দিন বদলের পালায় নতুন একটি ধারা প্রবাহিত হচ্ছে বাসাবাড়ির ছাদে সবজি চাষ। নগরকৃষক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে যুগযুগ পূর্বের ন্যায় নির্ভেজাল সবজি উৎপাদন ও ভৰণ করে পরিবারকে সুস'্য রাখার যুদ্ধে আপনিও অংশ নিতে পারেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সালামের মত। তিনি শিৰকতার পাশাপাশি কৃষিখাতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। মাছের ও গৃহপালিত পাখির খাদ্য হিসাবে প্যারেটপোকার আবিস্কার, গাভীর দুধ বৃদ্ধির সফল প্রচেষ্টায় গম ও ভুট্টার ফোডার উৎপাদন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় নগরকৃষক হিসাবেও সফলতা অর্জন করেছেন গুনী এই মানুষটি। নিজ বাসার ছাদে এ্যাকোয়াপনিক পদ্ধতিসহ অন্যান্য পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষ করেছেন। নগর জীবনে সবুজের শ্যামল ছায়ার পরশ পাওয়া যায় তার বাসার ছাদে গেলেই। দর্শক চলুন এই নগর কৃষকের মুখেই শুনি তার বাসার ছাদে সবজি ও ফলের চাষাবাদ সম্পর্কে।()
সৌখিন এই কৃষকের বাসার ছাদে ও টবে আরো চাষ করেছেন- টমেটো, লেটুস, পালং শাক, চেরী টমেটো, পেঁপে, আলু প্রভৃতি। এইগুলো তিনি চাষ করেছেন এ্যাকোয়াপনিকস পদ্ধতিতে। সেই কারণে এ্যাকোয়াপনিকস পন্ডে চাষ করেছেন বিভিন্ন রকমের মাছ। এছাড়াও এ্যাকোয়াপনিক এর ভাটিপনিকস পদ্ধতিতে চাষ করেছেন-বেগুন, মরিচ, ব্রম্নকলি, স্কোয়াস, পাকচঁই, ওলকপি, লাউ, সীম, ক্যাপসিকাম, শশা, কাকরোল, ব্রাকেল স্প্রাউড এবং ড্রাগন ফ্রুট। এছাড়াও তিনি বাসার ছাদে চাষ করেছেন বিভিন্ন ধরণের ফুলের। প্রিয়দর্শক, নয়নাভিরাম সবুজ শ্যামল দৃশ্য তৈরি করতে পারেন আপনার বাসার ছাদেও। এমনটি করতে পারলে নগর কৃষক হিসাবে যেমন আপনি পাবেন আত্মতৃপ্তি তেমনি ভাবে আপনার পরিবার পাবে নির্ভেজাল বিষমুক্ত ফল ও সবজি। তাই আসুন আমরা যারা বিভিন্ন শহরে বসবাস করি তারা বাসার ছাদে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সবজি, ফুল ও ফলের বাগান গড়ে তুলে কৃষি খাতে যোগ করি নতুন একটি মাত্রা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯