(লেখক পরিচিতি : নিবন্ধটি নেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের মেধাবী ছাত্র শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর লেখা থেকে। শেখ ফজলুল করীম মারুফ তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে ছাত্রনেতা, তরুণ আলেম, গবেষক, প্রাবন্ধিক এবং বিপুল প্রতিভাবান ও সৃজনশীল মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।)
পৃথিবীতে মানুষ আগমনের পর থেকে দিন দিন মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু তার সাথে তাল মিলিয়ে সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি পায়নি। একই সাথে চূড়ান্ত সৃষ্টিশীল ও বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন জীব হিসেবে মানুষের চাহিদার মাত্রাও অসীম। কিন্তু সম্পদকে অসীম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভবনা। এই সসীম সম্পদ দিয়ে অসীম অভাব পূরণের বাধ্যবাধকতার কারণেই পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে সংঘাত। মানুষের বহুমাত্রিক স্বার্থ রক্ষা, পরস্পর সাংঘর্ষিক অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ থেকে উৎসাহিত সংঘাত-যুদ্ধ-হানাহানি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য, কারো ক্ষতি সাধন না করে প্রত্যেকের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণ করা এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে অসীম অভাবের মধ্যে থেকে জরুরী অভাব পূরণ সমন্নয় করতেই সামনে এসেছে “সার্বভৌমত্ব” তত্তে¡র। মানুষের এই সব সংঘাত নিরসনে, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান কল্পে কোন শক্তিকে চূড়ান্ত ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচনা করা হবে, কার কাছে নিরংকুশ আনুগত্য প্রর্দশন করা হবে, কাকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মনে করা হবে সেটা নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন কালে গোত্রপ্রাধান, এরপরে রাজা, সম্রাট, সামন্ত রাজা এভাবে পর্যায়ক্রমে জনগণকে, সমাজকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর ইসলাম শুরু থেকে মানুষসহ গোটাজগতের সৃষ্টিকর্তাকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে।
সে যাই হোক। সার্বভৌমত্ব একটি ধারণা বা বিশ্বাসের নাম। যা বস্তগত না, ধারণাগত। সেই ধারণাগত তত্ব থেকে উদ্ধুদ্ধ মৌলিক নীতিমালা, কৌশল ও কার্যাবলী পরিচালনা করার জন্য একদল পরিচালক নির্ধারণ করা হয়। যেই পরিচালক সর্বভৌম ক্ষমতার প্রতিনিধি হিসেবে সমাজে, রাষ্ট্রে সংঘাত নিবারণ করেন, মানুষের শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। একেই আধুনিক পরিভাষায় সরকার বলা হয়। সরকারবিহীন কোন জনসমষ্টির কল্পনা করা যায় না। এই সরকারগুলোর কার্যক্রমকে ‘ভালো’ বা ‘খারাপ’ ইত্যাদি অভিধায় বিশেষায়িত করা যায়।
“সরকারের কার্যক্রম যদি ভালো হয় তাহলে তাকে সুশাসন বলা হয়। আর খারাপ হলে Bad Governance বলা হয়।”
চলমান বিশ্বে সুশাসন বহুল আলোচিত একটি শব্দ। সুশাসন নিশ্চিত করার ওপরে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন তত্তে¡র আবিষ্কার হয়েছে, পন্থা ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন দেশের ওপরে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আলোচ্য নিবন্ধে আমরা সুশাসনের স্বরূপ এবং ইসলামের ক্ষেত্রে নির্দেশনা কী তা আলোচনা করার প্রয়াস পাবো, ইনশাআল্লাহ।
সুশাসন কী
সুশাসন; এখানে দুইটা শব্দ। একটা হলো শাসন। আরেকটা good বা ভালো শাসন। Governance বা শাসন হল- “The process of decision making and the process by which decisions are implemented or not implemented.”
“কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বা না করার প্রক্রিয়াকে Governance বা শাসন ব্যবস্থা বলা হয়।”
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া ও তা বাস্তবায়ন করা বা না করার যে প্রক্রিয়া তাতে কেবল সরকারেরই একমাত্র ভূমিকা থাকে তা না বরং এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আরো অনেকের ভূমিকা থাকে। ভূমির মালিক, শ্রমজীবী মানুষ, শিল্পপতি, ধর্মীয় নেতা, বিভিন্ন সামাজিক পেশাজীবি সংগঠন এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষ। এর অর্থ হল- শাসনপ্রক্রিয়ার মানে কেবল সরকারী কর্মকাণ্ড না বরং স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত কার্যক্রম।
সুশাসন কাকে বলে
সুশাসন কাকে বলে তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। বিশ্বব্যাংক, IMF, জাতিসংঘ প্রভৃতি সংস্থা কিছু বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দিয়েছে সেই সব বৈশিষ্ট পাওয়া গেলে তবে সেই শাসনকে সুশাসন বলা হবে।
বিশ্বব্যাংক ঠিক করা বৈশিষ্ট্যাবলী
১. Voice and accountability (বাক স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা)
২. Political stability and lack of violence (রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসহতামুক্ত থাকা)
৩. Governance effectiveness (কার্যকর সরকার ব্যবস্থা)
৪. Regulatory quality (বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রিত মান)
৫. Rule of law (আইনের শাসন)
৬. Control of corruption (দুর্নীতি দমন)
জাতিসংঘের ঠিক করা মাপকাঠি বা indicator
১. Consensus oriented
২. Participatory
৩. Rule of law
৪. Effective and efficient
৫. Accountable
৬. Transparent
৭. Responsive
৮. Equitable and inclusive
বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘের নির্দেশিত Indicator বা নির্দেশক গুলোকে বিবেচনায় নিলে সুশাসন বলতে এমন একটা শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে জনতা তাদের অধিকার নিয়ে উচ্চকিত হতে পারে, প্রশাসন জনতার কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে। সরকারের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়। সরকার তার কাজে দক্ষ ও কার্যকর, সরকার জনতাকে তার শাসন কার্যক্রমের অংশ বা নিয়ে জনতার মতামতকে প্রাধান্য দেয়, জনতার আহবানে দ্রুত সাড়া দেয়। যেখানে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পরিচালন পদ্ধতি আধুনিক, সরকারি সংস্থাসমূহ দূনীতিমুক্ত। যেখানে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং সহিংসতা মুক্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায়ে থাকে।
সুশাসনের ইসলামী দৃষোিকোণ
কুরআনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নবীদের কথা অলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন নবী নবুওয়াতের অংশ হিসেবে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন। আমরা জানি যে, নবীরা তাদের কোন কাজই আল্লাহর নির্দেশনার বাহিরে বা নির্দেশনা ছাড়া করেন না। সেই হিসেবে এই শাসক নবী আ.-গণ তাদের শাসনকার্য পরিচালনায় যে বৈশিষ্ট্যগুলো ধারণ করেছিলেন আমরা সেগুলোকে এড়ড়ফ Good Governance এর ইসলামী দৃষ্টিকুণ হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।
শাসক হিসেবে যেসব নবীদের কথা কুরআনে আলোচনা হয়েছে। তারা হলেন- হযরত ইউসুফ আ., হযরত জুলকারনাইন আ., হযরত দাউদ আ., হযরত সুলায়মান আ., হযরত মুসা আ., হযরত তালুত আ. এবং সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর শাসন পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী।
ইসলামী দৃষ্টিকুনে সুশাসনের কেন্দ্রে থাকেন খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান। ইসলামের দৃষ্টিকুণে খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান কেবল শাসন কর্তাই নন বরং এটা একটা ধর্মীয় গুরুত্ববহ পদ। বিশ্বাস মতে খলিফা অল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তার কাছে সরাসরি জবাবদিহিতা করার বিশ্বাসে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্য
ক. ইসলামী আইন ও মূল্যবোধ বাস্তবায়নে কার্যক্রর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিশ্চিত করা।
খ. যোগ্য ইসলামী নেতৃত্য তৈরীর জন্য পদ্ধতি উন্নয়ন করা।
গ. সুদমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
ঘ. সামাজিক নিরাপত্তা জাল নিশ্চিত করা।
ঙ. রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
চ. সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
ছ. আইনের শাসন ও শৃংখলা নিশ্চিত করা।
জ. সুষ্ঠ পরিকল্পনা এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ delegation of power
ঝ. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
ঞ. গণশিক্ষা এবং কর ব্যবস্থা
The model of GG in Islam
সুশাসনের ইসলামী ধারণায় খেলাফত গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়। যিনি বস্তু সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাকে ধাকে ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে নিয়ে যান -এর প্রতিনিধিত্ব করার কারণে তার রাষ্ট্র পরিচালনার মূল লক্ষ্যই থাকে সৃষ্টি জীবের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করা। এটা হল- মুল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইসলাম খলিফাকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থেকে বিপুল স্বাধীনতা দেয়।
এবং যেহেতু ইসলাম কেবলই একটা রাষ্ট্র দর্শন না বরং স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির আত্বিক সম্পর্ক বিনির্মান করার একটা দর্শন। যেহেতু ইসলাম তার অনুসারীকে বিশ্বাস করায় যে, একদিন তার স্রস্টার দরবারে তাকে তার সকল কাজের জন্য জবাবাদিহিতা করতেই হবে সেহেতু ইসলামের সুশাসন ধারণায় কেবল কিছু নির্দেশক বা বৈশিষ্ট্যের মাঝে সীমাবদ্ধ না বরং জনকল্যাণে যা যা করনীয় তা সবই সুশাসনের অন্তগর্ত।
প্রচলিত সুশাসন ও ইসলাম
বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ নির্ধারিত সুশাসনের ধারণার মাঝে যদিও পুর্ণাঙ্গরূপে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব না। কারন সেখানে সুশাসনের প্রতিবন্ধক বিষয়গুলো প্রতিহত করার জন্য কিছু নিয়মনীতি দাঁড় করানো হলেও সেই সব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পিছনে মানুষের প্রবল চিন্তা ক্ষমতাকে সুপথে চালিত করার কোন কথা বলা হয় নাই। ফলে প্রবল সৃষ্টিশীল মানুষের পক্ষে সেই সব আইন-কানুন এড়িয়ে যাওয়া কোন ব্যপার না। তারপরেও যেহেতু সুশাসনের এই চলতি ধারণা বিশ্বব্যাপী সাধারণভাবে গৃহিত সেহেতু আমরা দেখার চেষ্টা করবো যে, এগুলো কি আদৌ নতুন আবিষ্কৃত কোন বিষয়? এগুলো কি ইসলামে আলোচিত কোন বিষয়? নাকি বহু পুর্বেই ইসলাম এসব নিয়ে কথা বলেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে।
সুশাসনের স্বীকৃত নির্দেশকসমূহ
ক. শাসন ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ
কুরআনের সুরা নিসা’র ১৫৯নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইসলামী শাসন ব্যবস্থার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেছেন, “কাজে কর্মে আপনি তাদের সাথে পরার্র্মশ করুন”।
সুরা শুয়ারা’র ৩৮নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তারা পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে”।
সুরা নিসা’র ৫৮নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা যদি কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হও তাহলে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি প্রত্যার্পন করো”।
উপরুক্ত আয়াত সমূহের মাধ্যমে ইসলামী শাসনের মূলনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামলূক করে দেয়া হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতার প্রতিফলন আমরা রাসূল সা.-এর এবং তার সাহাবাদের জীবনে দেখতে পাই। রাসূল সা. তার রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে খোলামেলা ভাবে সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করতেন যা খোলাফায়ে রাশেদার যুগেও অব্যহত ছিল।
খ. স্বচ্ছতা
স্বচ্ছতার বলতে বোঝায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও বাস্তবায়নে যথাযথ আইন-কানুন মেনে চলা এবং ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার সাথে সমান আচরণ করা। কুরআনে কারীমে সুরা বাকারা’র ২৮২নং আয়াত; যা কুরআনের সবচেয়ে বড় আয়াত সেখানে যে কোন লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার ব্যাপারে পরিষ্কার করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছোট হোক বড় হোক সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গ. জবাবদিহিতা
পবিত্র কুরআনে সুরা বনি ঈসরাইলে ৩৬নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ এদের প্রত্যেকটিকে জিজ্ঞাসিত করা হবে”।
ঘ. আইনের শাসন
কুরআনে কারীমে সুরা নিসার ১৩৫নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা ন্যায়ের ওপরে প্রতিষ্ঠিত থাক, আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায় সংঘত সাক্ষ দান কর। তাতে তোমাদের নিজেদের, পিতা বা নিকট আত্মীয়দের ক্ষতি হলেও তোমরা বিচার করতে গিয়ে কামনা বাসনার অনুসরন করবে না। আর ঘুরিয়ে-পেচিয়ে পাস কাটিয়ে যাও, তবে তোমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি অবগত”।
ঙ. Consensus oriented বা ঐক্যমতে ভিত্তিক
সূরা আল ইমরান-এর ১৫৯নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর যখন তোমরা ঐক্যমতে পৌছে যাও তখন আল্লাহর উপরে ভরসা কর”।
অন্য যে কোন নির্দেশকগুলো আলাদা করে আলোচনা করা হয়েছে তা ইসলামের একটি মৌলিক কাজ করার মাধ্যমে সমাধান করেছে। ইসলাম মানুষের বিশ্বাসের একক দৃঢ়ভাবে স্থাপন করে দেয় যে, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ তার কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হচ্ছে এবং তার প্রতিটি কার্যক্রমকে কেয়ামতের দিন ওজন করা হবে। এবং তার ভিত্তিতে জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারন করা হবে। বুখারীর সহিহ হাদিসে রাসূল সা. বলেন, “তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।” এই বিশ্বাস কারো মধ্যে প্রবেশ করলে তার পক্ষে আর অবৈধ কোন কিছু করা সম্ভব না। এই বিশ্বাসই ইসলামী সুশাসনের মূল ভিত্তি।
তাই আমরা বলি, সুশাসনের জন্যে আজ গোটা বিশ্ব ব্যাকুল সেটা কেবল ইসলামেই সম্ভব। ইসলামই পারে যথাযথ সুশাসন আনতে, সুশাসনের লক্ষ্যে ইসলামই একমাত্র উপায়। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৭