কিছু শেষ কথা বলে আজ অর্ধশত পোস্ট পূরন করবো ব্লগে।
পশ্চিমাদের সভ্যতার কিছু কথা।
ইউরোপ-আমেরিকার কাছে মুসলমানরা হচ্ছে অসভ্য। এ নিয়ে তারা নিজস্ব মিডিয়াতে বিভিন্ন বানোয়াট গল্প বানিয়ে উপস্হাপন করে দর্শকদের মাঝে। অপরদিকে এটাও প্রচার করে তারাই হচ্ছে আসল সভ্যতা ও মানবতার প্রতীক।
আমি মেনে নিলাম তাদের দাবি। কিন্তু নিচের কিছু তথ্য দেখে এবার আপনি বলুন তো আদৌ পশ্চিমারা সভ্য জাতি হয়েছে কি না ? আপনার সুস্হ মস্তিস্ক কি বলে?
১) প্রতি বছর ১০ই জানুয়ারী পশ্চিমা দেশগুলো নো-প্যান্ট ডে পালন করে। দিনে পশ্চিমা তরুণ-তরুণীরা পাতাল রেলে প্যান্ট খুলে ঘোরাফেরা করে। এটাই তাদের সভ্যতার লক্ষণ। আসন্ন বছরে আবার উদযাপন হবে এ দিবসটি । আগ্রহীরা নিন্ম তারিখে সুইডেনে পৌছে যাবেন।
যারা সার্পোট করেন পশ্চিমা সভ্যতাকে তাদেরকেও বলছি।
Friday, 1 May
No Pants Day 2020 in Sweden
লিংক দেখুন
https://en.m.wikipedia.org/wiki/No_Pants_Day
২) পশ্চিমাদেশগুলো পুরুষরা স্পার্ম বা বীর্য বিক্রি করে। এই তো কিছুদিন আগে এক ব্রিটিশ পুরুষ জানালো তার বীর্যে এ পর্যন্ত ৮০০ সন্তানের জন্ম হয়েছে। বিষয়টা অনেকটা খামারের পাঠা ছাগলের মত, সমস্ত ছাগীদেরকে একটি পাঠা দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। বিষষয়টি ব্যাখা করার প্রয়োজন মনে করছিনা।
এটাকে অপসংস্কৃতি বলবেন নাকি সভ্য সংস্কৃতির নামে দাগ কাটবেন প্রিয় ব্লগারবাসী?
পশ্চিমা সভ্যতা সাপোর্ট কারীদের জন্য
ভিডিও লিংক
https://m.youtube.com/watch?v=B2azW3cxDJk
https://m.youtube.com/watch?v=B2azW3cxDJk
৩) ইউরোপ-আমেরিকায় সারগোরেট মাদার বা গর্ভ ভাড়া দেওয়ার কালচার প্রবল। বিষয়টি সেখানে এরকম যে, পুত্র ও পুত্রবধূর নিষিক্ত সন্তান মা তার তার গর্ভে স্থান দেয়, খবরে আসে- “নাতীকে জন্ম দিলো দাদী” কিংবা নাতীকে জন্ম দিলো নানী। তাদের দৃষ্টিতে পুত্রের সন্তান নিজ গর্ভে অবস্থান দেওয়া সভ্যতাই অংশ।
বিষয়টা ক্লিয়ার করে যাবেন পশ্চিমা সভ্যতা সার্পোটকারীরা,
যে নাতীকে জন্ম দেওয়া নানী, দাদী,মা না হয়ে নানী-দাদী হয় কি করে??
এ সভ্যতাকে কোন যুক্তি দিয়ে সমর্থন করেন ওহে পশ্চিমা সভ্যতার সমর্থনকারী?
লিংক পড়ে আসবেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Surrogacy
৪) পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্ষণ পীড়িত রাষ্ট্র কিংবা নারীর প্রতি যৌন হয়নারী মূলক রাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ তালিকায় একটিও মুসলিম রাষ্ট্র নেই। অথচ সভ্যতার দাবিদার পশ্চিমাদের মধ্যে নারী নির্যাতনের মাত্রা পৃথিবীর সর্বাধিক। জরিপ বলছে- নারী ধর্ষণে সবচেয়ে এগিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয়তে সুইডেন, পঞ্চম ব্রিটেন, ষষ্ঠ জার্মানি, সপ্তম ফ্রান্স, অষ্টম কানাডা। আপনার দৃষ্টিতে কি মনে হয়, নারীদের নিপীড়ন করাই কি সভ্যতার নিদর্শন ? প্রিয় পশ্চিমা সভ্যতা সমর্থনকারী ব্লগার,সভ্যতা নামক দেশগুলোই কেন এ তালিকায় রয়েছে? পশ্চিমা সভ্যতা প্রেমিকরা উত্তর দিয়ে যাবেন!
নগ্নতা যে দেশে বেশি থাকবে,সে দেশে ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের হারও বেশী হবে।
নগ্নতা সার্পোট কারী বিকৃত মস্তিস্কের অধিকারী।
লিংক দেখুন
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2016/10/26/179787
৫) ইউরোপ আমেরিকার অনেক এলাকায় এখন পরিবারের নিকট আত্মীয়দের মধ্যে সেক্স বা ইনসেস্টকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এতে কন্যা-বাবা, মা-ছেলে কিংবা ভাই-বোন নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা আইনত বৈধ। ইনসেস্ট আইনত বৈধ এমন দেশগুলো হলো ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, বেনেলাক্স, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি। এবার আপনি বলুন ইনসেস্ট সেক্স করা কি সভ্যতার প্রতীক ?
একজন সুস্হ মস্তিস্কের ব্লগার হয়ে কিভাবে এমন সভ্যতাকে সমর্থন জানান আপনি?
উত্তর দিয়ে যাবেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Human_sexual_activity
৬) পশুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন। যেমন কুকুর, গাধা, ঘোড়া ইত্যাদির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে আইনত বৈধ, শুধু তাই নয় সেগুলো নিয়ে পর্নোগ্রাফী তৈরী করে সেগুলো বাজারজাতকরণও বৈধ। এ তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র (নির্দ্দিষ্ট স্টেট), ফিনল্যান্ড, জার্মানি,মেক্সিকো, রুমানিয়া ও ডেনমার্ক।
পশ্চিমা সভ্যতার প্রেমিক,উত্তর দিয়ে যাবেন,আপনার ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা পশুপ্রেমী নাকি পশুকামী??
https://www.google.com/amp/s/metro.co.uk/2016/12/02/there-are-still-some-us-states-where-it-is-legal-to-have-sex-with-animals-6296973/amp/
৭) লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ! শুনতে গা শিরশির করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাসহ ৪টি স্টেটে লাশের সাথে সেক্স করা আইনত বৈধ।
সু সভ্যতা বলে যারা ব্লগে আমেরিকার সভ্যতাকে সমর্থন দিচ্ছেন,তারা কি এ কর্মের সাথে সু সভ্যতার মিল দেখাতে পারবে???
লিংক
https://www.google.com/amp/s/metro.co.uk/2015/09/14/having-sex-with-corpses-is-still-legal-in-several-american-states-5391008/amp/
পশ্চিমাদের উপরক্ত সংস্কৃতিগুলো দেখলে সহজেই অনুধাবন করা যায় আসলেই তারা চরম শ্রেণীর সভ্য জাতি। আর এ কারণেই তারা সব সময় অসভ্য মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করে থাকে।
পরিশেষে একজন লেখক ভাইয়ের কিছু কথা তুলে ধরলাম।
ক্যামব্রীজ ইউনিভার্সিটির ডক্টর আইডিমিউম পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের এবং পুরাতন গোত্রসমূহের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছেন। এ অধ্যায়নের পর তিনি সভ্য সমাজের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছে। তারপর তিনি এবিষয়ক স্বীয় বই ‘‘সেক্স কালচার’’ এ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভূমিকায় তিনি লিখেন,আমি বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের পর যে ফলাফল লাভ করেছি তার সংক্ষিপ্ত বিবরন এই ঃ- প্রতিটি জাতি দুটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। একটি হল তাদের সম্মিলিত জীবন ব্যবস্থা,দ্বিতীয়ত এমন আইন শৃঙ্খলা যা তারা যৌন চাহিদার উপর আরোপ করে। তিনি আরোও লিখেন যে,যদি আপনি কোন জাতির ইতিহাস দেখেন যে, কোন সময় তাদের সভ্যতা উন্নত হয়েছে অথবা নীচে নেমে গিয়েছে তাহলে আপনি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে, তারা যৌন বিষয়ক আইনে রদবদল করেছে। যার ফলাফল সভ্যতার উন্নতি অথবা অবনতির আকৃতিতে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ৮০ টি গোত্রের সভ্যতা সংস্কৃতি অধ্যায়ন করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন তা এই-১.যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা মিটানোর অবাধ স্বাধীনতা ছিল,তারা সভ্যতার সর্বনিন্ম স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। ২. যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে মোটামুটি আইনানুগ ব্যবস্থা ছিল,তারা সভ্যতার মধ্যস্তরে ছিল। ৩. সভ্যতার সর্বোচ্চ শিঔরে সে জাতিই আরোহন করেছে,যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচার থেকে পুতঃপবিত্র ছিল। যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচারকে অবৈধ ও অপরাধ মনে করত। উক্ত লিখক আরো মন্তব্য করেন যে,মনোবিজ্ঞানের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, যৌনাচারের উপর আইন আরোপ করা হলে তার অবশ্যম্ভবী ফলাফল দাাঁড়াবে এই যে,জাতির কর্ম ও চিন্তা চেতনার শক্তি ও যোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যে জাতি নারী পুরুষকে অবাধ যৌনতার সুযোগ দেয় তাদের কর্মক্ষমতা,চিন্তাশক্তি এবং যোগ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। রোমীয়দের অবস্থাও তাই হয়েছিল। রোমীয়রা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পশুর ন্যায় যৌনতায় লিপ্ত হত। ফলে তারা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং কোন কাজ করার মত ক্ষমতা তাদের ছিল না। এভাবে পৃথিবীর ধ্বংসকৃত জাতির সবাই যৌন অপরাধের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আজকে যৌনতার ভয়াবহ অবক্ষয়ের পড়ে মার্কিনীরা যে পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা আপনাদের দেখাবো।
তালাকের রাজধানী আমেরিকা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমানে তালাকের রাজধানী বলা হয়। বুক অফ ট্যাকসর ১৯৭৭ এর রির্পোট মোতাবেক ১৯৭৬ সালে প্রথম ছয় মাসে আমেরিকায় ৯৮৭০০০ টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫৩৮০০০ টি তালাকের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি মিনিটে গড়ে ২ টি করে বিবাহ তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন হয়। লসএঞ্জেলেসে প্রতি বছর প্রায় ৫০,০০০ তালাক সরকারী ভাবে নথীভূক্ত করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে ১৮ টি বিয়ের মধ্যে ১ টি তালাক কার্যকর করা হতো। ১৯৬০ সালে থেকে তা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তী ২৫ বছর এ হার তিন গুন বৃদ্ধি পায়। এখন বার্ষিক তালাকের সংখ্যা ১১,৬০,০০০ টি। আর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, আমেরিকায় বার্ষিক ১৫ লাখ নারী তালাক প্রাপ্ত হয়।
অবৈধ সন্তান
আমেরিকার জৈনিক বিশেষজ্ঞ মুহানী বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো এক গবেষনা করেছেন। তাতে তিনি এক পর্যায়ে বলেন,শ্বেতাংঙ্গ লোকদের মধ্যে অবৈধ সন্তানের ব্যাপকতা অনেক। ১৯৬০ সালে এই নোংরামী কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকায় আসে। তখন মুহানী বিপদ সংকেত বাজিয়ে বলেছিল, যদি এই নোংরামী বন্ধ করা না হয়, তবে কৃষ্ণাঙ্গদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৯৯১ সালে ১২ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম হয়েছে। গত দিন জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা ৩০%, কৃষ্ণাঙ্গ ৩২%, শ্বেতাংঙ্গ ২২%। টাইমস এর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ২০ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৬৩ সালে ২০ লাখ জারজ সন্তান জন্ম নেয় পরবর্তী বছরে সাড়ে তেইশ লাখ। বর্তমানে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জারজ সন্তানে গিজ গিজ করছে।
অপরাধের দেশ
আমেরিকা তো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। সেখানে ১৯৬৫সালে ৫০ লাখ অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে।অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় বিপদজনক অপরাধের বৃদ্ধির পরিমান ১৪গুণ বেশি। অপরাধ বৃদ্ধির শতকরা হার ১৭৮% তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল ১৩% ছিল। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি অপরাধ সংঘঠিত হয়। প্রতি ঘন্টা পর একজন লোক খুন হচ্ছে, প্রতি ২৫ মিনিটে একটা করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, প্রতি মিনিটে একটি চুরির ঘটনা ঘটছে, প্রতি ৫ মিনিটে ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ১৯৫১ সালে ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩০ জনে ১টি খুন। ১৯৬০ সালে ৫জন, ১৯৬৭ সালে ৯জন। প্রতি মিনিটে একটি হত্যাকান্ড, আটটি চুরির ঘটনা, মাসে পচিশ হাজার কার চুরি হয়। আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের নির্যাতিত শিকার হচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় কেবল ২০১০ সালে আমেরিকায় ১,৬০০ শিশু মারা গেছে।
বিপদজনক শহর ওয়াশিংটন
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন। যেখানে যুবকদের জন্য ১৬ জুলাই থেকে রাতে কারফিউ জারীর জন্য আইন করে ওয়াশিংটনের মেয়র স্বাক্ষর করেছেন। ঐ আইনের অধীনে ১৭ বছর ও তার চেয়ে কম বয়সী যুবকদের ঘুরাফেরা বে-আইনি ঘোষনা করা হয়েছে। উদ্দ্যেশ্য-রাতে যুবকদের ঘরে থাকতে হেেব। এ আইন না মানলে অর্থদন্ড জরিমান গুনতে হবে অভিভাকদের। ওয়াশিংটন ডিসির অপরাধ প্রবনতা কমানোর এ উদ্যেগ। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহন হল ওয়াশিংটন। ১৭ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক ‘খবর’ পত্রিকায়ও ওয়াশিংটন সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,আমেরিকা রাজধানী যেমন মর্যাদাপূর্ণ ঠিক তদ্রুপ নিকৃষ্টতম শহর যা চারিত্রিক সামাজিক ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিক থেকে একদম অধঃপতনের শিকার হয়েছে।
ধর্ষণের দেশ
এফ.বি.আই এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৫ টি ধর্ষণের কেস রির্পোট করা হয়েছে। আরো বলেছে যে, এ রির্পোট মোট ধর্ষণের মাত্র ১৬ ভাগ কেস রির্পোট করা হয়েছে। তার মানে ১৯৯০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৬৮ টি। অর্থ্যাৎ ১৯৯০ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭শত ৫৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৯শতেরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি ১.৩ মিনিটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে একটা। মোট ধর্ষনের কেস রির্পোট করা হয়েছে ১৬%। যতগুলো কেস রির্পোট করা হয়েছে তার ১০% অ্যারেস্ট হয়েছে। মানে ধর্ষকদের মাত্র ১.৬% এরেস্ট হয়েছে। যারা এরেস্ট হয়েছে তাদের ৫০% মুক্তি পেয়েছে বিচার আগেই বিনা বিচারে। অর্থ্যাৎ মাত্র .০৮ শতাংশ ধর্ষকের বিচার হয়েছে। ১২৫টি ধর্ষণ করলে শাস্তি পায় মাত্র একবার। আর যাদের বিচার হয়, তাদের ৫০% শাস্তি পায় ১ বছরের কম কারাদন্ড। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় যত ধর্ষণ সংঘঠিত হয় তার বেশির ভাগই মানে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি ধর্ষণ সংঘঠিত হয় মাতাল অবস্থায়। আর এসব ঘটনার প্রায় সব অজাচার ঘটে। মানে বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে,ভাই-বোন ইত্যাদী এদের সাথে যৌনকর্ম। পরিংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ধর্ষণের দায়ে সাজা প্রাপ্ত অপরাধীরা জেল খাটার যখন মুক্তি পায়,তাদের শতকরা ৯৫ জনই আবার ধর্ষণ করে। (জাকের নায়েক লেকচার সমগ্র)
চারিত্রিক অধঃপতনে ধস নামছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
বর্তমানে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার স্কুল সমূহে সংঘঠিত অপরাধের মাত্রা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়ার্ক টাইমসে জর্জ ডাইনের এক রির্পোটের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকার বিগত ১৫-১৯ বছরের মধ্যে প্রতি হাজার মেয়ের মধ্যে ৯৬% অবৈধ গর্ভবতী হয়েছে। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় ২,৭০,০০০ লোক এইডস এ আক্রান্ত। কঠোর আইনের বদলে “সর্তকতার সাথে প্রেম করো” ”সর্তকতার সাথে মহব্বত করো” বলে যুব সমাজকে উপদেশ দেয়া হয়।। হাই স্কুলের ৮৬% দশ বছর বয়সী ছাত্রী গর্ভবতী হয়। কলেজ ছাত্রদের উপর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যা ৬২০০ নারী ও পুরুষের মাঝে ৩২ টি ক্যাম্পাসে ৩ বছর পর্যন্ত চালানো হয়। খ্যাতনামা মনোস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ম্যারিকাস বলেছেন,ঐ ক্যাম্পাস সমূহে ২০% মেয়ের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা ৮৭৩৪০ টি। আমেরিকায় হাই স্কুলে প্রতি ২ জনে এক জন মদ্যপ, চার জনে ১ জন সিগারেট পান করে, দশ জনে ১ জন হাশীশ ব্যবহার করে। প্রতি সাত মিনিটে একটি শিশু নেশা করার দায়ে গ্রেফতার হয়। প্রতি ২৭ সেকেন্ডে একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে মা হয়। প্রতি ৪৭ সেকেন্ডে একটি শিশু ধর্ষিতা হয়। প্রতি ৩৬ মিনিটে আগ্নেয়াস্তে এক জন লোক নিহত বা আহত হয়। জর্জ লিন্ডসে লিখেন, হাই স্কুলের ৪৯৫ জন অল্প বয়সী তার কাছে স্বীকার তারা ছেলেদের সাথে দৈহিক মিলনের অভিজ্ঞা লাভ করেছে, এর মধ্যে ১২৫ জনের গর্ভ হয়। মানব সভ্যতার জন্য নতুন এক ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি খবর দিয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেড সেভেন থেকে টুয়েলভ কাসের ছাত্রীদের অর্ধেকই যৌন হয়রানির শিকার। অন্তত গত শিাবছরের ওপর পরিচালিত গবেষণা রিপোর্ট তাই বলছে। যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের শতকরা ৮৭ ভাগের ওপর পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। গবেষণায় বলা হচ্ছে, ছেলেরা যেখানে শতকরা ৪০ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার সেখানে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৬ ভাগ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১০-১১ শিা বছরে গড়পড়তা শতকরা ৪৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার। শতকরা ৪৪ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী বলেছে, তারা মানুষের হাতে নির্যাতিত হয়েছে।মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সংখ্যা শতকরা ৫২ ভাগ। এরা সবাই শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আর শতকরা ৩৬ ভাগ অনলাইনে। এর বিপরীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রদের শতকরা ৩৫ ভাগ শারীরিক যৌন হয়রানির শিকার এবং ২৪ ভাগ অনলাইনে।
বিলুপ্ত হচ্ছে পরিবার প্রথা
আমেরিকার এক ম্যাগাজিনে Better Homes and Eardins তার পাঠকদের প্রশ্ন করেছিল আপনারা কি মনে করেন, আমেরিকার পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে? ৭৬% জবাব ছিল হ্যা, ৮৫% লোক বিবাহের ব্যাপারে তাদের আশা পূর্ণ হয়নি বলে মত দেয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যা প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন স্ত্রী বা মহিলা মারা যায় স্বামী বাব বন্ধুর হাতে। টাইমস (২৩ মার্চ ১৯৮৭) আমেরিকায় প্রায় ১৫% বিবাহিত ব্যক্তি শারীরিক দিক থেকে সন্তান প্রজননে অক্ষম (টাইমস জানু,১৯৮৭)। আামেরিকান নারী সমাজ মাতৃত্ব এবং ঘর সামনোর দায়িত্ব ১৫ বছর পূর্বে ছেড়ে দিয়েছে। বিংশ শতাব্দির শেষ প্রান্তে পৌছে আমেরিকান বৃদ্ধিজীবিরা বলতে বাধ্য হচ্ছেন,বিংশ শতাব্দির সূচনা লগ্নে আমেরিকা যে বিষয়কে উন্নতির সোপান মনে করেছিল, তা বর্তমানে তাদের জন্য ধ্বংসের সোপান প্রমাণ হচ্ছে। টাইমসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি বছর আমেরিকায় ২৫ লাখ অবিবাহিত মেয়ে মা হয়
আমেরিকায় দৈনিক ৪ হাজার গর্ভপাত করা হয়, তন্মর্ধে ৬৫% ভাগ মহিলাই অবিবাহিত। ১৯৭৩ সালে আমেরিকার সুপ্্রীমকোটের গর্ভপাতকে বে-আইনী ঘোষনার পর বার্ষিক ১৫ লাখ গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। বিগত ২০ বছরে ৩০ কোটি শিশুকে বংশচ্যুত করা হয়েছে। প্রতি বিশ সেকেন্ডে ১ টি গর্ভপাত ঘটানো হচ্ছে। আমেরিকার প্রতি ৫ জনে একজন পাগল। আমেরিকান সাড়ে চার কোটি মানুষ মস্তিস্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত । লেজকাটা ঘৃণিত ইউরোপ ও আমেরিকায় পরিবার প্রথা ভেঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হাজার বছর এগিয়ে গিয়েও ধ্বংসোন্মুক্ত সভাতায় পরিণত হতে চলেছে। বিকৃত সভ্যতা ভেঙ্গে দিয়েছে মা-সন্তানের শ্রদ্ধার দেয়াল, পিতাকে কাছে না পাওয়ায় সন্তানের শর্য্যাসঙ্গী হচ্ছে মা। অসৎ পিতার যৌন লালসা পূরণে আপন কন্যা হচ্ছে অঙ্গশায়িনী। এ অনৈতিকতার ছোবলে ক্ষত বিক্ষত পশ্চিমা জগৎ। সেখানকার অসভ্য মানুষগুলো শান্তির জন্য হন্যে ঘুরছে। ৫০ বছর পূর্বে আমেরিকায় পারিবারিক বন্ধন ছিল, এখন তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়েছে।
অশান্তি থেকে বাচতে আত্মহত্যার ব্যাপকতা
সাপ্তাহিক টাইমস এর রির্পোটের শিরোনাম “সন্তানের আত্মহত্যা” এতে বলা হয়েছে,আমেরিকায় ১০-২০ বছর বয়সী যুবকদের আত্মহত্যার হার দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। ১৯৫০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা এখন তিন গুন বেড়েছে। ১৯৮৫ সালে লাখে ৬০ যুবক (তত সংখ্যক বড়রা) আত্মহত্যা করেছে। প্রতি বছর ১৩-৩০ বয়সী ৫ হাজার যুবক আত্মহত্যা করে। বিগত ১০ বছরে ইচ্ছাকৃত আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৩৫% ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.৬ ভাগ।
অপরাধের ভয়াবহতায় মার্কিন সামরিক বাহিনী
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে মহামারির আকারে যৌন অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। এ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে পেন্টাগণ নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সামরিক বাহিনীর অন্তত ২৬,০০০ সক্রিয় সদস্য যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও এ সময় যৌন আক্রমণের শিকার হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন এমন সদস্যের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে ৩,৩৭৪ জনে উন্নীত হয়েছে, তবে নাম প্রকাশ না করে যেসব সদস্য যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তাতে মোট সংখ্যা ২৬,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৯,০০০।
যৌন আক্রমণের শিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা ও উর্ধতন কর্তৃপরে নজরদারি বাড়ানো হলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ লাখ সামরিক বাহিনীর ৬.১ শতাংশ সক্রিয় নারী সদস্য বা মোট ১২,১০০ নারী সদস্য জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তারা অযাচিত যৌন সংস্পর্শে এসেছেন। ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮,৬০০। পুরুষদের মধ্যে যৌন আক্রমণের শিকার লোকের সংখ্যা ১০,৭০০ থেকে বেড়ে গত বছর ১৩,৯০০ তে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩০ জনেরও বেশি মহিলা ক্যাডেট অভিযোগ করেছেন, তারা প্রশিণ নেয়ার সময় প্রশিকদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। টেক্সাস বিমান প্রশিণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান। ঘাঁটিতে এ ধরনের যৌন নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলেছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীর নারী সদস্যরা অহরহ যৌন নির্যাতন ও অবৈধ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকেন এবং প্রতিবছর হাজার হাজার ঘটনা রেকর্ড করা হয়। পৃথক আরেক হিসাবে এর আগে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনীতে কর্মরত প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন এবং প্রতি ২০ জন পুরুষের মধ্যে একজন যৌন হয়রানির শিকার হন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় একজন মহিলা সেনার ধর্ষিত হওয়ার আশংকা ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। তবে, মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন হেনন্তর ৮০ শতাংশ ঘটনা চেপে যাওয়া হয় বলে এ বিষয়ে যথার্থ হিসাব পাওয়া যাবে না। স¤প্রতি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র এক হিসাবে বলা হয়েছে- গত আট বছরে চাকরি হারানো মার্কিন কমান্ডারদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই যৌন কেলেঙ্কারির কারণে চাকর হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ১২০ টির বেশি দেশে মার্কিন স্পেশাল বাহিনী স্পেশাল বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সে সব দেশেও মার্কিন বাহিনীর ধর্ষণ ও যৌন কেলেংকারীর ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করে চলেছে। বিশেষ করে আগ্রাসিত আফগানিস্তান ২০ কারাগারে ও ইরাকে ১৫ কারাগারে মার্কিনীদের যৌন নির্যাতন,খুন, গুম মানবতাকে ভূলুন্ঠিত করে চলেছে। আমেরিকার বিকৃত যৌনাচারের আধিক্য ও বিভংস্রতা দেখেআমেরিকার এককালের খ্যাতিমান টিভি বিশ্লেষক জিমি সোয়াগার্ট তার বিখ্যাত বই হোমোসেক্সয়ালিটিতে আর্তনাদ করে বলেছেন- যে অপরাধের জন্য সডোম ও গমোরা নগরী ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে সে অপরাধের জন্য যদি বর্তমান ইউরোপ ও আমেরিকাকে ধ্বংস না করেন তাহলে তাহলে সৃষ্টিকর্তকেই একদিন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
ব্লগে এটাই আমার শেষ পোস্ট,তোমাদের এই সার্পোট করা নগ্ন শহরে আর লিখবোনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪০