যারা নিজেদেরকে সৎ রাখার শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন বাস্তবিকভাবে তাদেরকেই সমাজের হাল ধরার জন্য এগিয়ে আসতে হবে
(বিগত সংখ্যার পর থেকে)
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ব্যতিত সুন্দর সমাজ বিনির্মান অসম্ভব। তাইতো দেখা যায় এই শ্রেণি সবসময় সমাজপতিদের বিরোধিতাই করে বেড়ায়। নিজেরা সমাজ পরিচালনায় না অংশগ্রহণ করে না সমাজ পরিচালনা তাদের ভাল লাগে। তাইতো দেখা যায় তারা একই সমাজে বসবাস করে ঠিকই কিন্তু তাদের চলাফেরা আলাদা, তাদের কথাবার্তা আলাদা, তাদের সংস্কৃতি আলাদা সর্বপরি তাদের মানসিকতাই আলাদা।
একজন মানুষ ভাল, সৎ এটা প্রমাণিত হবে তার কাজের দ্বারা। সেই শ্রেণির লোকেদের সমাজের সবাই মোটামুটি ভাল চোখেই দেখে। কিন্তু সমাজ পরিচালার দায়িত্ব পালন করলেই প্রকৃত সৎ এবং ভাল মানুষের রূপ ফুটে ওঠে।
আমাদের মধ্যেও অর্থাৎ আমরা যারা ব্লগে লিখি তাদের মধ্যেও এরকম মানসিকাসম্পন্ন লোক থাকতে পারেন। বন্ধু! আপনি একটু চিন্তা করেন তো, ধরুন আপনি একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। আপনার সামনে এক কোটি টাকার একটি প্ল্যান আছে। এই এক কোটি টাকার যথাযথ ব্যবস্থাপনা করাই হল আপনার কাজ। এখন প্রশ্ন হল আপনি কি পারবেন এই অর্থের যথাযথ ব্যবস্থাপনা? নাকি নিজের পেটে ঢুকাবেন? এক্ষে্ত্রেই ভাল আর সৎ মানুষের পরিচয় ফুটে ওঠে।
আসলে ব্যপারটা হল, মানুষের কিছু সহজাত অভ্যাস আছে; যা সৃষ্টিকর্তা তাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এ ধরণের মানুষের মধ্যে যারা চেষ্টা-সাধনা করে তারাই নিজেদেরকে কলংকমুক্ত রাখতে পারে। এক্ষেত্রে যারা নিজেদেরকে সৎ রাখার শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন বাস্তবিকভাবে তাদেরকেই সমাজের হাল ধরার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। নইলে আমাদের সমাজ যে অদূর ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তা থেকে রেহাই পাওয়া দুস্কর।
(চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১