শেষ হতে চলেছে আরও একটি ইংরেজী বছর ২০১৬। হাসি আনন্দ বেদনা এবং রাগ অনুরাগ, সাফল্য বিফলতায় কান্না হাসির দোলাচলে কেটে গেলো আরও একটি বছরের নানা রঙ্গের দিনগুলি। যদিও নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ব্লগ আমার চোখে আজও বেশ বর্ণিলই মনে হয়। এবং এই ঝকঝকে বর্নিলতার পেছনে নানা রঙ্গে রাঙ্গিয়ে তোলা শব্দ ও লেখনীর যাদুকরদের অবদান অনস্বীকার্য্য। আজ আমি আমার ব্লগের পাতায় লিখে রাখবো আরও একটি বছরের এমনই সব সেরা ব্লগ যাদুকরদের নাম।
এ বছরে এক বাক্যে ও চোখ বুঁজে এমনই এক ব্লগ যাদুকর বা বিদ্যার জাহাজের নাম,
১। ডঃ এম আ আলী। এই ভাইয়ার কোন পোস্ট রেখে কোন পোস্টের কথা বলবো?যেমনই তারপাট নিয়ে লেখা তেমনি লেখা বাঁশ নিয়ে , যেমনই তার নবান্নের বর্ণনা এবং ইতিহাস তেমনই তার শকুন্তলার প্রনয় কাহিনী ভাইয়ার বিদ্যা, বুদ্ধি জ্ঞানের প্রশংসার সাথে সাথে তার একনিষ্ঠ ধৈর্য্যের প্রশংসা করাটা মনে হয় অতীব প্রয়োজন। ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
২। ফরহাদ মেঘনাদ
প্রথম যেদিন তার লেখা গান শুনি সেই থেকেই আমি তো অবাক! মানুষ এভাবে কেমনে লিখে!!!!!!!! আমি তো সাত বছর সাত মাস সাত দিন ধরে বসে বসে ভাবলেও ঠিক এভাবে লিখতে পারতাম না।
লিরিকটা ছিলো এমন
আচ্ছা,
আমার পরে এখন
যে তোমার অনেক আপন
তার সাথে তোমার কি ঝগড়া হয়?
আমিও তো অবাক! মনে মনে তখন প্রশ্ন করলাম কাউকে, সত্যি তো কে এখন তার অনেক আপন? ঠিক আমার মত করে! সেও কি আমার মত প্রথমে রাগ করে মনের কথা চেপে রাখে নাকি অনেক রাগে যা মনে আসে তাই বলে ফেলে? আমিও যখন মাঝে মাঝেই তেমনটা করতাম। কেঁদে চোখ ফুলাতাম। সে মেয়েটাও কি ঠিক তেমনি করে?
আমার মনের কথা এমন করে মিলে গেলো যে মুগ্ধ না হয়ে আর পারলামই না। আরও পরের লাইনগুলি যতই শুনি ততই মুগ্ধ হই।
আচ্ছা,
ভীষণ বই পড়ুয়া, ভীষণ আবেগে ধোয়া
সেও কি ভীষণ আনমনা,
আমার পরে এখন যে-তোমার যাদু সোনা ?
ভীষণ বৃষ্টি প্রিয়, চরিত্রে অদ্বিতীয়
সইছেকি জীবনের গঞ্জনা,
আমার পরে এখন যে-তোমার যাদু সোনা ?
যাদু সোনা, বাবু সোনা ও মাই গড! কি লিখেছে ভাইয়া! আমি তো তখন পুরাই মুগ্ধ আর মুগ্ধ! চোখের সামনে ভাইয়াটার গান তখন স্মৃতি হয়ে ভাসছে একজন চশমা পরা পড়ুয়া মানুষের মুখ হারিয়ে যাওয়া।
তার গালেওকি ঠোঁট ছুঁইয়েছো নিরলে-
হোঁচট খেয়ে অনিচ্ছায় গায়ে ঢলে পড়বার ছলে আহা হা ?
তাকেওকি বলেছিলে, সে তোমার প্রথম ভালোবাসা ?
আহা ভালোবাসা
তুমি হয়ে রি-মেইক
আমার কাছেই শুধু আসলেনা বার-তিনেক !
ভীষন এক কষ্ট, স্মৃতিময় স্মৃতি হয়ে এই গান তখন আমার রোজকার সঙ্গী। সব সময় শুনি আমি।
সোজা কথা ভাইয়ার লেখা এই গানটাই আমাকে তার ভক্ত করে তুলেছিলো। এর পর সার্চ দিয়ে খুঁজলাম তার আরও সব অসাধারণ লিরিকস।
এরপর এই গান - গানের নাম ডিভোর্স।
যে পাখি হারিয়ে গেছে ,
সে যদি আবারো ফেরে
তবে সে আবারো যাবে হারাতে !
হারিয়ে যাবার এই
অভ্যাস শেখা পাখি
কখনো পারেনা স্থির দাঁড়াতে !
অবাক হই আর অবাক হই। কিভাবে লেখে ভাইয়া এসব গানের কথা! আর লেখার আগে ভাবেই না কিভাবে সে! ধরেই নিলাম এটা ভাইয়ারই গান। মানে তার জীবনের গল্প। যদিও পরে গানের রহস্য জেনেছি। তবে গানের একটি লাইন " তবু কখনো কখনো যদি তার পরওএকা হয়ে যাই, আমি আর হ্যাঙ্গারে ঝোলা তোর শাড়ী মিলে গল্প জমাই ! ) এই লাইন চোখের সামনে দেখিয়ে দেয় একজন একাকী মানুষের কষ্ট। আমি দেখতে পাই একজন একাকী মানুষ বসে আছে মন খারাপ করে একটি হ্যাঙ্গারে ঝোলানো ফুলফুল বাসন্তী রঙ শাড়ীর দিকে। এই শাড়ীতেই সে ছেড়ে গেছে একদিনের কোনো বসন্ত বরনের হলুদ উজ্বল ভালোবাসা সন্ধ্যা।
তোর সন্ধানে তাই যাইনা এখন আর ,
বেঁচে থাকা যদি দেয় একার দোহাই...
আমার ছায়াকে দেখে আমি একা নির্জনে
একাকিত্বতা কাটাই !
তবু কখনো কখনো যদি তার পরওএকা হয়ে যাই,
আমি আর হ্যাঙ্গারে ঝোলা তোর শাড়ী মিলে গল্প জমাই !
ভাইয়ার আরও সব লিরিকস আমাকে দারুন মজা পাইয়ে দেয়। সবই যেন আমারই স্মৃতি। সবই যেন আমারই মনের কথা।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে,
খেলা দেখতে গেলাম তোমায় নিয়ে !
খেলা হচ্ছিলো বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার,
একশো ওভার দু-দল মিলিয়ে !
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে গেলো,
তামিম ইকবাল ছক্কা মারলো,
তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরলে আনন্দে গর্বে !
কে জানতো ক্যামেরা তখন আমাদের ধরবে ?
আর টিভি'র স্ক্রীনে তোমার বাবাও সেই সব দেখবে !
পুড়বে পুড়বে কপাল আমার পুড়বে,
পুড়বে পুড়বে প্রেমের কপাল পুড়বে !
হা হা হা হা হা আহারে বেচারা ভাইয়াটা! যদিও এইভাবে কপাল পোড়াটা মোটেও আনন্দের নয় তবে এই লিরিক আমাকে অদ্ভুত আনন্দ দিয়েছে। ধরা আর কেউ বা না খায় তাইনা কিন্তু ভাইয়ার লিরিকের এমন রোমান্টিক ধরা খেলে জীবন সার্থক হা হা হা।
একটা সময় মুখ লুকোতেন
বয়ঃসন্ধির সময় গুলোয়,
সদ্য ওঠা গোঁফের রেখা
মানুষ দেখলে হাসবে বলে !
একটা সময় লম্বা শার্টে
লুকিয়ে কোমর বহু হেঁটেছেন,
বেল্ট ছিলোনা, পাট-দড়িতে
কোমর বাঁধা লাগত বলে !
তারপরে তো বাড়লো বয়েস
ভাবলেন লুকোবার পালা শেষ
বল্লেনও তাই বিদায়-টিদায়
লুকোলুকি কে....
অথচ এখন ঢেকুর তুলেই
তিনি লুকান ক্ষুধার্ততা
অল্প কিছু ভাতের যোগাড়
বিলিয়ে দিতে ছা-গুলোকে !
এটা পড়ে তো আমার কান্নাই পেয়ে গিয়েছিলো। ভীষন কষ্ট! এইভাবেই সুখ দুঃখ হাসি কান্নায় মিশিয়ে রাখা জীবনের গল্প গুলো যে লিখে যায় সেই আমার প্রিয় ফারহাদ ভাইয়া আর আমি তার মহা ফ্যান!
আসলে তার জীবনধর্মী লেখা, ভাবনা, কল্পনা, জীবনকে ঠিক এমনভাবে দেখার ক্ষমতা যে মুগ্ধ না হয়ে আর উপায়ই নেই। আমি ভাইয়াটার অনেক ভালো চাই। আমি তার শুধুই একজন মুগ্ধ পাঠক আর ফ্যানই নই আমি চাই ভাইয়ার এই অসাধারণ লেখা ছড়িয়ে যাক চারিদিকে। আরও আরও শত শত ভক্ত হয়ে উঠুক তার। মানে তার লেখায় মুগ্ধ হোক আরও শত কোটি মানুষ।
৩। দিশাহারা রাজপুত্র ভাইয়াটাকে তো পিচ্চিই ভাবতাম। তবে তার নিলাদ্রিতার পরিপক্ক গাঁথুনীর শব্দাবলীর কবিতাগুলি পড়ে আমি যেমনই মুগ্ধ তেমনই আপ্লুত। ভাইয়া একদিন বড় কবি হবেই হবে। অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়াটার জন্য। ভাইয়ার লেখা আমার তিনটি প্রিয় কবিতা।
নীলাদ্রিতা আর দীঘিজল
জানালার অন্যপাশে তুমি ছিলে
আবার লালটিপ
৪। অয়ন নাজমুল এই ভাইয়াটার লেখা পড়েও আমি মুগ্ধ! বিশেষ করে তার লেখা গল্প ইয়াগো । আমি অবাক হয়ে যাই কি করে লেখে মানুষ এমন সব লেখা!
৫।গেমু ওরফে আমাদের গেম চেঞ্জারভাইয়া এ বছরেও লিখে গেছেন নিরলস পরিশ্রমে সামু ব্লগবাস্টার'স..........তার এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় এবং তার লেখা গুলো দেখলেই বোঝা যায় পরিশ্রমী মানুষ কাকে বলে! এই ভাইয়াটার জন্যও আমার থাকবে অন্তর থেকে ভালোবাসা। ভাইয়া সারাজীবন সফল হও।
এ বছরে সবচেয়ে মজা করেছি গিয়াস উদ্দিন লিটনভাইয়া, কাজী ফাতেমা ছবি আপুনি, কি করি আজ ভেবে না পাইভাইয়া আর বিদ্রোহী ভৃগু,সামুর মানব, রাবেয়া রহিমআপুনি এদের সাথে ছড়ায় ছড়ায় যুদ্ধে। এই ভাইয়া আপুদের এত কাব্য প্রতিভা আর ছন্দ দেখে মাঝে মাঝে আমার চোখ রসগোল্লা হয়ে যায়। এ বছরের মত সারাটা জীবন অক্ষুন্ন থাকুক তাদের এই ছড়িতা প্রতিভা।
বিজন রায়ভাইয়া, ভ্রমরের ডানা, বিলিয়ারভাইয়া , দেবজ্যোতি কাজল, সুমন কর, রুপক বিধৌত সাধু, কথাকথি এই ভাইয়াগুলি সারা বছর কবিতায় কবিতায় মাতিয়ে রেখেছেন ব্লগ পরিমন্ডল। এ ছাড়াও আমার অপু তানভীর ভাইয়াও লিখে গেছে একের পর এক তার মনোমুগ্ধকর গল্পগুলি।আর সায়ান তানভির কথা কি বলবো!!!!!!!!! এই ভাইয়ার হাত দুটো তো সৃষ্টিকর্তা বুঝি হীরা দিয়েই বানিয়েছেন।মনিরা সুলতানা আপুটাও এ বছরে লিখেছেন বেশ কটি মনকাড়া পোস্ট যা পড়ে মুগ্ধ ছাড়া আর কিছুই হবার নেই।
আর হাসান মাহবুব মানে আমাদের হামা ভাইয়ার লেখা গল্পগুলি এ বছরেও ছিলো ব্লগ সেরা।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামভাইয়া যেন আমাদের এক টুকরো হীরা...তার গল্প যে কত মানুষকে আমি পড়াই। আগামী বছরটিতেও অসাধারণ সব গল্প লেখনী নিয়ে আমাদের সাথে থাকবে এই ভাইয়াটা এমনি কামনা আমার!
কালীদাসভাইয়াটা কে সে বিষয়ে আবার বেশ কৌতুহল আছে। তিনিও প্রায় আমার মতই বা আমার চাইতেও বেশি অন্তরালের মানুষ! ভাইয়া যদিও এ বছরে পোস্ট লেখেননি তবে কমেন্ট করে গেছেন মানে আমাদের সাথেই ছিলেন তার মূল্যবান সময় নিয়ে। ভাইয়ার জন্য শুভকামনা।
জুন আপু এ বছরেও সেরা ছিলো তার বিশ্ব ভ্রমনের নানা রঙ্গচঙ্গে লেখাগুলি নিয়ে। গুলশান আপুকে নতুন করে চেনা হলো এ বছরের কিছু ভিন্নধর্মী পোস্ট দেখে। ক্লে ডল আপু না ভাইয়া জানিনা। তবে তার পোস্টগুলোর বেশিভাগই অনবদ্য ছিলো। এছাড়াও হাতুড়ে লেখকভাইয়ার গল্পগুলিও ছিলো মন কাড়া। সাদা মনের মানুষ ভাইয়া, এডওয়ার্ডমায়াভাইয়া, শাহরীয়ার কবির ভাইয়া সারা বছর প্রানবন্ত পদচারনায় মুখর ছিলেন।
রক্তিম দিগন্ত ভাইয়াকে মাঝে বেশ একটিভ দেখা গেলেও এখন তিনি অনেকটাই চুপচাপ। প্রামানিকভাইয়া, রিকিমনি, দীপান্বিতা আপুনি মাদিহা মৌ লিখে গেছেন নিজ নিজ বলয়ে। এই আমি রবিন ভাইয়া আর জাহেদভাইয়া আমার নতুন অর্জন এই বছরে। তারা লেখা ও কমেন্টে যেমনই মজার তেমনই মন্তব্য উত্তরেও অনেক বেশি সহনশীল আর রসিক।
ইমরাজ কবির মুনভাইয়া এখন নাকি আর ব্লগে আসতে পারে না নিক ঝামেলার কারনে তবে তার লেখাগুলিকে আমি ব্লগ এসেট মনে করি। যদিও এ বছরে তার অনুপস্থিতি ছিলো তবুও তার লেখাগুলি আর ভাইয়াটাকে মিস করেছি।
সোনাবীজ বা ধুলোবালি ছাই ভাইয়া সারাটা জীবনও আমার অনেক অনেক প্রিয় একজন মানুষ এবং লেখক। এ বছরে ভাইয়ার লেখা
মূলত অপসরা তুমি লেখাটি মাথায় করে রাখলাম। ভাইয়ার দীর্ঘ জীবন ও সুস্থতা কামনা করি।
খায়রুল আহসান ভাইয়ার তুলনা ভাইয়া নিজেই। এমন করে সুচারু মন্তব্য দেওয়া এবং এত খুঁটিয়ে পড়া মনে হয় ভাইয়া ছাড়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। নানা সময়ে আমার পুরোনো সব পোস্টে ভাইয়ার মন খোলা মন্তব্য আমার মন ভরিয়ে দেয়। যদিও নোটিফিকেশন ঝামেলায় অনেক কমেন্টই অনেক দেরীতে পড়া হয়। তবে এই ভাইয়ার কাছে জানাই আজীবনের কৃতজ্ঞতা। ভাইয়া তুমি ভালো থাকো অনেক অনেক ভালো।
মাঈনউদ্দিন মইনুল, এই ভাইয়া তো আরেক ব্লগ জিনিয়াস! তার কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। যেমনই তার ক্ষুরধার লেখনী তেমনি তার সুচিন্তিত কমেন্টগুলি। তবে ভাইয়ার সবচেয়ে ভালো গুনটি আমার চোখে ভাইয়ার অত্যম্ত মার্জিত এবং মজার রসিকতা করার ক্ষমতাটি।
আহমেদ জি এসভাইয়া। একজন শ্রদ্ধেয় ও গুণী ব্লগার এবং মানুষ। বছরের শেষে এসে ভাইয়ার ছবি আঁকার বিশেষ গুনের কথা জেনে আমি তার অসাধারণ লেখালিখি, অতি সুন্দর সংযত বিহেভিয়ার এসবের পাশাপাশি তার এই শিল্পীসত্বার বিশেষ ফ্যান হয়ে পড়েছি।
এবার অন্যরকম এক জিনিয়াস জনমদাসীর কথা বলবো। যিনি এ বছরে হঠাৎ উদিত হয়ে অস্তে গেছেন এবং চিরজীবন আমার মনে গেঁথে থাকবেন। শুধু আমার মনে না হয়তো অনেকের মনেই থাকবেন। ব্লগ ২০১৬ এর সাথে আমার মনে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে এই জনমদাসী নাম।
চাঁদগাজী ভাইয়া মনে হয় সমালোচিত ব্লগারের তালিকায় এ বছরে শীর্ষে থাকবেন। তাকে নিয়ে এ বছরে এত বেশি উত্তল হয়েছেন কিছু ছদ্মবেশী ক্রিয়েটিভ ব্লগার। যে এই তালিকায় ১ নংএ চাঁদগাজী ভাইয়া না থেকে যানই না। তবে শেখার আছে অনেক কিছু এই ভাইয়ার দৃঢ়তা ও উপেক্ষার মাঝে। ভাইয়ার জন্য শুভকামনা। ভাইয়া যেন ২০১৭ এ আর কাউকে মনে ব্যাথা না দিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেন।
আসলে ২০১৬ বছরটি নিয়ে অনেক কিছুই বলার ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে এমন সব ঝামেলায় জড়িয়ে গেলাম যে সব কিছু লেখা হলো না। আবার কাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিরুদিষ্ট হবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আজকেও কেবলই ফিরলাম এক অনুষ্ঠান হতে। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ১১:৫০। তাই তড়িঘড়ি লেখাটাও শেষ করতে হলো।
যাইহোক গত বছরেরও এই দিনেই আমি ২০১৫তে পাওয়া আমার জিনিয়াস ব্লগভাইয়া আপুনিদেরকে নিয়ে লিখেছিলাম। এবছরেও লিখছি আর সাথে জানাচ্ছি জিনি ভাইয়ার জন্মদিনে প্রাণঢালা ভালোবাসা আর শুভকামনা।
জেন রসি এ বছর ও আগের বছর মিলিয়ে ব্লগে তার অবদানও কম নয়। আজ এই শুভদিনে আমি চাই তার জীবন আনন্দ, গানে আর সফলতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক।
সবাইকে নতুন বছর ২০১৭ এর শুভেচ্ছা!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২