এপিঠ
হঠাৎ এক দমকা হাওয়া আসিয়া চারিদিক কেমন থমথমে করিয়া দিল।ইহার পর বুঝিতে পারিলাম যে স্নায়ুতন্ত্রের লাল সবুজ আর আসমানি তন্তু গুলো ছিড়িয়া গিয়াছে।আর চারিদিক হইয়া গিয়াছে সফেদ বা সাদা-কালো।অতঃপর যখন দেখিলাম কিছুই শুনিতে পাইতেছি না, তখন বুঝিলাম যে তীব্র বজ্রপাতে কর্নপটে ১১০ ডেসিবলে ঝাটকা লাগায় কর্ন যুগোল অকেজো হইয়া গিয়াছে।আর তাহার কিছুহ্মন পর সামনে তাকাইতেই যখন সব ঝাপসা লাগিতেছিল বুঝিতে আর বাকি রইলো না যে আমার চহ্মুযুগলে চালশে রোগ হইয়া গিয়াছে।ইহার পর ও ওই স্নায়ু তোমায় রঙিন ভাবে ভাবিতে চায়।ওই কর্ন তোমার হৃদয়ের জমাট বাধা কথা শুনিতে চায়।ওই চহ্মুপট তোমায় দেখিতে চায়।কারন প্রাকৃতিক যতই দুর্যোগ আমার বহিরাঞ্চল অচল করিয়া দেক না কেন,এই মন টারে স্পর্শ করিতে পারে এমন সাধ্যে কোনো ঝড়ের নাই।আমি এহেন কাতরতার মাঝেও দৃঢ়সংকল্প যে আমি যেকোনো দুখের ভার লইতে প্রস্তুত এবং ইহা শুনিতেও প্রস্তুত।তুমি চাহিলে ঝড়ের বেগে,না হয় তুফান বেগে,না হয় নূতন কোনো ঘুর্নিঝড়ের নাম রূপ ধরিয়া আসিতে পারো, তাহাতে আমি মোটেও ভীতিসন্ত্রস্ত নই।
ওপিঠ
কিছু অধ্যায়-কে মুছে ফেলে দিতে চাই।যদি অংকের মতো ধরি,তাহলে! সূচক বা লগারিদম আর দ্বীঘাত সমীকরন।আর যদি পদার্থ বিদ্যা ধরি, তাহলে... আলো আমার একদমই ভালো লাগে না।কিসব প্রতিফলন আর প্রতিসরণ। সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল কবিতার মতন।
আর কিছু জিনিস বাদ না দিলে তো মনে হয়, জীবন টাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।সেটা হলো তোমার পাশে কিছুহ্মন পথচলা।ওটা যেন আমায় দিন রাত শুধু ভাবায়।আমার ক্লান্ততা যেন ভর বেগের মতো সেকেন্ড প্রতি বাড়িয়ে তোলে।চৈত্রের খড়ার মাঝেও আদ্রতা অনুভব করি।
মদ্দা কথা হইল, আমি যখনই কোনো পজিটিভ কিছু লিখিয়াছি পরক্ষনেই তার বিপরীত কিছু না লিখিলে পেটের ভাত হজম হইবে এমন কোনো পথ্য তৈয়ার হয় নাই।যাইহোক, ছ্যাকা আমি দুই-চারি টা যে খাইয়াছি সে কথা অস্বীকার করিলে পাপ হইবে পাপ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬