somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সচেতন দেশনেত্রী/সাঈদ হাসান আকাশ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বর্তমানে ভাল করলেও দোষ। মন্দ কিছু করলে তো কথাই নেই চৌদ্দগুষ্টি নিয়ে কথা বলি আমরা। কারণে অশারণে কথা বলি। যা বলার তাও বলি আবার যা বলা উচিৎ নয় তাও বলি। অযথাই কথা বলি। যেটা বদ অভ্যাস। এই বদ অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছে দেশের উচু নীচি সর্ব স্তরের মানুষ। তার মধ্যে হয়তো আমিও একজন। অযথায় একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছি। বিষয়টি হলো আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একশ্রেণী মানুষের কাছে এই নামটি একেবারে অসহনীয় একটি নাম। শুধু তাই নয় বিরক্তিকরও বটে। আবার একশ্রেণী মানুষের কাছে ভালবাসা যুক্ত একটি নাম। যে নামটি শুনতেই শ্রদ্ধায় মাথা নত করতে ইচ্ছা হয়। এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ স্বয়ং বিধাতাই সবার মন যুগিয়ে চলতে পারে না। বা সবার মন যুগিয়ে চলার কোন প্রয়োজন নাই। ঠিক তেমনি বর্তমান প্রধান মন্ত্রী সবার কাছে যে প্রিয় মানুষ হবেন তা যেমন সম্ভব নয় তেমনি সবার কাছে প্রিয় হবার কোন প্রয়োজনও নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর উপর অনেক কিছু যেমন নির্ভর করে তেমনি ভাবে অনেক দায়বদ্ধতাও চলে আসে অটোমেটিক ভাবে। দেশের ভাল-মন্দ, জনগণের সুখ-দুঃখ, বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয় দেশনেত্রীকে। অতীতে কে কতটুকু করেছে জানিনা। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট ভাবেন বলে আমার ধারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুবাদে আমরা এখন অনেক কিছু জানতে পারি যা জানা আদৌও সম্ভব ছিলনা একটি সময়। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নিয়মিত কোরআন তেলওয়াত করেন। এইসব সংবাদগুলো আমরা পেয়ে থাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুবাদে। আর যখনই ভাল কাজগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেন শুনি তখন ভাল লাগাটা যেমন বেড়ে যায় তেমনি শ্রদ্ধা-ভালবাসা-সম্মানটাও বেড়ে যায়। কোন দেশের প্রধান মন্ত্রি এমনটা করেন? হয়তো বা অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী করেন। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোন প্রধান মন্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, নিয়মিত কোরআন তেলওয়াত করার কথা ইতোপূর্বে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা পত্রপত্রিকায় আসতে দেখিনি। তবে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে যখন প্রধানমন্ত্রী রাস্তায় বের হন কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে তখন যে বেশ কিছু সময় রাস্তার মানুষ, যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন। এমনও হতে দেখা যায় প্রধান মন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে রাস্তা বন্ধ রাখা হয় বা গাড়ী চলা চল বন্ধ রাখা হয় এমন কি পথচারীদেরকেও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলাচল করতে দেওয়া হয় না। তাতে করে গুরুতর অসুস্থ্য রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে রাস্তায়। অসুস্থ্য রোগিটি গাড়ীর জ্যামে পড়ে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে অনেক সময়, হতে পারে কিন্তু এমনটা। একজন অফিসে যাচ্ছে গাড়ী কিংবা রিকসায় অথবা পায়ে হেটে। কোন কারণে ভিআইপি চলাচলের সুবিধার্থে বা নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। অথচ অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাঁচ মিনিট বা দশ মিনিটের জন্য ধরা খায়। হাজিরা খায় লালকালির দাগ পড়ে। কিছু কিছু অফিসে আবার বেতনও কাটে এই লাল কালির দাগ পড়ার কারনে। এটা যেমন খারাপ লাগার বিষয়। দেশের জন্য কিছুটা হলেও অনাকাঙ্খিত তেমনি করে দেশের জন্য এটাও নিসন্দেহে হিতকর যে, প্রধান মন্ত্রী পানির সংকট দূরতে অনেক চিন্তা ভাবনা করেন। আর সেই কারণেই তিনি পানি ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন। কি ভাবে শুনবেন? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গোসর করার সময় ঝর্ণা বা বাথটাবে গোসল করেন না। তিনি গোসল করেন বালতিতে পানি ভরে মগে পানি নিয়ে। যাতে করে পানির অপচয় না হয়। তিনি চাইলে কিন্তু ইচ্ছামত পানি ব্যবহার করে গোসল করতে পারতেন কিন্তু তিনি সেটা করেন না। পানির অপচয় রোধ করতে কোন নেতা বা কোন নেত্রী বালতিতে পানি ভরে গোসল করে বলতে পারবেন পাঠক আপনারা? এই রকম হাজারো ভাল চিন্তা হাজারো ভাল কাজের মধ্যে যে দুই একটি এইদিক সেইদিক হবেনা তা কিন্তু বলা যায় না। কারণ আমরা মানুষ। আর মানুষের দ্বারা কখনো ফেরেস্তাদের মত নির্ভূলতা আশা করা যায় না। তাই আসুন-আলোচনা সমালোচনা উর্দ্ধে থেকে দেশকে নিয়ে সবাই মিলে ভাবি। দেশকে দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলি। দেশ নেত্রীর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত সচেতন হই। মন্দটাকে পরিহার করে ভালটাকে গ্রহণ করি। দেশের স্বার্থে নিজেদের স্বার্থে আরো একটু সচেতন হই দৈনন্দিন জীবন চলার পথে। কেউ যেন এ্যাম্বুলেন্সে নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে পৌছাতে না পেরে রাস্তায় মরে না যায়। কেউ যেন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পেরে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। কেউ যেন নামাজ পড়া বন্ধ না করি। কেউ যেন পানির অপচয় না করি। সর্বপরি আমরা কেউ যেন এমন কিছু না করি যাতে ব্যক্তির বা দেশের ক্ষতি না হয়।

বি. দ্রঃ- লেখাটি একজন সাধারণ মানুষের চিন্তার ফসলমাত্র।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×