আকাশপাখীর ডানায় চড়ে, সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে উড়ে গিয়ে নামলাম সে এক চোখ জুড়ানো মন ভুলানো অপরুপ সৌন্দর্য্যের দেশে! মাটিতে পা দিতেই চোখ আটকে গেলো দিকচক্রবাল জুড়ে বিধাতার নিজের হাতে গড়া এক অপার সৌন্দর্য্যের চিত্রপটে! সে সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হবার বা আশ্চর্য্য মুগ্ধতা অথবা বিস্ময় প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় ! প্রকৃতি যেন তার মনের সবটুকু ভালো লাগা মিশিয়ে, সবটুকু সবুজ আর নীল রঙ ঢেলে সাজিয়েছে তার হৃদয়ের ক্যানভাস। ধন্য হলো আমার এ দুচোখ!
গরমের ছুটি আর রোজা এ দুই মিলিয়ে পাক্কা দু"মাসের ছুটি। রোজা শুরু হয়ে গেলে রোজার ভেতরে ঘুরাঘুরি, সে শপিংমলগুলো ছাড়া আর অন্য কোথাও? ভাবতেই পারিনা। তাই রোজা আসবার আগেই বেরিয়ে পড়লাম কোলাহল মুখরিত এই নাগরিক জীবনের ব্যাস্ততা থেকে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে।
তিনদিকে পাহাড়ঘেরা অপরুপা নয়ানাভিরাম এক টুকরো অনাবিল সৌন্দর্য্যের পটভুমি পারো এয়ারপোর্টটিতে নামতেই, প্রকৃতির সাথে সাথে যেন স্বাগত জানালো বংশানুক্রমে দাঁড়িয়ে থাকা সে দেশের রাজকুলবৃন্দ।
এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের প্রথম গন্তব্যস্থল তখন টাইগার নেস্ট রিসোর্ট। শুনেছি এই রিসোর্টের চারিধার ঘিরে রয়েছে যে অপরুপ নৈসর্গিক দৃশ্য তা বলে বুঝাবার নয়। কিন্তু রিসোর্ট তো তখন অনেক দূরের পথ আমার চারিপাশ দেখেই আমি মুগ্ধ! আমাদের মাইক্রোবাসটার একদম পেছনের সিটে একা একা বসে মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখছি চারদিক। একের পর এক চলৎচিত্রের মত চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে যেন জলরঙ, তেলরঙে আঁকা সব দৃশ্যপট। জানালার কাঁচের ভেতর দিয়েই আমি তখন সেসব হাপুস হুপুস ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি আমার ক্যামেরায়।
ড্রাইভার প্রথমেই আমাদেরকে নিয়ে চললো পারো বাজারে। সেখানে নেমেই আমাদের সঙ্গীসাথীদের কেউ কেউ কিনে নিলো সে দেশের সিম। আরও কিছু প্রয়োজনীয় টুকিটাকি।
আর আমি? শুধুই কান পেতে শুনছিলাম চারিদিকে বয়ে চলা শান্তির সঙ্গীত। হিম হিম আরামদায়ক এক আবহাওয়ার সাথে সাথে বুঝি সে দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এক হিম হিম শান্তির শীতল পরশ। কোথাও কোনো বাড়তি এক ফোটা কোলাহল নেই।
এর পর সোজা চলে এলাম রিসোর্টে। প্রথম দুদিন আমাদের সেখানেই কাটাবার কথা।
টাইগার নেস্ট রিসোর্ট যার সামনে দাঁড়িয়েই বিশ্ব ভুবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের অর্ধেক দেখে ফেলার সাধ মিটে যায়।
রিসোর্টের সামনে আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড।
জানালা দিয়ে দূরের পাহাড়
এই সেই সিড়ি যা দিয়ে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে আমি পপাৎ ধরণীতল।
সে যাই হোক লান্চ সেরেই আমরা ছুটলাম ড্রুকিয়াল্ড ডিযঙ ।
সেখানেই আমার জীবনের প্রথম দেখা প্রেয়ার হুইল। এর পর পুরো দেশ জুড়েই একের পর এক দেখেছি এ প্রেয়ার হুইল। এই হুইল বাম দিক থেকে ঘুরিয়ে দিতে হয়। আর এর ভেতরে লেখা আছে মন্ত্র যা অষ্ট সৌভাগ্য নির্ধারণ করে। এরপর পাহাড় ভেঙ্গে উঠতে শুরু করলাম ড্রুকিয়াল্ড ডিযঙ ।
এই যঙ এর এক বিরাট ইতিহাস আছে। যেটুকু গাইডের মুখ থেকে শোনা যে তিব্বত থেকে শত্রু আক্রমনকালে এই যঙ এর সৈন্যগন তা প্রতিহত করতো। বলে রাখি যঙ মানে ফোর্ট।( এ ইতিহাস আমার আবার পড়তে হবে। শুধুই গাইডের মুখের কথায় ভরসা নেই)।
এই পাহাড়ের সবুজ দেখতে দেখতে বিশ্ব সংসার ভুলে যেই না মাঝপথ অবধি গিয়ে নীচে তাকিয়েছি, আমার এমনিতেই হাইট ফোবিয়া আছে কাজেই তখন আমার আত্মারাম খাঁচা ছেড়ে উড়াল দিয়েছে শূন্যে। বুক ঢিপঢিপ, পা কাঁপাকাঁপি। বিশাল বিশাল গাছগুলো যেন আকাশ ফুড়ে মেঘের মাঝে মিশে গেছে। নীচ থেকে সেসব দেখতে দেখতে চোখ সত্যি সত্যি কেমনে কপালে উঠে তা তখন আমাকে দেখলেই সকলের জানা হয়ে যেত!
যাইহোক এরপর গেলাম কিচো মনেস্ট্রী। যাবার পথে দেখা যায় দুর্গম গিরি কান্তার মরুর উপর দাঁড়িয়ে থাকা টাইগার নেস্ট মনেস্ট্রীর অপরুপ সৌন্দর্য্য!
কিচো মনেস্ট্রীতে রয়েছে মহামতী গৌতম বুদ্ধের এক বিশাল মূর্তী, যার মুখ আর হাত সোনার পাতে গড়া। এখানে ছবি তোলা নিষেধ। জুতা খুলে ভেতরে ঢুকলাম । কিন্তু সে বিশাল বুদ্ধ মূর্তীর ছবিটি শুধুই মনের ক্যানভাসেই তুলে আনতে হলো। ক্যামেরায় নেওয়া গেলোনা।
হ্যান্ডিক্রাফটসের উপর আমার রয়েছে বরাবরের দূর্বলতা। কাজেই বিকালে ঘুরাঘুরি হ্যান্ডিক্রাফটসের দোকান গুলোয়। নয়ানাভিরাম হ্যান্ডিক্রাফটসগুলো দেখে আবারও আমার চোখ জুড়ালো, মন ভরালো। কিন্তু সে সব ছুতে গেলে সত্যিই যে আগুন ছাড়াই হাত পুড়ে যায় সে বিস্ময়কর কথাটি যেন ম্যাজিকের মতই ঘটতে দেখলাম আমার চোখের সামনেই। মনমুগ্ধকর একটি ছোট পাথরের বাটির(সোনার পাথরবাটি নয়) মূল্যও ৩ লাখ! হায় হায় ! গালে হাত দিয়ে ভাবছিলাম এসব কেনে কে? দোকানপাটে একটা মানুষও নেই। নয় ক্রেতা, নয় বিক্রেতা। ডাকাডাকি করে ভেতর বাড়ি থেকে বিক্রেতা ডেকে আনতে হলো। হ্যান্ডিক্রাফটস গুলোর সৌন্দর্য্যের থেকেও আমাকে মুগ্ধ করলো সেখানকার মানুষের সততা।
এমন সব মূল্যবান জিনিসপাতি। অথচ দোকানী যেন নির্বিকার। নেই কোনো ভয় এইভাবে হেলাফেলায় ফেলে রাখা জিনিসপত্র চুরি যাবার।
যেখানে সেখানে গাড়ি ফেলে রেখে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষজন। অথচ আমি ভাবতেই পারিনা এই ভাবে গাড়ি কোথাও রেখে যাবো আর ফিরে এসে দেখবো গাড়ির আয়না, হেডলাইট, উইন্ডশীল সব অক্ষত আছে।
যাইহোক সন্ধ্যায় ফিরে এসে ডিনার সেরে জানালার ধারে চেয়ার টেনে বসলাম। সঙ্গীসাথীরা তখন কেউ বসেছে টিভি নিয়ে, কেউবা তাস অথবা দাবা। আমি তখন অবাক হয়ে দেখছি আকাশের তারা আর মর্ত্যের তারাদের( পাহাড়ের গায়ে গায়ে ফুটে থাকা বাড়ীগুলির আলো) মিতালী। মনে হচ্ছে যেন মাটি থেকেই আজ তারা ফুটে উঠে মিশেছে গিয়ে ঐ দূর আকাশের নীলিমায়।
পরদিন সকালে মিউজিয়াম পরিদর্শন। পাহাড়ের উপর আরেক বিশালতার প্রতীক যেন সে মিউজিয়াম। মিউজিয়ামে ছবি তোলা নিষেধ। নইলে আমি ইহজীবনে আমাদের এই দিব্য দৃষ্টিতে অদেখা মজার এক জিনিসের ছবি দেখাতে পারতাম সবাইকেই। আমরা খেপে গিয়ে প্রায়শই বলে থাকি ঘোড়ার ডিম হবে। বা তুই এই কাজ পারবি নাতো একটা ঘোড়ার ডিম পারবি। বাংলায় ঘোড়ার ডিম মানে অবাস্তব বা অসম্ভব কিছু। যা কোনোদিনও সম্ভব নয় তাই মানেই ঘোড়ার ডিম কারণ ঘোড়া কখনও ডিম পাড়েনা। কিন্তু এই দেশের মিউজিয়ামে হাজার হাজার মনোমুগ্ধকর
পুরাকির্তীর মাঝে ড্রাগন এগের পাশেই দেখি একটা বিরাট এগকাপে রাখা রয়েছে আরেকটা ডিম তার নীচে লেখা হর্স এগ। আমাদের গাইড পরম ভক্তিভরে বিশ্বাস নিয়েই বললো, এটা রিয়েল ঘোড়ার ডিম। এ কথা শুনে আমার দুষ্টু সঙ্গিসাথীদের মুখ টিপে হাসাহাসি করতে দেখলাম। তবে কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে ফান করাটা মোটেও সমুচিত নয় এ কথা জানবার পরেও আমি খেয়াল করলাম নিজের মুখের হাসিটুকুও আমি আটকাতে পারছিনা। মাঝে মাঝে আমার নিজের অবাধ্য কান্ড কারখানা যে নিজের সাথেই এমন বিট্রে করে।
চলে গেলাম থিম্পু। শহরে পৌছেই হোটেল মিগমার। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও আন্তরিকতা আবারও মুগ্ধ করলো আমাকে।শান্তি যখন মনে তখন তা সবখানেই যেন ফুটে ওঠে। থিম্পু শহরের আনাচে কানাচে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলকেই দেখা গেলো বেশ প্লেফুল মাইন্ডে।
খুনখুনে বৃদ্ধ মানুষটিকেও দেখলাম তীর ধনুক খেলতে। বড় বড় মেয়েরাও ছুড়ছে ছোট ছোট নকশাদার ডার্ট।খেলায় জিতলে নাচ আর গানে আনন্দ প্রকাশ! বাচ্চাদের নিয়ে বাবা মায়েরা বেড়াতে বেরিয়েছে । এমন সুন্দর সুখ আর শান্তির দেশ যেন আর ত্রিভুবনে কোথাও নেই। এ দেশের মানুষের চাহিদা যেন খুব কম। অল্পেই সন্তুষ্ট তারা। আসলেই এখানে এসেই মনে হয়েছে আমার যে, চাহিদা কম যত যার শান্তিও বুঝি তারই ততখানি। সকল সমস্যার মূলেই বুঝি রয়েছে আমাদের অতিরিক্ত এক্সপেকটেশন।
মানুষের মমতা, ভক্তি ও শ্রদ্ধা ও হৃদয়ের ভালোবাসার পরিমান ঠিক কতখানি হতে পারে তা বুঝা যায় সে দেশের মানুষের মৃত রাজার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ধরন দেখেই।
Memorial Chorten যেন তারই এক প্রতিচ্ছবি।
পাহাড়ের উপর থেকে থিম্পু শহর
পরদিন আঁকাবাকা সর্পিল পাহাড়ী পথ উৎরিয়ে ও কয়েক লাখবার আয়াতুল কুরসী পড়ে ফেলে গিয়ে উঠলাম পাহাড়ের চুড়ায় । মুগ্ধতার উপর বিস্ময়!
পাহাড়ের চুড়ায়, আকাশে হেলান দিয়ে বসে শান্তির দূত মহামূনী গৌতম বুদ্ধা! এমন বিশালতার প্রতীক বুঝি একমাত্র তারই হওয়া সম্ভব! সত্যি ফিরে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিলোনা আমার সে পাহাড়ের চুড়া থেকে। মনে হচ্ছিলো ঘন্টার পর ঘন্টা চেয়ে থাকি ঐ পরম শান্তির মুখটির দিকে। পাহাড়ের চুড়ায় তখন হিমেল হাওয়া শান্তির পরশ বুলিয়ে চলেছে।
সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে কিছু ভুটানিজ ফুডের আপ্যায়ন। আমি এমনিতে মাংসাশী প্রাণী। এমনকি মাছও আমি তেমন একটা পছন্দ করিনা। তবে এই নিরামিষভোজীদের দেশে গিয়ে বুঝলাম রাঁধার মত রাঁধতে জানলে ঘাস পাতা গুল্মও অমৃত হয়ে যায়।
থিম্পু এর পারর্লামেন্ট হাউজ।
পাশে গোল্ডেন মুকুট পরা ছোট্ট রাজার বাড়ি। রাজার বাড়ি এত ছোট্ট !!! আমি তো অবাক!!! এ দেখি আজব দেশের ধন্য রাজা!
Cherry monastery যাবার পথে পাহাড়ের গায়ে আঁকা সেকেন্ড বুদ্ধা!!! অনেক খাড়াই উৎরাই পেরিয়ে আর আয়াতুল কূরসী জপ করতে করতে শেষে গিয়ে পৌছুলাম উডেন ব্রীজ পার হয়ে Cherry monastery র পথে। দেড় ঘন্টা হেঁটে গিয়ে নাকি monastery । আবার ফিরতে হবে দেড় ঘন্টায়। শুনেই তো আমি রাশ টেনে ধরলাম। আমার সাথে সাথে সঙ্গীসাথীদের কেউ কেউও বেঁকে বসলো। থেকে গেলাম বেঁকে বসা সঙ্গীসাথীদের সাথে উডেন ব্রীজের উপরে। অন্যরা পাড়ি জমালো সেই দুর্গম গিরিপথে।৩ ঘন্টার পিকনিক। সঙ্গীসাথীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এখানে সেখানে।
আমি অবাক চোখে দেখছি তখন নীচে বয়ে চলা খরস্রোতা পারো নদী। হিম হিম বাতাস। গান জুড়ে দিলাম গুন গুন। এত সৌন্দর্য্য একা একা উপভোগ করা কষ্টকর! শত জনের মাঝে থেকেও মাঝে মাঝে মন একা হয়ে যায়। মিস করে ফেলে বিশেষ কাউকে এমন মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্যে।
পরদেশে নিজের দেশের যে কোনো কিছু যে কতখানি প্রিয় হয়ে ওঠে সেটাই বুঝলাম যখন দেখলাম একজন ভুটানিজ তরুণ একেছে আমাদের প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনার ছবি। মন ভরে উঠলো এক অজানা ভালোলাগায়। অথচ আমি সেই ছোট থেকেই কত শত দেশ বরেণ্য ব্যাক্তিদের ছবি একে উদ্ধার করে ফেললাম। কিন্তু সেই পরদেশী ওয়েটারের সামান্য ছবিখানি ভালো লাগার মূল্য কতখানি সে বুঝি এই আমিই জানি।
হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে বসা একজন ভুটানিজ তরুনেরর আঁকা বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টারের মুখের ছবি।
বিকেল বেলার থিম্পু শহর! ক্লক টাওয়ার। ছিমছাম নিরিবিলি। হেঁটে চলেছি একা একা। নেই কোনো ট্রাফিক জ্যাম।
সারা শহরে একটাই মাত্র ট্রাফিক পোস্ট চোখে পড়েছে আমার। ট্রাফিক পোস্টটিও দেখবার মত কারুকার্য্যময়।আমার মত সে দেশের সবাই যেন বেড়ানোর ম্যুডেই চলেছে। যাকে বলে ফুরফুরা মেজাজে। এখানে সেখানে ছোটখাটো আড্ডা বা জটলা। আমার মনও তখন হারিয়ে যায় পাখা মেলে কোনখানে! কেউ জানেনা শুধুই আমার মন জানে!!!
সবশেষে আমার দেখা প্রিয় কিছু হ্যান্ডিক্রাফটসের ছবি। যে সব ছুঁতে গিয়ে হাত পুড়িয়েছি আমি।
তারপরও শেষ মেশ পোড়া হাতে নিয়ে এসেছি তার কিছু স্মৃতি। সাজিয়ে রেখেছি ঘরের এক কোনে। হাত পুড়ুক আর চোখ পুড়ুক থেকে যাবে তো শুধুই স্মৃতি আর কিছু রবেনা।
স্পেশাল ট্যাপেস্ট্রী- রং কাপড়, সুতার বুনন ও সোনার জলে আকা ইতিহাস।
ওহ দেশটার নামটাই তো বলা হলোনা। কিছুদিন ঘুরে এলাম শান্তি, সুখের আর নৈস্বর্গিক অপার সৌন্দর্য্যের দেশ ভুটান হতে।