এক, মানুষের মেন্টালিটি পরিবর্তন না হলে কোনও সরকার কিছু করে দিতে পারবে না।
দুই, কোন কারনে উপরের এক নাম্বার মন্তব্যটি করলাম?
স্বৈরাচার পতনের পর কি কি পরিবর্তন হয় নাই?
- রাস্তা/ বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয় নাই। এই সময়ে ডেঙ্গু বাড়ছে। বলার মতো কারও কোন পদক্ষেপও নাই, না সিটি কর্পোরেশন না সাধারণ মানুষের ছোট ছোট স্বেচ্ছাসেবী দলগুলো।
- স্বৈরাচার পতন হলেও বাজারে ভেজাল কমে নাই। সিন্ডিকেট বন্ধ হয় নাই।দাম কমে নাই। প্রাইভেট হাসপাতাল ও স্কুলের ব্যবসা কমে নাই।
- সচিবালয়ে ঘুষ কমে নাই। ডিসি পদের জন্য কোটি টাকার বড় স্ক্যান্ডাল হচ্ছে।
- দ্বায়িত্ব নিয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ শতভাগ দ্বায়িত্ব গ্রহনে এগিয়ে আসে নাই। দেশের আইন শৃংখলার অবনতি হয়েছে।
- বন্যা কবলিত এলাকায় পুনর্বাসনের কোন ফলো- আপ নাই। সোশাল মিডিয়ায় সাহায্যের জন্য যেমন আবেগ নিয়ে সবাই এগিয়ে এসেছিলো, পরবর্তী সময়ে এর পেছনে মানুষের আর মনোযোগ নাই।
- ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন সংঘটনের দখলদারি শুরু হয়েছে কিন্তু কমে নাই।
আমার মনে হয় না যে দেশের আর্থ- সামাজিক অবস্থার কোনও গুণগত পরিবর্তন হয়ে যাবে সামনের কয়েক দশকের মধ্যেই। উন্নত দেশ? সে চিন্তা পঞ্চাশ বছর পর করলেই ভালো, যদি না...
মনে রাখতে হবে, আমাদের নতুন গণজাগরণ ও বাকস্বাধীনতার যাত্রা শুরু হয়েছে
পাকিস্তানের মতো মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্ট কন্ট্রোলড দেশের অফিসিয়ালদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। পাকিস্তানে এখন কোনও গনতান্ত্রিক সরকার নাই। নির্বাচনে জেতা ইমরান খানের দলকে কারচুপি করে হারিয়ে বাকিরা ক্ষমতায়। এর ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই। ব্যাখ্যাটা বরং এখনও গ্রাজুয়েশন শেষ না করা উপদেষ্টারা দিক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০২