসনে।
তবু ভাবি কবি হব
ধী আর পান্থ-
রাত জাগা পাখি আর
ভাব-রসে শান্ত ।
সঞ্চারী ভাবাবেগে
সেই সব যুদ্ধের-
দীপালোক হয়ে ওঠা
চির অবরুদ্ধের।
চির অবরুদ্ধের
চির চেনা আয়না,
জোর করে কখনই
কবি হওয়া যায় না।
আপ্লুত সঙ্গীত
আবেগের উচ্ছ্বাস,
হুঙ্কার-আহ্বান
শাশ্বত বিশ্বাস।
এগুলোরে পূঁজি করে
ভাবছি লাভ নেই,
ক্ষতি যা তা পুষে নেব
আল গোছে জাগ দেই।
জীবন ও আনন্দ
দুঃখ- কান্তির,
সত্যের বিবরণ
বিনোদন শ্রান্তি।
গেল-গেল, সব গেল
হেয়-শ্রেয় গুলিয়ে,
অহিত –অহেতুক
সবকিছু মিলিয়ে।
সত্য ও মিথ্যা
মিলে সব একাকার,
এই সবই কবিতায়
কুৎসিত কদাকার।
অবিনয়ী-ব্রাত্য
লাভ খোঁজা দ্বিপদী,
কবিতায় জেনে রাখো
বিদ্যাই শেবধি।
চর্চা-চর্যা
নিন্দায় ধৈর্য্য,
এই সবই কবিতার
মহা ঐশ্বর্য্য।
ভাল থাক কবিরা
শৃঙ্গী ও সঙ্গী,
পাগলাটে এলোমেলো
সদাচারী ভঙ্গি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২