মহাকাশে, ক্ষুদ্রাকৃতির স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে, বাংলাদেশ ও জাপানের দু'টো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী মার্চে এটি মহাকাশে যেতে পারে। স্যাটেলাইটটি জাপান থেকে উৎক্ষেপণ হলেও, বাংলাদেশে বসে এটি নিয়ন্ত্রণ করবে এদেশের শিক্ষার্থীরা।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী কাফি, মাইসুন ও অন্তরা জাপানে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি স্যাটেলাইট তৈরি এবং তা উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের তৈরী স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে বুধবার জাপানের কিউসু ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (কেআইটি) এবং বাংলাদেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জিডিএলএন সেন্টারে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ সাদ আন্দালিব এবং কেআইটির প্রফেসর মেংগু চো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ন্যানো স্যাটেলাইটে বাংলাদেশও হবে একটি উজ্জ্বল নাম - এমন মন্তব্য করেন জাপানের কিউসু ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (কেআইটি)ল্যাবরেটরি অব স্পেসক্র্যাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টের্যাবকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবেক সহকারি অধ্যাপক ড. আরিফুর রহমান খান। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটিতে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশের জন্য ন্যানো-স্যাটেলাইট খুবই লাভজনক হবে বলে মনে করেন ড. আরিফ। এর মাধ্যমে দেশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ আরও বিভিন্ন খাতে এর ব্যবহার ব্যাপক অগ্রগতি আনবে বলে মনে করেন তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২০