আজকে পবিত্র জুমার দিন।
তাই জুমার দিনের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু লিখতে চাই।
হযরত আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি জুম'আর দিন (কাপড়-চোপড়) ধৌত করবে ও গোসল করবে অতঃপর সকাল সকাল প্রস্তুতি নিবে ও সকাল সকাল মসজিদে গমন করবে, সওয়ার না হয়ে় পায়ে হেঁটে মসজিদে যাবে, মসজিদে গিয়ে ইমামের নিকটে বসবে, অতঃপর চুপ করে খুতবা শুনবে এবং অনর্থক কিছু করবেনা, তার প্রত্যেক কদমে এক বছরের রোজা ও রাতের বেলায় নামাজ পড়ার সওয়াব হবে।
(নাসায়ী ও তিরমিজি)
অন্য এক হাদিসে আছে, হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অযু করবে এবং উত্তমরুপে অযুুর কাজগুলো সম্পন্ন করবে অতঃপর জুমাতে যাবে এবং চুপ করে খুতবা শুনবে, তার এই জুমা থেকে ওই জুমা পর্যন্ত (সগীরা)গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অধিকন্তু আরো তিন দিনের। আর যে ব্যক্তি খুতবার সময় কংকর বালি নাড়াচাড়া করল, সে অনর্থক কাজ করলো।
(মুসলিম)
এছাড়া জুমার দিন যত শীঘ্র মসজিদে যাবে ততো বেশি সওয়াব হবে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুম'আর দিন জানাবাতের গোসলের ন্যায় গোসল করে, অনন্তর মসজিদে গমন করে, সে যেন একটি উট কুরবানী করল
তারপর যে দ্বিতীয় মুহূর্তে গমন করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। তৃতীয় মুহূর্তে যে গমন করে, সে যেন একটি মেষ কুরবানী করলো। চতুর্থ মুহূর্তে যে গমন করে, সে যেন একটি মুরগী কুরবানী (দান)করলো। পঞ্চম মুহূর্তে গমন করে, সে যেন একটি ডিম কুরবানী অর্থাৎ দান করল। এরপর যখন ইমাম খুৎবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বের হন তখন ফেরেশতা লেখার দপ্তর গুটিয়ে খুতবা শুনতে শুরু করেন।
(মুসলিম ও তিরমিজি)